ঢাকা ১০:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিশু রৌজা মনি হ/ত্যা মা’মলা তুলে নিতে স্বামীর বিরুদ্ধে নি/র্যা’তনের অভিযোগ

কিশোরগঞ্জে শিশু কন্যা রৌজা মনি (৬) হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মা মোছাঃ আছমা আক্তার। একই সাথে হত্যায় জড়িত আসামিপক্ষের সাথে আপোস-মীমাংসা করার জন্য স্বামী সুমন মিয়া ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং শারীরিক নির্যাতন করে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ এনে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছেন। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার চরমারিয়া গ্রামে বাবার বাড়িতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ আনেন নিহত রৌজা মনির মা। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৬ জুলাই বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিন পর ১১ জুলাই ওই এলাকার একটি পাটখেতে রৌজা মনির অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মা আছমা আক্তার বাদী হয়ে স্থানীয় যুবক রাসেল মিয়া, রুকন ও দ্বীন ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার করলেও উচ্চ আদালত থেকে তারা জামিন পায়।

আছমা আক্তার লিখিত বক্তব্যে জানান, আসামিরা জামিন পাওয়ার কিছুদিন পর থেকে তাদের প্রলোভন ও প্ররোচনায় তার স্বামী সুমন মিয়া ও শাশুড়ি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। তিনি রাজি না হওয়ায় গালিগালাজসহ তার উপর নির্যাতন চলতে থাকে। এ পরিস্থিতিতে তিনি তার স্বামী সুমন মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন হত্যায় জড়িত থাকতে পারে সন্দেহে তদন্তের জন্য চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর লিখিত আবেদন করেন। এর ফলে স্বামীর নির্যাতন আরও বৃদ্ধি পায়।

মামলা প্রত্যাহারের জন্য স্বামী সুমন মিয়া ও শাশুড়ি মিলে তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করলে তিনি শহীদ সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই নির্যাতনের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করলে বিচারক সেটিকে এফআইআর হিসাবে থানায় মামলা নেওয়ার জন্য ওসিকে নির্দেশ দেন। চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটানো আছমা আক্তার তার জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রশাসনের জরুরি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত নিহত শিশু রৌজা মনির বাবা সুমন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শিশু রৌজা মনি হ/ত্যা মা’মলা তুলে নিতে স্বামীর বিরুদ্ধে নি/র্যা’তনের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৯:৩১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

কিশোরগঞ্জে শিশু কন্যা রৌজা মনি (৬) হত্যার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মা মোছাঃ আছমা আক্তার। একই সাথে হত্যায় জড়িত আসামিপক্ষের সাথে আপোস-মীমাংসা করার জন্য স্বামী সুমন মিয়া ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং শারীরিক নির্যাতন করে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ এনে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছেন। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার চরমারিয়া গ্রামে বাবার বাড়িতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ আনেন নিহত রৌজা মনির মা। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৬ জুলাই বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিন পর ১১ জুলাই ওই এলাকার একটি পাটখেতে রৌজা মনির অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মা আছমা আক্তার বাদী হয়ে স্থানীয় যুবক রাসেল মিয়া, রুকন ও দ্বীন ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার করলেও উচ্চ আদালত থেকে তারা জামিন পায়।

আছমা আক্তার লিখিত বক্তব্যে জানান, আসামিরা জামিন পাওয়ার কিছুদিন পর থেকে তাদের প্রলোভন ও প্ররোচনায় তার স্বামী সুমন মিয়া ও শাশুড়ি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। তিনি রাজি না হওয়ায় গালিগালাজসহ তার উপর নির্যাতন চলতে থাকে। এ পরিস্থিতিতে তিনি তার স্বামী সুমন মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন হত্যায় জড়িত থাকতে পারে সন্দেহে তদন্তের জন্য চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর লিখিত আবেদন করেন। এর ফলে স্বামীর নির্যাতন আরও বৃদ্ধি পায়।

মামলা প্রত্যাহারের জন্য স্বামী সুমন মিয়া ও শাশুড়ি মিলে তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করলে তিনি শহীদ সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই নির্যাতনের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করলে বিচারক সেটিকে এফআইআর হিসাবে থানায় মামলা নেওয়ার জন্য ওসিকে নির্দেশ দেন। চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটানো আছমা আক্তার তার জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রশাসনের জরুরি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত নিহত শিশু রৌজা মনির বাবা সুমন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।