ঢাকা ০৩:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘাটতি পূরণে রাজশাহীতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে বিপ্লব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ১১:৪৪:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২
  • ২২৮ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি।

পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণে রাজশাহীতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন রাজশাহী জেলার কৃষকেরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহীর কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষে এই সফলতা এসেছে।

গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সফল হওয়া উপলক্ষ্যে বুধবার সন্ধ্যায় নগর ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ হস্তান্তর করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহীর কর্মকর্তারা। এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষে সফলতা অর্জন করায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কৃষকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ শামছুল ওয়াদুদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী জেলার উপপরিচালক মোঃ মোজদার হোসেন ও জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোছাঃ উম্মে ছালমা।

রাজশাহী জেলার উপপরিচালক মোঃ মোজদার হোসেন বলেন, কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ১ম ও ২য় পর্যায়ে রাজশাহী জেলায় মোট ৪ হাজার জন কৃষককে ১ কেজি করে মোট চার হাজার কেজি এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ প্রদান করা হয়েছে। যা দিয়ে মোট ৬ হাজার বিঘা জমিতে এই পেঁয়াজ চাষ করা সম্ভব। প্রথম পর্যায়ে লাগানো পেঁয়াজ ইতোমধ্যে বাজারে আসা শুরু হয়েছে। বিঘা প্রতি ৬০ থেকে ৬৫ মন ফলন পাওয়া যাচ্ছে। গাছসহ এই পেঁয়াজ বিক্রয় করতে পেরে চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এবং তাদের দেখে অন্যান্য কৃষকেরা এই জাতের পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

তিনি আরো জানান, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে বাজারে যখন শীতকালীন পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকে, তখন এন-৫৩ জাতের এই পেঁয়াজ মানুষের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে বলে আমরা আশা করছি।

মোঃ মোজদার হোসেন আরো বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসে বীজ বপণ করে ২৫-৩০ দিন বয়সের চারা রোপণ করতে হয়। ৯০ দিনের মধ্যে এই জাতের পেঁয়াজ সংগ্রহ করা সম্ভব। এই পেঁয়াজ চাষে কৃষকেরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।#

আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]

ক্যানেল ভরাট হয়ে যাওয়ায় কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে পানি, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি!

ঘাটতি পূরণে রাজশাহীতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে বিপ্লব

আপডেট সময় ১১:৪৪:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২

পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণে রাজশাহীতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন রাজশাহী জেলার কৃষকেরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহীর কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষে এই সফলতা এসেছে।

গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সফল হওয়া উপলক্ষ্যে বুধবার সন্ধ্যায় নগর ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ হস্তান্তর করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহীর কর্মকর্তারা। এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষে সফলতা অর্জন করায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কৃষকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ শামছুল ওয়াদুদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী জেলার উপপরিচালক মোঃ মোজদার হোসেন ও জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মোছাঃ উম্মে ছালমা।

রাজশাহী জেলার উপপরিচালক মোঃ মোজদার হোসেন বলেন, কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ১ম ও ২য় পর্যায়ে রাজশাহী জেলায় মোট ৪ হাজার জন কৃষককে ১ কেজি করে মোট চার হাজার কেজি এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ প্রদান করা হয়েছে। যা দিয়ে মোট ৬ হাজার বিঘা জমিতে এই পেঁয়াজ চাষ করা সম্ভব। প্রথম পর্যায়ে লাগানো পেঁয়াজ ইতোমধ্যে বাজারে আসা শুরু হয়েছে। বিঘা প্রতি ৬০ থেকে ৬৫ মন ফলন পাওয়া যাচ্ছে। গাছসহ এই পেঁয়াজ বিক্রয় করতে পেরে চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এবং তাদের দেখে অন্যান্য কৃষকেরা এই জাতের পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

তিনি আরো জানান, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে বাজারে যখন শীতকালীন পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকে, তখন এন-৫৩ জাতের এই পেঁয়াজ মানুষের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে বলে আমরা আশা করছি।

মোঃ মোজদার হোসেন আরো বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসে বীজ বপণ করে ২৫-৩০ দিন বয়সের চারা রোপণ করতে হয়। ৯০ দিনের মধ্যে এই জাতের পেঁয়াজ সংগ্রহ করা সম্ভব। এই পেঁয়াজ চাষে কৃষকেরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।#