
নওগাঁর ধামইরহাটে অবৈধ মাদকদ্রব্য চোরাকারবারি ও সেবকদের অভয়ারণ্যের পরিণত হয়েছে। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উপজেলা সদর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে অবাধে বিক্রি হচ্ছে মদ, ফেনসিডিল, গাঁজা নেশাজাতীয় ট্যাবলেট, ইনজেকশান ও হিরোইন। মাদক দ্রব্যের ব্যবসার পাশাপাশি দিন দিন আশঙ্কা জনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে মাদক সেবিদের সংখ্যা। উঠতি বয়সের যুবক, ছাত্র, চাকরিজীবী, শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর মধ্যে মাদকাসক্ত বর্তমানে সংক্রামক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।
মাদকদ্রব্যের করালগ্রাসে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে নেশার টাকা জোগাড় করতে মাদক সেবীরা পরিবারে বাবা-মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ, চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি সহ সমাজের বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডে প্রতিনিয়ত জড়িয়ে পড়ছে। মাদকাসক্তের ভয়াবহ পরিণতির হাত থেকে রক্ষা করতে এলাকার অভিভাবকরা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলা সদরসহ সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো অন্তত ১৫-২০ টি স্পটে ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে প্রকাশ্যে নারী-পুরুষ ও কিশোররা বিক্রি করছে মাদকদ্রব্য। প্রশাসনের রহস্যজনক ভূমিকায় একদিকে মাদক ব্যবসায়ীরা দাপটের সাথে তাদের ব্যবসা চালাচ্ছে। অন্যদিকে মাদক সেবীরা ক্রমশই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
মাদক ব্যবসার শক্তিশালী নেটওয়ার্কের কারণে এলাকাবাসী তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছে না। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নীরব ভূমিকা নিয়ে ইতোমধ্যেই নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে দু'এক জন মাদক ব্যবসায়ী মাঝে মধ্যে ধরা পড়লেও অদৃশ্য কারণে মাদক সম্রাটরা থাকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে যারা ধরা পড়ে জেলে যায় আইনের ফাঁক-ফোকরে জেল থেকে বেরিয়ে এসে আবার সাবেক পেশায় জড়িয়ে যায়।
অভিজ্ঞ মহলের মতে, মাদকদ্রব্যের সহজ লভ্যতাই মাদকাসক্তদের সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।