
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে শোবার ঘর থেকে বাবা ও মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার ভূবনকুড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমিরখাকুড়া গ্রামে।
নিহতরা হলেন—শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার খলিশাকুড়া গ্রামের মো. রতন মিয়া (৩০) ও তার মেয়ে নরিয়া আক্তার (৭)। আহত স্ত্রী মোছাঃ জুলেখা বেগম (২৫) বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, রতন মিয়া গাজীপুরে একটি গার্মেন্টসে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। জুলেখা বেগম দুই বছর আগে দুবাই গৃহকর্মী হিসেবে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি ছুটি নিয়ে দেশে ফেরার পর দেড় মাস ধরে তিনি বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টা থেকে ২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে শোবার ঘর থেকে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় বাবা-মেয়ে ও আহত স্ত্রীকে দেখতে পান।
হালুয়াঘাট থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে খাটের ওপর মেয়ের ও মেঝেতে বাবার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেন এবং গুরুতর আহত জুলেখা বেগমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনায় উদ্ধার করা হয়েছে একটি রক্তমাখা চাকু এবং একটি চিরকুট, যা তদন্তে ব্যবহার করা হচ্ছে।
হালুয়াঘাট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নাকি পারিবারিক বিরোধের জের—তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি নির্ণয় করা হবে। ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য সিআইডির বিশেষ ক্রাইম সিন টিমকে অবহিত করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
মোঃ আতিকুল ইসলাম সোহাগ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি : 



















