ঢাকা ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈশ্বরদীতে ৮ কুকুরছানা হত্যা মামলা : অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ চত্বরে মা কুকুরের অগোচরে আটটি কুকুরছানাকে বস্তাবন্দী করে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যার ঘটনায় গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার একমাত্র আসামি মোছা: নিশি রহমানকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন। রাত দেড়টার দিকে নতুন ভাড়া বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন জানান, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে প্রাণী কল্যাণ আইন-২০১৯ এর ৭ ধারায় রাত নয়টার দিকে থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী নিশি বেগমকে আসামি করা হয়।

আকলিমা খাতুন বলেন, ঘটনাটি জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার মহোদয় ফোন করে এই ঘটনাকে অমানবিক বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই ঘটনা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। তাই প্রাণী হত্যায় জড়িতদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।” এছাড়াও মহাপরিচালক স্যারও ফোন করে তাঁর পক্ষে মামলা দায়ের করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এদিকে, এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা থেকে এনিমেল অ্যাকটিভিস্ট কমিটির একটি তদন্ত টিম ঈশ্বরদীতে এসেছে।

কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তার পরিবারকে সরকারি কোয়ার্টার থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নকে মঙ্গলবারের মধ্যে গেজেটেড কোয়ার্টার ছাড়তে লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি জেনেছেন, তাঁরা ইতোমধ্যে বাসা খালি করে অন্যত্র চলে গেছেন। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুন নূর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঈশ্বরদীতে ৮ কুকুরছানা হত্যা মামলা : অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ১২:২৫:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ চত্বরে মা কুকুরের অগোচরে আটটি কুকুরছানাকে বস্তাবন্দী করে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যার ঘটনায় গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার একমাত্র আসামি মোছা: নিশি রহমানকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন। রাত দেড়টার দিকে নতুন ভাড়া বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন জানান, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে প্রাণী কল্যাণ আইন-২০১৯ এর ৭ ধারায় রাত নয়টার দিকে থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী নিশি বেগমকে আসামি করা হয়।

আকলিমা খাতুন বলেন, ঘটনাটি জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার মহোদয় ফোন করে এই ঘটনাকে অমানবিক বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই ঘটনা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। তাই প্রাণী হত্যায় জড়িতদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।” এছাড়াও মহাপরিচালক স্যারও ফোন করে তাঁর পক্ষে মামলা দায়ের করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এদিকে, এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা থেকে এনিমেল অ্যাকটিভিস্ট কমিটির একটি তদন্ত টিম ঈশ্বরদীতে এসেছে।

কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তার পরিবারকে সরকারি কোয়ার্টার থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নকে মঙ্গলবারের মধ্যে গেজেটেড কোয়ার্টার ছাড়তে লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি জেনেছেন, তাঁরা ইতোমধ্যে বাসা খালি করে অন্যত্র চলে গেছেন। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুন নূর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।