Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the all-in-one-wp-security-and-firewall domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home2/nababani/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
আমাদের দেশের উন্নয়ন বন্ধ করা যাবে না – খাদ্যমন্ত্রী
ঢাকা ১০:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমাদের দেশের উন্নয়ন বন্ধ করা যাবে না – খাদ্যমন্ত্রী

ফাইল ছবি।

আমাদের দেশের উন্নয়ন বন্ধ করা যাবে না। শেখ হাসিনা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নাই বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

শনিবার বিকালে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার হাজীনগর ইউনিয়নের ঘুঘু ডাঙ্গায় তাল পিঠা উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

্খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা আছেন বলেই দেশের উন্নয়ন হয়েছে। যদি সৎ মন থাকে, সদিচ্ছা থাকে, প্রবল আত্ববিশ্বাস থাকে, তা হলে সব কাজ সম্পন্ন করা যায়- শেখ হাসিনা তা প্রমাণ করেছে। শেখ হাসিনার এতো উন্নয়ন বাঙালি জাতি ভুলে যেতে পারে না। আজ কেউ বলতে পারবে না আমি শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন পাই নাই; সে যাই হোক- বিএনপি হোক, জামাত হোক, জাতীয় পার্টি হোক, জাসদ হোক, সবাই শেখ হাসিনার উন্নয়ন পেয়েছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, শেখ হাসিনার সময় কৃষক সার পেয়েছে, বীজ পেয়েছে, মানুষ বিদ্যুৎ পেয়েছে। প্রত্যেকে কোনো-না কোনো ভাবে শেখ হাসিনার উন্নয়ন পেয়েছে। আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। আমার মা-বোনেরা এখন শিল-পাটাতে মশলা পিষে না। তাদের টিউবওয়েলে চেপে পানি উঠাতে হয় না- এখন সব বিদ্যুতের মাধ্যমে হয়।

বিএনপি’র আমলে তারা বিদ্যুৎ দিতে পারে নাই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তখন কৃষকের ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছিল, বিঘা প্রতি কৃষক ধান পেত পাঁচ মণ। এখন কৃষক সেচের জন্য দুশ্চিন্তা করে না, বিঘা প্রতি ধান হয় ২৮ মণ।

দেশের এক ইঞ্চি জমিও পতিত না রাখতে প্রধানমন্ত্রীর আহবান স্মরণ করে তিনি বলেন, আমরা এক ইঞ্চি জমিও সেচ সুবিধার বাইরে রাখব না। কৃষিতে আমাদের আরও উন্নয়ন দরকার যাতে বিদেশ থেকে আমদানি করতে না হয়।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট সঙ্কট প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে না তা নয়, আমরা তা বুঝি। কিন্তু সারা বিশ্বের কথা মাথায় রেখে আমাদের সহনশীন আচরণ করতে হবে। করোনার সময় যেমন একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায় নাই তেমনি এ সঙ্কটও কেটে যাবে।

এ সময় খাদ্যমন্ত্রী তাল পিঠার উৎসবের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, আজকে অনেকে বাংলাদেশকে ভুলে যেতে চায়, বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি ভুলে যেতে চায়, বাঙালিয়ানাকে ভুলে যেতে চায়। আগে সারি সারি তালগাছ দেখা যেত। মানুষ রাত জেগে তাল কুড়াতো। পুকুরে তাল পড়লে সেখানেও ঝাঁপ দিত। মেয়ের শশুর বাড়িতে বাবা তাল পিঠা নিয়ে যেত- একসময় এই রীতি খুবই প্রচলিত ছিল। গরুর গাড়ির ধুরি আর বাড়ি বানাতে যেয়ে তালগাছগুলো হারিয়ে গেল। তালগাছ শেষ হওয়ার পরপর আমাদের কৃষ্টিও হারিয়ে গেল।

তিনি বলেন, আজ আমরা সবাই তালপিঠার উৎসবে মেতেছি। আমরা এই উৎসবের মাধ্যমে আবার তা শুরু করেছি। প্রত্যেক বছর ২৪ সেপ্টেম্বর এই পিঠা মেলার মাধ্যমে এই অঞ্চলের পুরোনো রীতি আবার ফিরে আসবে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যখন ঘুঘু ডাঙ্গায় তালগাছগুলো লাগানো হয়, তখন অনেকে আমাকে বলেছিল- আপনি তাল খেতে পারবেন না। কারণ, গরুর মুখের লালা পড়লে তাল গাছ হয় না। আমি তাদের বলেছিলাম, ‘যদি না পড়ে মুখের লাল, বারো বছরে খাবি তাল’- আজ সেই কথা সত্যি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফারুক সুফিয়ানের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

 

আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: 24nababani@gmail.com

খুলনা বিভাগ উন্নয়ন পরিষদ এর মিটিং অনুষ্ঠিত

আমাদের দেশের উন্নয়ন বন্ধ করা যাবে না – খাদ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:৫৫:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

আমাদের দেশের উন্নয়ন বন্ধ করা যাবে না। শেখ হাসিনা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নাই বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

শনিবার বিকালে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার হাজীনগর ইউনিয়নের ঘুঘু ডাঙ্গায় তাল পিঠা উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

্খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা আছেন বলেই দেশের উন্নয়ন হয়েছে। যদি সৎ মন থাকে, সদিচ্ছা থাকে, প্রবল আত্ববিশ্বাস থাকে, তা হলে সব কাজ সম্পন্ন করা যায়- শেখ হাসিনা তা প্রমাণ করেছে। শেখ হাসিনার এতো উন্নয়ন বাঙালি জাতি ভুলে যেতে পারে না। আজ কেউ বলতে পারবে না আমি শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন পাই নাই; সে যাই হোক- বিএনপি হোক, জামাত হোক, জাতীয় পার্টি হোক, জাসদ হোক, সবাই শেখ হাসিনার উন্নয়ন পেয়েছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, শেখ হাসিনার সময় কৃষক সার পেয়েছে, বীজ পেয়েছে, মানুষ বিদ্যুৎ পেয়েছে। প্রত্যেকে কোনো-না কোনো ভাবে শেখ হাসিনার উন্নয়ন পেয়েছে। আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। আমার মা-বোনেরা এখন শিল-পাটাতে মশলা পিষে না। তাদের টিউবওয়েলে চেপে পানি উঠাতে হয় না- এখন সব বিদ্যুতের মাধ্যমে হয়।

বিএনপি’র আমলে তারা বিদ্যুৎ দিতে পারে নাই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তখন কৃষকের ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছিল, বিঘা প্রতি কৃষক ধান পেত পাঁচ মণ। এখন কৃষক সেচের জন্য দুশ্চিন্তা করে না, বিঘা প্রতি ধান হয় ২৮ মণ।

দেশের এক ইঞ্চি জমিও পতিত না রাখতে প্রধানমন্ত্রীর আহবান স্মরণ করে তিনি বলেন, আমরা এক ইঞ্চি জমিও সেচ সুবিধার বাইরে রাখব না। কৃষিতে আমাদের আরও উন্নয়ন দরকার যাতে বিদেশ থেকে আমদানি করতে না হয়।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট সঙ্কট প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে না তা নয়, আমরা তা বুঝি। কিন্তু সারা বিশ্বের কথা মাথায় রেখে আমাদের সহনশীন আচরণ করতে হবে। করোনার সময় যেমন একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায় নাই তেমনি এ সঙ্কটও কেটে যাবে।

এ সময় খাদ্যমন্ত্রী তাল পিঠার উৎসবের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, আজকে অনেকে বাংলাদেশকে ভুলে যেতে চায়, বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি ভুলে যেতে চায়, বাঙালিয়ানাকে ভুলে যেতে চায়। আগে সারি সারি তালগাছ দেখা যেত। মানুষ রাত জেগে তাল কুড়াতো। পুকুরে তাল পড়লে সেখানেও ঝাঁপ দিত। মেয়ের শশুর বাড়িতে বাবা তাল পিঠা নিয়ে যেত- একসময় এই রীতি খুবই প্রচলিত ছিল। গরুর গাড়ির ধুরি আর বাড়ি বানাতে যেয়ে তালগাছগুলো হারিয়ে গেল। তালগাছ শেষ হওয়ার পরপর আমাদের কৃষ্টিও হারিয়ে গেল।

তিনি বলেন, আজ আমরা সবাই তালপিঠার উৎসবে মেতেছি। আমরা এই উৎসবের মাধ্যমে আবার তা শুরু করেছি। প্রত্যেক বছর ২৪ সেপ্টেম্বর এই পিঠা মেলার মাধ্যমে এই অঞ্চলের পুরোনো রীতি আবার ফিরে আসবে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যখন ঘুঘু ডাঙ্গায় তালগাছগুলো লাগানো হয়, তখন অনেকে আমাকে বলেছিল- আপনি তাল খেতে পারবেন না। কারণ, গরুর মুখের লালা পড়লে তাল গাছ হয় না। আমি তাদের বলেছিলাম, ‘যদি না পড়ে মুখের লাল, বারো বছরে খাবি তাল’- আজ সেই কথা সত্যি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফারুক সুফিয়ানের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।