
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান শিকদার (৫১) এর বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার আট দিন পর রুপা আক্তার (১৪) নামের ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামের নিজ বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে রুপা আত্মহত্যা করে। ঘটনার পরপরই স্থানীয় জনতা অভিযুক্ত ইমামকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
নিহত রুপা আক্তার ছিলেন আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা হাফেজিয়া মাদরাসার পঞ্চম জামাতের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত ইমাম মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান শিকদার বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের বাসিন্দা। নিহতের মা বেবি বেগম জানান, মাদ্রাসা ছুটির পরে তাঁর মেয়েকে রুমে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত ইমাম। তিনি বলেন, “সে বাড়িতে এসে আমাদের জানালে মানসম্মানের ভয়ে আমরা চুপ হয়ে যাই। কিন্তু আমার মেয়ে ঘটনা সহ্য করতে না পেরে আট দিন পর আজ ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি এই ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই।”
মুকসুদপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা শীতল চন্দ্র পাল জানান, আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক ও স্থানীয় মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এবং এই ঘটনায় শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসানকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি : 



















