ঢাকা ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশে খায়রুজ্জামান লিটন

‘রাজশাহীতে বিএনপি‘র সমাবেশকে প্রত্যাখান করেছে সাধারণ মানুষ’

ফাইল ছবি।

সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যাহত ও বিএনপি’র অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ শনিবার বেলা ২.৩০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
সমাবেশে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আজকে রাজশাহীতে যে সমাবেশ বা মহাসমাবেশ বিএনপি আহ্ববান করেছিল। যার জন্য গত কয়েকদিন থেকে তাদের নানা রকম প্রচার-প্রচারণা ছিল, প্রচুর লোক হবে, কয়েক লক্ষ মানুষ ও নেতাকর্মী সমবেত করবে। এক্ষেত্রে বিএনপি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। কারণ মাদ্রাসা মাঠটিতে খুব বেশি মানুষ লাগে না, সেখানে প্রায় ২৫ হাজারের মতো মানুষ হলে মাঠটি কানায় কানায় ভরে যায়, আশেপাশে রাস্তা মিলে ৫০ হাজার মানুষ লাগে পূর্ণ হতে। আমরা ড্রোনে তোলা ছবিতে দেখেছি, বিএনপির সমাবেশের মাঠটি ফাঁকা ফাঁকা। তাদের দলের নেতাকর্মী যারা বাইরে থেকে এসেছেন, তারা হয়তো ছিলো, কিন্তু স্থানীয় নেতাকর্মীরা হয়তো সেইভাবে অংশ নেননি। সাধারণ মানুষের যাওয়ার তো বাস্তবতা নেই, অংশ নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সাধারণ মানুষ এই ধরনের আন্দোলন, সরকারর পতনের অগণতান্ত্রিক ঘোষণার সঙ্গে সাধারণ মানুষ থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। সেই কারণে আমি মনে করি এই সমাবেশ ফ্লপ হয়েছে। বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মী ছাড়া সাধারণ মানুষ সমাবেশ প্রত্যাখান করেছে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, যুগ্ম সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, সদস্য ও বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সালাম, সদস্য বাদশা শেখ। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সদস্য আশীষ তরু দে সরকার অর্পণ। আরো বক্তব্য রাখেন থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ, কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ইপফাৎ আরা কামাল, মহানগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, মহানগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, মহানগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, মহানগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ, মহানগর তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোকসেদ-উল-আলম সুমন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি রাজশাহীতে সেমিফাইনাল খেলার ঘোষণা দিয়ে এসেছিল। কেন তারা রাজশাহীতে সেমিফাইনাল খেলার জন্য পছন্দ করলো সেটি আমারও একটা প্রশ্ন। তারা হয়তো মনে করছেন, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট ইত্যাদি তাদের সেই আগের ঘাঁটি টায় থেকে গেছে। যেখানে তাদের প্রার্থীরা দাঁড়ালে ধানের শীষে মানুষ ভোট দিয়ে জিতে দেয়। কিন্তু উনারা জানেন না, গত ১৪ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার এই সময়কালে রাজশাহীর পাশ দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদী দিয়ে অনেক মিলিয়ন কিউসেক পানি প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছে গেছে। ওই পানি যাওয়ার সময় বিএনপি-জাতীয়তাবাদী যারা ছিল, তাদের অনেককে টেনে নিয়ে চলে গেছে। রাজশাহী এখন আর বিএনপির ঘাঁটি নয়। যদি তাই হতো তাহলে আজকে মাঠের এই করুণ অবস্থা হতো না। যারা এখানে সেমিফাইনাল খেলে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় ফাইনাল খেলা খেলতে চায়, তাদের জন্য আজকের রাজশাহীর এই চিত্র কতটা হতাশাব্যঞ্জক জানি না। তবে আমার মনে হচ্ছে ঢাকার সমাবেশও একটা ফাঁপা আওয়াজ ছাড়া অন্য তেমন কিছু হবে না।

তিনি আরো বলেন, বিএনপিকে নিরাপদ জায়গা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, পুলিশ প্রশাসনও বারবার বলছে। নয়াপল্টনে রাস্তার উপর সমাবেশ করলে ওইরকম জনবহুল স্থানে সমাবেশ করলে সেখানে ব্যাপক যানজট তৈরি হবে। কিন্তু বিএনপি তাদের সিদ্ধান্তে অনড় আছে। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল গতকালকেও বলেছেন, ‘সরকার যেন পল্টনে রাস্তার উপরে মিটিং করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দেন।’ কেন আওয়ামী লীগকে আপনাদের মিটিং করার জন্য ব্যবস্থা করে দিতে হবে? আপনাদের কোমড়ে যদি জোরই থাকে, আপনাদের যদি সেই শক্তি থাকে, সেই শক্তি প্রদর্শন করতে যদি আসেন, আসুক। আমরা দেখি আমাদের নেতাকর্মীরা আপনাদের মোকাবেলা করতে পারে কিনা। ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ নয়, কোটি কোটি আওয়ামী লীগের সমর্থক আছে। তাদেরকে মোকাবেলা আপনারা করতে পারেন কিনা সেটা তো আমরা দেখতে চাই।

বিএনপি উন্নয়নকে সহ্য করতে পারছে না উল্লেখ করে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি দেশের উন্নয়নকে সহ্য করতে পারছে না। একটার পর একটা উন্নয়ন হয়েই যাচ্ছে। আর কয়েকদিন পর কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন হবে। এভাবে উন্নয়ন চলতেই থাকবে এবং আরো নতুন করে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিতে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদের চক্রান্ত, দেশের বাইরে থেকে চক্রান্ত, অর্থনৈতিক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবেলা করছেন, একই সঙ্গে সম্মেলন করে, নেতাকর্মীদের উৎসাহিত করে দলকে গোছাচ্ছেন, আবার একই সঙ্গে উন্নয়নের কাজ করছেন। দেশকে কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছে নিয়ে যাচ্ছেন, জনগণের কল্যান করে যাচ্ছেন।

এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, খালেদা জিয়ার শাসন আমলে বিএনপি সরকার একটি দৃষ্টান্তমূলক উন্নয়ন দেখাতে পারবে কি, যেটাকে উন্নয়নের মাইলফলক বলা যায়? শিক্ষাক্ষেত্রে, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে, অবকাঠামো ক্ষেত্রে, যানবাহন ক্ষেত্রে, শিল্পক্ষেত্রে- কোন একটি ক্ষেত্রেও উন্নয়ন বিএনপি দেখাতে পারবে না। বরং বন্ধ করে দিয়েছে আদমজী জুট মিল, খুলনার সকল জুটমিল, বন্ধ করে দিয়েছে রাজশাহী টেক্সটাইল মিল, রাজশাহী সেরিকালচার সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আর বাংলাদেশের বহুল মানুষকে বেকার করে দিয়েছে বিএনপি।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনেও অনেক চক্রান্ত হবে, আবারো কালো টাকা ছড়িয়ে দেয়া হবে, প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হবে, মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হবে, নৌকা মার্কাকে ভোট না দেওয়ার জন্য নানা চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করা হবে, কিন্তু ২০২৪ সালে নৌকায় জিতে যাবে ইনশাল্লাহ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র আবারো প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমরা পরিস্কারভাবে বলে দিতে চাই, আগামী ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ শেষে বিএনপির নেতাকর্মীরা যদি রাজপথ ছাড়তে না চান, কে কী করবে আমি জানি না, প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করবে, সারা বাংলা কিন্তু উত্তেজিত হয়ে আছে, আপনারা ভুলেও এই কাজটি করবেন না বিএনপির নেতাকর্মীরা, আপনাদের সঙ্গে জামাতীরা আছে, এই কাজটি করলে আপনারা সমূলে উৎপাটিত হয়ে যাবেন।

সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, তারা রাজপথের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও নাশকতার রাজনীতি বেছে নিয়েছে। তারা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে রাজশাহী সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছিলো, তাদের আমলে বাংলা ভাই এর নেতৃত্বে জেএমবি সৃষ্টি করে রাজশাহীর বাগমারা, রানীনগর, আত্রাই সহ বৃহত্তর রাজশাহীতে জঙ্গীবাদের রাজত্ব কায়েম করেছিলো।

তিনি বলেন, বিএনপি জ্বালাও পোড়াও করে দেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়, জানমালের ক্ষতিসাধন করে, আন্দোলনের নামে যানবহনে অগ্নিসংযোগ করে সাধারণ মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে- এটাই তাদের রাজনীতি। আমি তাদেরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে তাদের এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথেই রুখে দিবো। আগামী নির্বাচনে বিএনপি’র সাথে খেলা হবে, সেই খেলায় আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে খেলা সমাপ্ত করবে।

মোঃ ডাবলু সরকার বলেন, বিএনপি প্রতিনিয়ত সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য সরকারের অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য তারা দেশবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনাদের এই ষড়যন্ত্র কোনদিনও বাস্তবায়ন হবে না, আপনারা সফল হবেন না। এই বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। তাঁর স্বপ্নের এই সোনার বাংলাদেশকে উন্নত করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরই কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

তিনি আরো বলেন, অতীতে বিএনপি’র নেতারা আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও করেছে, দেশের নিরীহ সাধারণ মানুষদেরকে তারা আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে ও দেশের সম্পদের ক্ষতি করেছে। তাদের অগ্নিসন্ত্রাসের কবল থেকে নিষ্পাপ শিশুও রক্ষা পায় নি, তাদের উপর সাধারণ মানুষের অভিশাপ রয়েছে। আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে, সে আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহন থাকে না, সফলতার মুখ দেখা যায় না। বিএনপি’র নেতারা বলছে রাজপথ নাকি তাদের দখলে! আমি তাদেরকে বলতে চাই, আসুন, দেখে যান রাজপথ আমাদের দখলে, রাজপথ আওয়ামী লীগের দখলে। আমাদের জন্ম হয়েছে রাজপথে, রাজপথেই আমরা সকল আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। বঙ্গবন্ধু সহ তাঁর পরিবারের নিহত সকল সদস্যদের হত্যার বিচার করেছি রাজপথে, ৯০ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছি রাজপথে থেকে, রাজপথেই খালেদা জিয়াকে ক্ষমতাচ্যুত করেছি। আমরা এখনও রাজপথে আছি, রাজপথেই আমরা সকল আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। আমরা অতীতে রাজপথে ছিলাম, বর্তমানেও রাজপথে আছি, ভবিষ্যতেও রাজপথে থাকবো।

তিনি বলেন, তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বাংলাদেশ পাঁচ বার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো। তারা দেশের সকল খাতকে ধ্বংস করেছিলো। আজকে তারা রাজশাহীতে সমাবেশ করছে, তাদের সমাবেশে লোকজনের উপস্থিতি তেমন নেই বললেই চলে, রাজশাহীর মানুষ তাদের সমাবেশকে প্রত্যাখান, তারা ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সরকারী মদদে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২২ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছিলো, এর মূল হোতা ছিলো তারেক রহমান।

তিনি আরো বলেন, বিএনপিকে সমুচিত জবাব দিতে হলে আমাদেরকে রাজপথে থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ঘোষিত সকল কর্মসূচীতে জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা বিএনপি’র দেশবিরোধী কর্মকান্ডের মোকাবিলা করবো।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি নাঈমুল হুদা রানা, বদরুজ্জামান খায়ের, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, সদস্য জাহির উদ্দিন তেতু, মোকাদ্দেস হোসেন লাবলু, মুশফিকুর রহমান হাসনাত, নজরুল ইসলাম তোতা, শাহাব উদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন খান, আতিকুর রহামন কালু, হাফিজুর রহমান বাবু, সৈয়দ মন্তাজ আহমেদ, মজিবুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, বাদশা শেখ, জয়নাল আবেদীন চাঁদ, ইউনুস আলী, মাসুদ আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মহানগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, মহানগর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বাচ্চু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, মহানগর যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, মহানগর তাঁতী লীগ সভাপতি আনিসুর রহমান আনার প্রমুখ।

আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর এহসান উল্লাহ আটক

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশে খায়রুজ্জামান লিটন

‘রাজশাহীতে বিএনপি‘র সমাবেশকে প্রত্যাখান করেছে সাধারণ মানুষ’

আপডেট সময় ০৮:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২

সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যাহত ও বিএনপি’র অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ শনিবার বেলা ২.৩০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
সমাবেশে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আজকে রাজশাহীতে যে সমাবেশ বা মহাসমাবেশ বিএনপি আহ্ববান করেছিল। যার জন্য গত কয়েকদিন থেকে তাদের নানা রকম প্রচার-প্রচারণা ছিল, প্রচুর লোক হবে, কয়েক লক্ষ মানুষ ও নেতাকর্মী সমবেত করবে। এক্ষেত্রে বিএনপি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। কারণ মাদ্রাসা মাঠটিতে খুব বেশি মানুষ লাগে না, সেখানে প্রায় ২৫ হাজারের মতো মানুষ হলে মাঠটি কানায় কানায় ভরে যায়, আশেপাশে রাস্তা মিলে ৫০ হাজার মানুষ লাগে পূর্ণ হতে। আমরা ড্রোনে তোলা ছবিতে দেখেছি, বিএনপির সমাবেশের মাঠটি ফাঁকা ফাঁকা। তাদের দলের নেতাকর্মী যারা বাইরে থেকে এসেছেন, তারা হয়তো ছিলো, কিন্তু স্থানীয় নেতাকর্মীরা হয়তো সেইভাবে অংশ নেননি। সাধারণ মানুষের যাওয়ার তো বাস্তবতা নেই, অংশ নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সাধারণ মানুষ এই ধরনের আন্দোলন, সরকারর পতনের অগণতান্ত্রিক ঘোষণার সঙ্গে সাধারণ মানুষ থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। সেই কারণে আমি মনে করি এই সমাবেশ ফ্লপ হয়েছে। বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মী ছাড়া সাধারণ মানুষ সমাবেশ প্রত্যাখান করেছে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, যুগ্ম সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, সদস্য ও বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সালাম, সদস্য বাদশা শেখ। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সদস্য আশীষ তরু দে সরকার অর্পণ। আরো বক্তব্য রাখেন থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ, কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ইপফাৎ আরা কামাল, মহানগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, মহানগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, মহানগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, মহানগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ, মহানগর তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোকসেদ-উল-আলম সুমন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি রাজশাহীতে সেমিফাইনাল খেলার ঘোষণা দিয়ে এসেছিল। কেন তারা রাজশাহীতে সেমিফাইনাল খেলার জন্য পছন্দ করলো সেটি আমারও একটা প্রশ্ন। তারা হয়তো মনে করছেন, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট ইত্যাদি তাদের সেই আগের ঘাঁটি টায় থেকে গেছে। যেখানে তাদের প্রার্থীরা দাঁড়ালে ধানের শীষে মানুষ ভোট দিয়ে জিতে দেয়। কিন্তু উনারা জানেন না, গত ১৪ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার এই সময়কালে রাজশাহীর পাশ দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদী দিয়ে অনেক মিলিয়ন কিউসেক পানি প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছে গেছে। ওই পানি যাওয়ার সময় বিএনপি-জাতীয়তাবাদী যারা ছিল, তাদের অনেককে টেনে নিয়ে চলে গেছে। রাজশাহী এখন আর বিএনপির ঘাঁটি নয়। যদি তাই হতো তাহলে আজকে মাঠের এই করুণ অবস্থা হতো না। যারা এখানে সেমিফাইনাল খেলে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় ফাইনাল খেলা খেলতে চায়, তাদের জন্য আজকের রাজশাহীর এই চিত্র কতটা হতাশাব্যঞ্জক জানি না। তবে আমার মনে হচ্ছে ঢাকার সমাবেশও একটা ফাঁপা আওয়াজ ছাড়া অন্য তেমন কিছু হবে না।

তিনি আরো বলেন, বিএনপিকে নিরাপদ জায়গা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, পুলিশ প্রশাসনও বারবার বলছে। নয়াপল্টনে রাস্তার উপর সমাবেশ করলে ওইরকম জনবহুল স্থানে সমাবেশ করলে সেখানে ব্যাপক যানজট তৈরি হবে। কিন্তু বিএনপি তাদের সিদ্ধান্তে অনড় আছে। বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল গতকালকেও বলেছেন, ‘সরকার যেন পল্টনে রাস্তার উপরে মিটিং করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দেন।’ কেন আওয়ামী লীগকে আপনাদের মিটিং করার জন্য ব্যবস্থা করে দিতে হবে? আপনাদের কোমড়ে যদি জোরই থাকে, আপনাদের যদি সেই শক্তি থাকে, সেই শক্তি প্রদর্শন করতে যদি আসেন, আসুক। আমরা দেখি আমাদের নেতাকর্মীরা আপনাদের মোকাবেলা করতে পারে কিনা। ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ নয়, কোটি কোটি আওয়ামী লীগের সমর্থক আছে। তাদেরকে মোকাবেলা আপনারা করতে পারেন কিনা সেটা তো আমরা দেখতে চাই।

বিএনপি উন্নয়নকে সহ্য করতে পারছে না উল্লেখ করে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি দেশের উন্নয়নকে সহ্য করতে পারছে না। একটার পর একটা উন্নয়ন হয়েই যাচ্ছে। আর কয়েকদিন পর কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন হবে। এভাবে উন্নয়ন চলতেই থাকবে এবং আরো নতুন করে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিতে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদের চক্রান্ত, দেশের বাইরে থেকে চক্রান্ত, অর্থনৈতিক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবেলা করছেন, একই সঙ্গে সম্মেলন করে, নেতাকর্মীদের উৎসাহিত করে দলকে গোছাচ্ছেন, আবার একই সঙ্গে উন্নয়নের কাজ করছেন। দেশকে কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছে নিয়ে যাচ্ছেন, জনগণের কল্যান করে যাচ্ছেন।

এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, খালেদা জিয়ার শাসন আমলে বিএনপি সরকার একটি দৃষ্টান্তমূলক উন্নয়ন দেখাতে পারবে কি, যেটাকে উন্নয়নের মাইলফলক বলা যায়? শিক্ষাক্ষেত্রে, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে, অবকাঠামো ক্ষেত্রে, যানবাহন ক্ষেত্রে, শিল্পক্ষেত্রে- কোন একটি ক্ষেত্রেও উন্নয়ন বিএনপি দেখাতে পারবে না। বরং বন্ধ করে দিয়েছে আদমজী জুট মিল, খুলনার সকল জুটমিল, বন্ধ করে দিয়েছে রাজশাহী টেক্সটাইল মিল, রাজশাহী সেরিকালচার সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আর বাংলাদেশের বহুল মানুষকে বেকার করে দিয়েছে বিএনপি।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনেও অনেক চক্রান্ত হবে, আবারো কালো টাকা ছড়িয়ে দেয়া হবে, প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হবে, মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হবে, নৌকা মার্কাকে ভোট না দেওয়ার জন্য নানা চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করা হবে, কিন্তু ২০২৪ সালে নৌকায় জিতে যাবে ইনশাল্লাহ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র আবারো প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমরা পরিস্কারভাবে বলে দিতে চাই, আগামী ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ শেষে বিএনপির নেতাকর্মীরা যদি রাজপথ ছাড়তে না চান, কে কী করবে আমি জানি না, প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করবে, সারা বাংলা কিন্তু উত্তেজিত হয়ে আছে, আপনারা ভুলেও এই কাজটি করবেন না বিএনপির নেতাকর্মীরা, আপনাদের সঙ্গে জামাতীরা আছে, এই কাজটি করলে আপনারা সমূলে উৎপাটিত হয়ে যাবেন।

সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, তারা রাজপথের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও নাশকতার রাজনীতি বেছে নিয়েছে। তারা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে রাজশাহী সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছিলো, তাদের আমলে বাংলা ভাই এর নেতৃত্বে জেএমবি সৃষ্টি করে রাজশাহীর বাগমারা, রানীনগর, আত্রাই সহ বৃহত্তর রাজশাহীতে জঙ্গীবাদের রাজত্ব কায়েম করেছিলো।

তিনি বলেন, বিএনপি জ্বালাও পোড়াও করে দেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়, জানমালের ক্ষতিসাধন করে, আন্দোলনের নামে যানবহনে অগ্নিসংযোগ করে সাধারণ মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে- এটাই তাদের রাজনীতি। আমি তাদেরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে তাদের এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথেই রুখে দিবো। আগামী নির্বাচনে বিএনপি’র সাথে খেলা হবে, সেই খেলায় আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে খেলা সমাপ্ত করবে।

মোঃ ডাবলু সরকার বলেন, বিএনপি প্রতিনিয়ত সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য সরকারের অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য তারা দেশবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনাদের এই ষড়যন্ত্র কোনদিনও বাস্তবায়ন হবে না, আপনারা সফল হবেন না। এই বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। তাঁর স্বপ্নের এই সোনার বাংলাদেশকে উন্নত করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরই কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

তিনি আরো বলেন, অতীতে বিএনপি’র নেতারা আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও করেছে, দেশের নিরীহ সাধারণ মানুষদেরকে তারা আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে ও দেশের সম্পদের ক্ষতি করেছে। তাদের অগ্নিসন্ত্রাসের কবল থেকে নিষ্পাপ শিশুও রক্ষা পায় নি, তাদের উপর সাধারণ মানুষের অভিশাপ রয়েছে। আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে, সে আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহন থাকে না, সফলতার মুখ দেখা যায় না। বিএনপি’র নেতারা বলছে রাজপথ নাকি তাদের দখলে! আমি তাদেরকে বলতে চাই, আসুন, দেখে যান রাজপথ আমাদের দখলে, রাজপথ আওয়ামী লীগের দখলে। আমাদের জন্ম হয়েছে রাজপথে, রাজপথেই আমরা সকল আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। বঙ্গবন্ধু সহ তাঁর পরিবারের নিহত সকল সদস্যদের হত্যার বিচার করেছি রাজপথে, ৯০ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছি রাজপথে থেকে, রাজপথেই খালেদা জিয়াকে ক্ষমতাচ্যুত করেছি। আমরা এখনও রাজপথে আছি, রাজপথেই আমরা সকল আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। আমরা অতীতে রাজপথে ছিলাম, বর্তমানেও রাজপথে আছি, ভবিষ্যতেও রাজপথে থাকবো।

তিনি বলেন, তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বাংলাদেশ পাঁচ বার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো। তারা দেশের সকল খাতকে ধ্বংস করেছিলো। আজকে তারা রাজশাহীতে সমাবেশ করছে, তাদের সমাবেশে লোকজনের উপস্থিতি তেমন নেই বললেই চলে, রাজশাহীর মানুষ তাদের সমাবেশকে প্রত্যাখান, তারা ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সরকারী মদদে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২২ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছিলো, এর মূল হোতা ছিলো তারেক রহমান।

তিনি আরো বলেন, বিএনপিকে সমুচিত জবাব দিতে হলে আমাদেরকে রাজপথে থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ঘোষিত সকল কর্মসূচীতে জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা বিএনপি’র দেশবিরোধী কর্মকান্ডের মোকাবিলা করবো।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি নাঈমুল হুদা রানা, বদরুজ্জামান খায়ের, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, সদস্য জাহির উদ্দিন তেতু, মোকাদ্দেস হোসেন লাবলু, মুশফিকুর রহমান হাসনাত, নজরুল ইসলাম তোতা, শাহাব উদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন খান, আতিকুর রহামন কালু, হাফিজুর রহমান বাবু, সৈয়দ মন্তাজ আহমেদ, মজিবুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, বাদশা শেখ, জয়নাল আবেদীন চাঁদ, ইউনুস আলী, মাসুদ আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মহানগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, মহানগর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বাচ্চু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, মহানগর যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, মহানগর তাঁতী লীগ সভাপতি আনিসুর রহমান আনার প্রমুখ।