ঢাকা ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল এ প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলতে টানাটানি, অতিষ্ঠ রোগীরা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ০৩:২৮:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

চিকিৎসকের কক্ষ থেকে রোগীরা বের হলেই প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলতে তাদের ঘিরে ধরেন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা। রোগীরা মুমূর্ষু অবস্থায় থাকলেও এ চিত্র বদলায় না। উদ্দেশ্য থাকে কোন কোম্পানির ওষুধ লিখেছেন চিকিৎসক এটা দেখার। সরকারি হাসপাতাল এলাকায় প্রেসক্রিপশন বা ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলতে পারবে না বলে নির্দেশনা থাকলেও খুলনার শহীদ আবু নাসের হসপিটালে চিত্র ভিন্ন। আবু নাসের হাসপাতাল বাউন্ডারির ভিতরে ওষুধ কোম্পানি বিক্রয় প্রতিনিধিগন প্রতিনিয়ত কার্যক্রম করে আসছে। ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলছেন, এতে রোগী ও চিকিৎসকের প্রাইভেসি নষ্ট হয়।কোম্পানির প্রতিনিধিদের এই ধরনের হয়রানিতে রোগীরা অতিষ্ঠ। প্রেসক্রিপশনে লেখা ঔষধের নাম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেখাতে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা অসুস্থ্য রোগীদের ভোগান্তি চরমে পৌছেছে। রোগী বা তাদের স্বজনরা প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে বের হতে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাদের ঘিরে ধরেন। এরপর রোগীর অনিচ্ছা বা তাড়া থাকার পরও প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে ছবি তুলতে থাকেন। এতে অসহায় অবস্থায় মধ্যে পড়েন রোগী এবং স্বজনরা। রোগীদের ভুক্তভোগী স্বজনরা বলছেন, একদিকে রোগী নিয়ে মহাবিপদে, অন্যদিকে ঔষধের প্রেসক্রিপশন নিয়ে ছবি তোলার জন্য টানাটানি আসলেই দুঃখজনক। হাসপাতালের সামনে রোগীদের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন চেয়ে নিয়ে কিছু যুবক তার মোবাইলে সেই প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলে নিচ্ছে, এটা এখন নিত্যনৈমিত্তিক একটা দৃশ্য। এমনকি বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর মেডিকেল প্রতিনিধি রোগীদের চিকিৎসাপত্র নিয়ে টানা হেচড়া করে। এতে প্রতিনিয়তই হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে রোগীদের। হয়রানি থেকে রেহাই পেতে কতৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।

উক্ত বিষয়ে ঔষধ কোম্পানি প্রতিনিধিদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান হাসপাতালে পরিচালক যদি আমাদেরকে নিষেধ করেন তাহলে আমরা আর ছবি তুলবো না। আমরা অনেক অসহায় কোম্পানি থেকে আমাদেরকে প্রেসক্রিপশন ছবি তোলা টার্গেট দিয়ে দেয়।
এই বিষয়ে শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক শেখ আবু শাহিনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান এটা তো ঠিক না প্রেসক্রিপশনে অনেকের পার্সোনাল ইনফরমেশন থাকে এ ব্যাপারে কোম্পানি লোকদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমার ক্যাম্পাসের ভিতর তাদের দাঁড়ানো নিষেধ। আমি প্রতিদিন মনিটরিং করি। হয়তো তারা আমার অনুপস্থিতিতে এই কার্যক্রম গুলো করে। এটা আমি কখনোই সাপোর্ট করিনা। এমনকি হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গায় আমার নোটিশ টাঙ্গানো আছে। কোম্পানি প্রতিনিধির যদি বলে থাকে আমি এ বিষয়ে জানি এই তথ্য সম্পন্ন ভুয়া এবং মিথ্যা বলেছে। যেহেতু আপনাদের নজরে এসেছে এবং আমার নজরেও আছে অবশ্যই আমি এই ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

উক্ত বিষয়ে খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সবিজুর রহমান বলেন সরকারি হাসপাতাল বাউন্ডারি ভিতরে প্রেসক্রিপশন ছবি তুলা নিষেধ আছে আর এই বিষয় যদি কেউ জড়িত থাকে তাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা আক্তারের অনন্য উদ্যোগ

“শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল এ প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলতে টানাটানি, অতিষ্ঠ রোগীরা

আপডেট সময় ০৩:২৮:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চিকিৎসকের কক্ষ থেকে রোগীরা বের হলেই প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলতে তাদের ঘিরে ধরেন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা। রোগীরা মুমূর্ষু অবস্থায় থাকলেও এ চিত্র বদলায় না। উদ্দেশ্য থাকে কোন কোম্পানির ওষুধ লিখেছেন চিকিৎসক এটা দেখার। সরকারি হাসপাতাল এলাকায় প্রেসক্রিপশন বা ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলতে পারবে না বলে নির্দেশনা থাকলেও খুলনার শহীদ আবু নাসের হসপিটালে চিত্র ভিন্ন। আবু নাসের হাসপাতাল বাউন্ডারির ভিতরে ওষুধ কোম্পানি বিক্রয় প্রতিনিধিগন প্রতিনিয়ত কার্যক্রম করে আসছে। ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলছেন, এতে রোগী ও চিকিৎসকের প্রাইভেসি নষ্ট হয়।কোম্পানির প্রতিনিধিদের এই ধরনের হয়রানিতে রোগীরা অতিষ্ঠ। প্রেসক্রিপশনে লেখা ঔষধের নাম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেখাতে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা অসুস্থ্য রোগীদের ভোগান্তি চরমে পৌছেছে। রোগী বা তাদের স্বজনরা প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে বের হতে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাদের ঘিরে ধরেন। এরপর রোগীর অনিচ্ছা বা তাড়া থাকার পরও প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে ছবি তুলতে থাকেন। এতে অসহায় অবস্থায় মধ্যে পড়েন রোগী এবং স্বজনরা। রোগীদের ভুক্তভোগী স্বজনরা বলছেন, একদিকে রোগী নিয়ে মহাবিপদে, অন্যদিকে ঔষধের প্রেসক্রিপশন নিয়ে ছবি তোলার জন্য টানাটানি আসলেই দুঃখজনক। হাসপাতালের সামনে রোগীদের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন চেয়ে নিয়ে কিছু যুবক তার মোবাইলে সেই প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলে নিচ্ছে, এটা এখন নিত্যনৈমিত্তিক একটা দৃশ্য। এমনকি বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর মেডিকেল প্রতিনিধি রোগীদের চিকিৎসাপত্র নিয়ে টানা হেচড়া করে। এতে প্রতিনিয়তই হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে রোগীদের। হয়রানি থেকে রেহাই পেতে কতৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।

উক্ত বিষয়ে ঔষধ কোম্পানি প্রতিনিধিদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান হাসপাতালে পরিচালক যদি আমাদেরকে নিষেধ করেন তাহলে আমরা আর ছবি তুলবো না। আমরা অনেক অসহায় কোম্পানি থেকে আমাদেরকে প্রেসক্রিপশন ছবি তোলা টার্গেট দিয়ে দেয়।
এই বিষয়ে শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক শেখ আবু শাহিনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান এটা তো ঠিক না প্রেসক্রিপশনে অনেকের পার্সোনাল ইনফরমেশন থাকে এ ব্যাপারে কোম্পানি লোকদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমার ক্যাম্পাসের ভিতর তাদের দাঁড়ানো নিষেধ। আমি প্রতিদিন মনিটরিং করি। হয়তো তারা আমার অনুপস্থিতিতে এই কার্যক্রম গুলো করে। এটা আমি কখনোই সাপোর্ট করিনা। এমনকি হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গায় আমার নোটিশ টাঙ্গানো আছে। কোম্পানি প্রতিনিধির যদি বলে থাকে আমি এ বিষয়ে জানি এই তথ্য সম্পন্ন ভুয়া এবং মিথ্যা বলেছে। যেহেতু আপনাদের নজরে এসেছে এবং আমার নজরেও আছে অবশ্যই আমি এই ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

উক্ত বিষয়ে খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সবিজুর রহমান বলেন সরকারি হাসপাতাল বাউন্ডারি ভিতরে প্রেসক্রিপশন ছবি তুলা নিষেধ আছে আর এই বিষয় যদি কেউ জড়িত থাকে তাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।