ঢাকার আশুলিয়ার কন্ডা মাঝিপাড়া এলাকায় চাঁদার দাবিতে সংখ্যালঘু পরিবারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দেলোয়ার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। জানা গেছে, অভিযুক্ত দেলোয়ার একাধিক মামলার আসামি। ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেলোয়ার ও তার সহযোগীরা ওইদিন মাঝিপাড়ার বাসিন্দা ও কন্ডা মাঝিপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক পরিমল রাজবংশীর বাড়ি ও দোকানে হামলা চালায়। তারা দোকানের দরজা-শাটার ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। সে সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ সদস্য না থাকায় নারীরা বাধা দিলে তাদের গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এতে ভুক্তভোগী পরিবারসহ স্থানীয়রা আতঙ্কে রয়েছেন।
ভুক্তভোগী পরিমল রাজবংশী বলেন, “আমি ৫৩ বছর ধরে এখানে মুদি দোকান চালাই। কয়েক দিন আগে দেলোয়ার দোকানে এসে আমাকে না পেয়ে গালাগালি করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দোকান ও বাড়িতে ভাংচুর চালায়। চাঁদা হিসেবে তিন লাখ টাকা দাবি করে এবং না দিলে ব্যবসা বন্ধ করে দেবে বলে হুমকি দেয়।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ত্রাস সৃষ্টি করছেন। অভিযোগ করলেই তিনি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। সম্প্রতি হামলার পর ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধেই উল্টো মামলা করা হয়েছে বলে জানান তারা।
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, “ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।”
এদিকে স্থানীয় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত দেলোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
নিজস্ব প্রতিনিধি : 























