ঢাকা ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে এনসিপির মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন ২৭ বছর বয়সী দ্যুতি অরণ্য প্রীতি চৌধুরী ক্যাম্পাসে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায়: জাবিতে রাত ১০টার পর সব ধরনের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ মালদ্বীপে দুই বছরে ৯ হাজারের বেশি অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে হাফ ভাড়া নিয়ে শ্রমিক-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ : অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর আল্লাহর ওপর আস্থা পুনর্বহাল করবে বিএনপি : খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিনের প্রতিশ্রুতি রায়গঞ্জে সরকারি সার অতিরিক্ত দামে বিক্রির অভিযোগ যুবলীগ নেতার নিখোঁজ সন্তানের মরদেহ নদীতে উদ্ধার ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৯২ হাতিরঝিলে ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে আগুন বাসচাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত, সড়ক অবরোধ করে বাসে আগুন দিল জনতা

২০২৩ সালের পর রাজশাহী বিভাগে কোনো ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না ঃ বিশ্ব বসতি দিবসের আলোচনা সভায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার

ফাইল ছবি।

রাজশাহী বিভাগে ৩৩ হাজার পরিবার খুঁজে বের করা হয়েছে, যাদের জমি নাই, গৃহ নাই। ইতিমধ্যে ১০টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে এ বিভাগের ২টি জেলা ও ৩৩টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হবে এবং ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর রাজশাহী বিভাগের একটি জেলাও কোনো ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না

আজ (০৩ অক্টোবর) রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব বসতি দিবস, ২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্, এনডিসি এসব কথা বলেন। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।

কেউ ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না- এ সাহস বিশ্বের শুধু বাংলাদেশই দেখিয়েছে উল্লেখ করে জি এস এম জাফরউল্লাহ্ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু এ সাহসই দেখাননি, বরং তিনি এটা করে দেখিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু মানুষের মৌলিক প্রয়োজনগুলো মিটিয়ে বাংলাদেশকে একটি সুন্দর রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করতে চেয়েছিলেন। সেই পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।

বিশ্ব বসতি দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, অপরিকল্পিতভাবে যেখানে-সেখানে কৃষি জমি নষ্ট করে বসতি স্থাপন করা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। অপরিকল্পিত বসতি স্থাপনের কারণে আমাদের কৃষি জমি হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলে একসময় খাদ্যের সঙ্কট দেখা দেবে। তাই একটি সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে টেকসই বসতি স্থাপন করলে একদিকে আবাদি জমি রক্ষা পাবে আবার অন্যদিকে আমরা আর্থিকভাবে নিরাপদ থাকব।

তিনি বলেন, সরকার এখন একই ভবনে সকল বিভাগীয় বা জেলা পর্যায়ের অফিস করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এর ফলে এক দিকে যেমন জমি বাঁচবে, অন্যদিকে সেবা গ্রহীতারাও এক জায়গা থেকেই সব সেবা নিতে পারবে।

অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (গণপূর্ত জোন) মোঃ মিছবাহ উদ্দিন আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন।

আরডিএ’র চেয়ারম্যান মোঃ আনওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার মো. ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: শরিফুল হক, আরডিএ’র সদস্য প্রফেসর মো: তানভিরুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি আরডিএ চত্বর থেকে বের হয়ে শাহ্ মখদুম থানা মোড় প্রদক্ষিণ করে পুনরায় আরডিএ ভবনে গিয়ে শেষ হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সাল থেকে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোতে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার দিবসটি উদ্যাপিত হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘বৈষম্য হ্রাসের অঙ্গীকার করি, সবার জন্য টেকসই নগর গড়ি’।

 

আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে এনসিপির মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন ২৭ বছর বয়সী দ্যুতি অরণ্য প্রীতি চৌধুরী

২০২৩ সালের পর রাজশাহী বিভাগে কোনো ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না ঃ বিশ্ব বসতি দিবসের আলোচনা সভায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার

আপডেট সময় ০৫:১২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২

রাজশাহী বিভাগে ৩৩ হাজার পরিবার খুঁজে বের করা হয়েছে, যাদের জমি নাই, গৃহ নাই। ইতিমধ্যে ১০টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে এ বিভাগের ২টি জেলা ও ৩৩টি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হবে এবং ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর রাজশাহী বিভাগের একটি জেলাও কোনো ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না

আজ (০৩ অক্টোবর) রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব বসতি দিবস, ২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্, এনডিসি এসব কথা বলেন। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।

কেউ ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না- এ সাহস বিশ্বের শুধু বাংলাদেশই দেখিয়েছে উল্লেখ করে জি এস এম জাফরউল্লাহ্ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু এ সাহসই দেখাননি, বরং তিনি এটা করে দেখিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু মানুষের মৌলিক প্রয়োজনগুলো মিটিয়ে বাংলাদেশকে একটি সুন্দর রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করতে চেয়েছিলেন। সেই পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।

বিশ্ব বসতি দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, অপরিকল্পিতভাবে যেখানে-সেখানে কৃষি জমি নষ্ট করে বসতি স্থাপন করা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। অপরিকল্পিত বসতি স্থাপনের কারণে আমাদের কৃষি জমি হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলে একসময় খাদ্যের সঙ্কট দেখা দেবে। তাই একটি সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে টেকসই বসতি স্থাপন করলে একদিকে আবাদি জমি রক্ষা পাবে আবার অন্যদিকে আমরা আর্থিকভাবে নিরাপদ থাকব।

তিনি বলেন, সরকার এখন একই ভবনে সকল বিভাগীয় বা জেলা পর্যায়ের অফিস করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এর ফলে এক দিকে যেমন জমি বাঁচবে, অন্যদিকে সেবা গ্রহীতারাও এক জায়গা থেকেই সব সেবা নিতে পারবে।

অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (গণপূর্ত জোন) মোঃ মিছবাহ উদ্দিন আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন।

আরডিএ’র চেয়ারম্যান মোঃ আনওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার মো. ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: শরিফুল হক, আরডিএ’র সদস্য প্রফেসর মো: তানভিরুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি আরডিএ চত্বর থেকে বের হয়ে শাহ্ মখদুম থানা মোড় প্রদক্ষিণ করে পুনরায় আরডিএ ভবনে গিয়ে শেষ হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সাল থেকে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোতে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার দিবসটি উদ্যাপিত হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘বৈষম্য হ্রাসের অঙ্গীকার করি, সবার জন্য টেকসই নগর গড়ি’।