ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসে রাজশাহীতে আলোচনা সভা

ফাইল ছবি।

আজ বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর ) আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস। জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোতে ২০০২ সাল থেকে দিবসটি উদ্যাপিত হচ্ছে। ‘তথ্য প্রযুক্তির যুগে জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত হোক’ প্রতিপাদ্য নিয়ে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আজ দিবসটি উদ্যাপিত হচ্ছে।

বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ উপলক্ষ্যে সকালে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় কমিশনার জি এম এস জাফরউল্লাহ্, এনডিসি প্রধান অতিথি হিসেবে সভায় বক্তৃতা করেন।

তথ্য পাওয়া জনগণের একটি অধিকার উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জনগণের অনেকগুলো অধিকারের মধ্যে সঠিক তথ্য পাওয়া অন্যতম অধিকার। একজন ব্যাক্তি মানুষ হিসেবে কী কী অধিকার ভোগ করতে পাবরে, রাষ্ট্র কী কী অধিকার তার জন্য নিশ্চিত করেছে সে সম্পর্কে জানার অধিকার তার রয়েছে।

জি এস এম জাফরউল্লাহ্ বলেন, ১৯৭১ সালে ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, আমি বাংলার মানুষের অধিকার চাই’ তখন থেকেই অধিকার শব্দটি আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। দীর্ঘ ২৪ বছর পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আমাদেরকে অধিকারবঞ্চিত করে রেখেছিল।

তিনি বলেন, এখন আমরা সব মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারছি। আমরা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা পাচ্ছি; কিন্তু, এখন এর সঙ্গে ডিজিটাল ও আধুনিক বাংলাদেশে তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এটা থেকে আমরা খুব বেশি দূরে নেই। সরকার ২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন প্রবর্তন করেছে এই আইনটি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। সরকারি প্রতিষ্ঠান বা সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কী ভাবে কাজ করছে, তা এই আইনের মাধ্যমে দেশের একজন নাগরিকের জানার সুযোগ তৈরি করেছে।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগ করে আমরা আটটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন অন্য অফিসগুলো থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। যদি কোনো অফিস তথ্য না দেয়, তা হলে সেটা এই আইনের অধীনে অপরাধ বলে গণ্য হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও তথ্য কমিশনে আবেদনের সুযোগ রয়েছে।

আমাদের তথ্য না দেয়ার ঔপনিবেশিক মানসিকতা দূর করতে হবে উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমরা সুন্দরভাবে সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করতে পারি।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. অলিউল আলম মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন।

জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আরএমপি’র কমিশনার মো: আবু কালাম সিদ্দিক, অতিরিক্ত ডিআইজি মো: রশিদুল হাসান ও পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন। সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহী মোহনপুর বসন্ত কেদার উচ্চ বিদ্যালয় অভিভাবক নিয়ে আলোচনা সভা

আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসে রাজশাহীতে আলোচনা সভা

আপডেট সময় ০৩:৪২:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

আজ বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর ) আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস। জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোতে ২০০২ সাল থেকে দিবসটি উদ্যাপিত হচ্ছে। ‘তথ্য প্রযুক্তির যুগে জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত হোক’ প্রতিপাদ্য নিয়ে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আজ দিবসটি উদ্যাপিত হচ্ছে।

বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ উপলক্ষ্যে সকালে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় কমিশনার জি এম এস জাফরউল্লাহ্, এনডিসি প্রধান অতিথি হিসেবে সভায় বক্তৃতা করেন।

তথ্য পাওয়া জনগণের একটি অধিকার উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জনগণের অনেকগুলো অধিকারের মধ্যে সঠিক তথ্য পাওয়া অন্যতম অধিকার। একজন ব্যাক্তি মানুষ হিসেবে কী কী অধিকার ভোগ করতে পাবরে, রাষ্ট্র কী কী অধিকার তার জন্য নিশ্চিত করেছে সে সম্পর্কে জানার অধিকার তার রয়েছে।

জি এস এম জাফরউল্লাহ্ বলেন, ১৯৭১ সালে ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, আমি বাংলার মানুষের অধিকার চাই’ তখন থেকেই অধিকার শব্দটি আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। দীর্ঘ ২৪ বছর পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আমাদেরকে অধিকারবঞ্চিত করে রেখেছিল।

তিনি বলেন, এখন আমরা সব মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারছি। আমরা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা পাচ্ছি; কিন্তু, এখন এর সঙ্গে ডিজিটাল ও আধুনিক বাংলাদেশে তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এটা থেকে আমরা খুব বেশি দূরে নেই। সরকার ২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন প্রবর্তন করেছে এই আইনটি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। সরকারি প্রতিষ্ঠান বা সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কী ভাবে কাজ করছে, তা এই আইনের মাধ্যমে দেশের একজন নাগরিকের জানার সুযোগ তৈরি করেছে।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগ করে আমরা আটটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন অন্য অফিসগুলো থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। যদি কোনো অফিস তথ্য না দেয়, তা হলে সেটা এই আইনের অধীনে অপরাধ বলে গণ্য হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও তথ্য কমিশনে আবেদনের সুযোগ রয়েছে।

আমাদের তথ্য না দেয়ার ঔপনিবেশিক মানসিকতা দূর করতে হবে উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমরা সুন্দরভাবে সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করতে পারি।

অনুষ্ঠানে রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. অলিউল আলম মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন।

জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আরএমপি’র কমিশনার মো: আবু কালাম সিদ্দিক, অতিরিক্ত ডিআইজি মো: রশিদুল হাসান ও পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন। সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।