ঢাকা ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দীর্ঘ ৪০ বছরের রাজনীতি, ১৫৬ মামলা : ঢাকা-১৮ আসনে কফিল উদ্দিনের মনোনয়ন দাবি

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও রশিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. কফিল উদ্দিন আহম্মেদ বর্তমানে ঢাকা-১৮ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ তাকে এ অঞ্চলের মানুষের কাছে এক আস্থাভাজন ব্যক্তিতে পরিণত করেছে।

এম. কফিল উদ্দিন আহম্মেদ ১৯৬৯ সালের ১ এপ্রিল ঢাকা জেলার উত্তরা এলাকার ফায়দাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুর রশিদ মাতব্বরের সন্তান। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন এবং টঙ্গী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পড়ার সময় ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত হন। ৯০ এর স্বৈরাচার আন্দোলনের সময় কলেজ ছাত্রনেতা হিসেবে সাহসী ভূমিকা পালন করে তিনি সকলের নজরে আসেন। এরপর তিনি টঙ্গী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জিএস এবং ভিপি নির্বাচিত হন। ছাত্র রাজনীতি শেষে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবং বৃহত্তর উত্তরা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়ে এম. কফিল উদ্দিন আহম্মেদ ২০০২ সালে তৈরি পোশাক শিল্পে তার যাত্রা শুরু করেন। তার নেতৃত্বাধীন রশিদ গ্রুপ বর্তমানে প্রায় ১০,০০০ (দশ হাজার) দক্ষ কর্মীর কর্মসংস্থান তৈরি করেছে এবং এটি ১২টিরও বেশি শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে গঠিত। জে.এফ.কে ফ্যাশন লিমিটেড, রশিদ অটো ব্রিকস্ লিমিটেড, এফ কে গ্রীন ফ্যাশন লিমিটেড সহ একাধিক রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই গ্রুপের অধীনে। ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি তিনি বিজিএমইএ (বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন)-এর সদস্য এবং এফবিসিসিআই (ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি)-এর সাধারণ সদস্য সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন।

ব্যক্তিগত উদ্যোগের বাইরেও এম. কফিল উদ্দিন আহম্মেদ অসংখ্য সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক। তিনি তার পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত রশিদ ফাউন্ডেশন-এর মাধ্যমে ব্যাপক সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়নের জন্য তিনি নিজ এলাকায় ফায়দাবাদ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া তিনি জনসাধারণের জন্য ৭০% ছাড়ে চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়ন, দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সেবা প্রদান এবং বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষত, কোভিড-১৯ এর মহামারি চলাকালীন সময়ে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাস্ক, পিপিই, খাদ্য সামগ্রী এবং নগদ অর্থ বিতরণ করে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা-১৮ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী, রশিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. কফিল উদ্দিন আহমেদ ‘নববাণী’ পত্রিকার প্রতিবেদককে তার রাজনৈতিক জীবনের সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন যাবত বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত, এ রাজনীতি করতে গিয়ে আমার ও আমার পরিবারের অনেক সদস্যকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। আমি প্রায় ১৫৬টি মিথ্যা মামলার আসামি হই, এসব মামলার কারণে আমি আমার নিজ এলাকায় বসবাস করতে পারিনি। আমার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন সময় হয়রানি করা হয়েছে। আমাকে দুটি মামলায় একটিতে ১০ বছর ও আরেকটিতে ৭ বছরের সাজা দেওয়া হয়।”

রাজনৈতিক ত্যাগের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “আমার এই রাজনৈতিক জীবনে পথ চলার ৪০ বছরে আমার পরিবারের কোনো সদস্য অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নয়। আমার জীবন, যৌবন, অর্থ, শ্রম—যা আছে সবকিছুই এ রাজনীতির পিছনে দিয়েছি। একমাত্র আমিই এইখানে দাবিদার, আমিই গুড়াপত্তন করেছি এবং আমি শেষ পর্যন্ত আছি, আমি মামলা-হামলার শিকার হয়েছি।” পারিবারিক হয়রানির তিক্ত অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার বড় ভাই ও ভাইস্তা দুবাই থেকে দেশে আসার পর দক্ষিণখান থানা পুলিশ তাদের না পেয়ে রশি দিয়ে বেঁধে থানায় নিয়ে যায়। এমনকি তার ভাই নিজের আত্মসম্মান রক্ষার জন্য আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন, যা ওই থানার এক পুলিশ সদস্য তাকে জানান। পারিবারিক এত অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেও তিনি দলের সাথে আছেন।

সামনে জাতীয় নির্বাচন উল্লেখ করে এম. কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমি রাজনীতির পাশাপাশি একজন ব্যবসায়ী, আমি অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করি। আমার শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১২ হাজারের অধিক শ্রমিক রয়েছে, তাদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছি। আমি আমার নিজ এলাকায় যথেষ্ট উন্নয়নমূলক কাজ করার চেষ্টা করেছি।” ঢাকা-১৮ আসনে সাধারণ মানুষের ভাগ্যন্নোয়নের লক্ষ্যে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক এই নেতা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী, “আমার দল, আমাদের পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা আমাকে মনোনয়নটা দিবেন এবং মনোনয়ন দিলে ইনশাআল্লাহ্ বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ভোট এই আসন থেকে উপহার দিতে পারবো।” তার মানবিকতা, দক্ষতা, কর্তব্যপরায়ণতা এবং রাজনৈতিক বিচক্ষণতা তাকে এ অঞ্চলের জনগণের কাছে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত করেছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বার্তা বিভাগ

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ৪০ বছরের রাজনীতি, ১৫৬ মামলা : ঢাকা-১৮ আসনে কফিল উদ্দিনের মনোনয়ন দাবি

আপডেট সময় ০৭:৫৪:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও রশিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. কফিল উদ্দিন আহম্মেদ বর্তমানে ঢাকা-১৮ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ তাকে এ অঞ্চলের মানুষের কাছে এক আস্থাভাজন ব্যক্তিতে পরিণত করেছে।

এম. কফিল উদ্দিন আহম্মেদ ১৯৬৯ সালের ১ এপ্রিল ঢাকা জেলার উত্তরা এলাকার ফায়দাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুর রশিদ মাতব্বরের সন্তান। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন এবং টঙ্গী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পড়ার সময় ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত হন। ৯০ এর স্বৈরাচার আন্দোলনের সময় কলেজ ছাত্রনেতা হিসেবে সাহসী ভূমিকা পালন করে তিনি সকলের নজরে আসেন। এরপর তিনি টঙ্গী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জিএস এবং ভিপি নির্বাচিত হন। ছাত্র রাজনীতি শেষে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবং বৃহত্তর উত্তরা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়ে এম. কফিল উদ্দিন আহম্মেদ ২০০২ সালে তৈরি পোশাক শিল্পে তার যাত্রা শুরু করেন। তার নেতৃত্বাধীন রশিদ গ্রুপ বর্তমানে প্রায় ১০,০০০ (দশ হাজার) দক্ষ কর্মীর কর্মসংস্থান তৈরি করেছে এবং এটি ১২টিরও বেশি শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে গঠিত। জে.এফ.কে ফ্যাশন লিমিটেড, রশিদ অটো ব্রিকস্ লিমিটেড, এফ কে গ্রীন ফ্যাশন লিমিটেড সহ একাধিক রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই গ্রুপের অধীনে। ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি তিনি বিজিএমইএ (বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন)-এর সদস্য এবং এফবিসিসিআই (ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি)-এর সাধারণ সদস্য সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন।

ব্যক্তিগত উদ্যোগের বাইরেও এম. কফিল উদ্দিন আহম্মেদ অসংখ্য সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক। তিনি তার পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত রশিদ ফাউন্ডেশন-এর মাধ্যমে ব্যাপক সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়নের জন্য তিনি নিজ এলাকায় ফায়দাবাদ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া তিনি জনসাধারণের জন্য ৭০% ছাড়ে চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়ন, দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সেবা প্রদান এবং বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষত, কোভিড-১৯ এর মহামারি চলাকালীন সময়ে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাস্ক, পিপিই, খাদ্য সামগ্রী এবং নগদ অর্থ বিতরণ করে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা-১৮ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী, রশিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. কফিল উদ্দিন আহমেদ ‘নববাণী’ পত্রিকার প্রতিবেদককে তার রাজনৈতিক জীবনের সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন যাবত বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত, এ রাজনীতি করতে গিয়ে আমার ও আমার পরিবারের অনেক সদস্যকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। আমি প্রায় ১৫৬টি মিথ্যা মামলার আসামি হই, এসব মামলার কারণে আমি আমার নিজ এলাকায় বসবাস করতে পারিনি। আমার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন সময় হয়রানি করা হয়েছে। আমাকে দুটি মামলায় একটিতে ১০ বছর ও আরেকটিতে ৭ বছরের সাজা দেওয়া হয়।”

রাজনৈতিক ত্যাগের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “আমার এই রাজনৈতিক জীবনে পথ চলার ৪০ বছরে আমার পরিবারের কোনো সদস্য অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নয়। আমার জীবন, যৌবন, অর্থ, শ্রম—যা আছে সবকিছুই এ রাজনীতির পিছনে দিয়েছি। একমাত্র আমিই এইখানে দাবিদার, আমিই গুড়াপত্তন করেছি এবং আমি শেষ পর্যন্ত আছি, আমি মামলা-হামলার শিকার হয়েছি।” পারিবারিক হয়রানির তিক্ত অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার বড় ভাই ও ভাইস্তা দুবাই থেকে দেশে আসার পর দক্ষিণখান থানা পুলিশ তাদের না পেয়ে রশি দিয়ে বেঁধে থানায় নিয়ে যায়। এমনকি তার ভাই নিজের আত্মসম্মান রক্ষার জন্য আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন, যা ওই থানার এক পুলিশ সদস্য তাকে জানান। পারিবারিক এত অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেও তিনি দলের সাথে আছেন।

সামনে জাতীয় নির্বাচন উল্লেখ করে এম. কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমি রাজনীতির পাশাপাশি একজন ব্যবসায়ী, আমি অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করি। আমার শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১২ হাজারের অধিক শ্রমিক রয়েছে, তাদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছি। আমি আমার নিজ এলাকায় যথেষ্ট উন্নয়নমূলক কাজ করার চেষ্টা করেছি।” ঢাকা-১৮ আসনে সাধারণ মানুষের ভাগ্যন্নোয়নের লক্ষ্যে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক এই নেতা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী, “আমার দল, আমাদের পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা আমাকে মনোনয়নটা দিবেন এবং মনোনয়ন দিলে ইনশাআল্লাহ্ বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ভোট এই আসন থেকে উপহার দিতে পারবো।” তার মানবিকতা, দক্ষতা, কর্তব্যপরায়ণতা এবং রাজনৈতিক বিচক্ষণতা তাকে এ অঞ্চলের জনগণের কাছে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত করেছে।