
আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা যতই ঘনিয়ে আসছে, কক্সবাজারের একটি নির্বাচনী এলাকায় বন্ধু প্রতিম দুই সংগঠন জামায়াতে ইসলামী (দাঁড়িপাল্লা) ও বিএনপির (ধানের শীষ) মধ্যে রাজনৈতিক উত্তাপ ততই বাড়ছে। গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণায় এই দুই দলের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহামদ আনোয়ারী ও সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরীর নেতৃত্বে কর্মী-অনুসারীরা নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ শাহাজাহান সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ধানের শীষ বিজয় হলে জামায়াত অভিনন্দন জানাবে এবং দাঁড়িপাল্লা বিজয় হলে বিএনপিকে অভিনন্দন জানানোর নীতি অনুসরণ করাই হবে রাজনীতির সৌন্দর্য। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই সহবস্থানমূলক নির্বাচনী প্রচারণা চালালে কোনো সহিংসতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
অন্যদিকে উখিয়ায় অনুষ্ঠিত ছাত্র ও যুব সমাবেশে জামায়াত নেতা শাহাজাহান আরও বলেন, সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে ছাত্র-যুব তারুণ্য শক্তিই দাঁড়িপাল্লা মার্কার বিজয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এরই মধ্যে উখিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি এডভোকেট শাহাজালাল চৌধুরী (যিনি বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধুরীর আপন ছোট ভাই) প্রকাশ্যে অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহামদ আনোয়ারী এমপি নির্বাচিত হবেন বলে মন্তব্য করেন। সাবেক সাংসদের সহোদরের এমন অবস্থান উখিয়া-টেকনাফের ভোটের রাজনীতিতে আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়ার মতো ঘটনা, যা উখিয়ার টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহামদ আনোয়ারী অভিযোগ করে বলেন, তার নেতাকর্মীদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে এবং পুলিশ প্রশাসন একপক্ষীয় আচরণ করছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পুলিশ প্রশাসন যদি মামলা বাণিজ্য ও একপক্ষীয় আচরণ থেকে বিরত না থাকে, তবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। টেকনাফ উপজেলায় ভোট বেশি থাকায়, নারীদের ভোট বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা ও ছোট ভাই শাহাজালাল চৌধুরীর বিরোধিতার কারণে ধানের শীষ প্রতীককে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। সচেতন মহল মনে করেন, বিগত নির্বাচনের জোটের অবস্থান স্মরণ করে সুহার্দপূর্ণ পরিবেশ, ভয়ভীতি হুমকি-ধমকি এবং প্রশাসনের একপক্ষীয় আচরণ পরিহার করে একটি লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির মাধ্যমেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অর্থবহ নির্বাচন সম্ভব।
মোস্তফা জামান চৌধুরী, কক্সবাজার প্রতিনিধি : 


















