
রংপুরে কখনো পুরুষ, কখনো নারী সেনাসদস্য পরিচয়ে প্রতারণা চালানো নাজমুল হাসান ওরফে জিম (২৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৩। বুধবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পীরগাছা উপজেলার অভিরাম গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়। নাজমুল ওই এলাকার মো. সাজ্জাদ হোসেন ওরফে জাহিদুল ইসলামের ছেলে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, নাজমুল সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে অনলাইনে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন। কখনো সেনা ইউনিফর্ম পরে ভিডিওকলে নিজেকে সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে উপস্থাপন করতেন, আবার কখনো নারীর বেশ ধারণ করে নারীকণ্ঠে কথা বলতেন। বিভিন্ন সময় জমি কেনাবেচা, বিনিয়োগ কিংবা বিশেষ সুযোগের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতেন তিনি।
প্রতারকের ফাঁদে পড়েন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সাওয়ালিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম (৪৫)। সেনাসদস্য পরিচয়ে নাজমুল ও তাঁর সহযোগীরা রাজশাহীতে ১০ কাঠা জমির শেয়ার বিক্রির প্রলোভন দেখান। ইউনিফর্ম পরে ভিডিওকলে বিশ্বাস অর্জন করে ধাপে ধাপে রফিকুলের কাছ থেকে ১৭ লাখ ২৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। পরে আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করলে সন্দেহের সূত্র ধরে রফিকুল বুঝতে পারেন এটি একটি সংঘবদ্ধ প্রতারণা চক্র, এবং এ ঘটনায় তিনি হোসেনপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারের সময় নাজমুলের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম ও কমব্যাট ড্রেস, নৌবাহিনীর সাদা ড্রেস ও জার্সি ক্যাপ, বিভিন্ন বাহিনীর ক্যানটিন গেঞ্জি ১৫টি, ভুয়া এনআইডি কার্ড ৯টি, পাঁচটি বাটন মোবাইল, একটি স্মার্টফোন, মেয়েদের পরচুলা ও মেকআপ সেট উদ্ধার করা হয়।

র্যাব-১৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, নাজমুল দীর্ঘদিন ধরে সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। এ ধরনের প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেপ্তার নাজমুলকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
রংপুর প্রতিনিধি : 



















