ঢাকা ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধার সাঘাটায় বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা-প্রার্থীর শোডাউন ঘিরে ১৪৪ ধারা জারি 

গাইবান্ধার সাঘাটায় বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা-প্রার্থীর শোডাউন ঘিরে ১৪৪ ধারা জারি। সাঘাটা উপজেলায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও দল থেকে বহিষ্কৃত নেতার সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর মো. আল কামাহ্ তমাল স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
০৯ নভেম্বর ২০২৫ আজ রোববার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সাঘাটা উপজেলা ও আশপাশ এলাকায় ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, একই দিনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাওয়া ফারুক আলম সরকারের সমর্থকদের মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুইটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে স্থানীয়ভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এই সময় অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র বহন, মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমবেত হওয়া, সভা-সমাবেশ ও মিছিল আয়োজন নিষিদ্ধ থাকবে। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।
গত ৩ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফারুক আলমের নাম ঘোষণা করেন।
তার আগে ২৪ অক্টোবর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমদে স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বিএনপির তৃণমূলের নেতা কর্মীরা উল্লেখ করেছেন, নাহিদুজ্জামান নিশাদ কোনোদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। পতিত স্বৈরাচার হাসিনার সরকার ছাত্র-জনতারা রোষানলে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই তিনি নিজেকে বিএনপির নেতা দাবি করেন। এছাড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। নিশাদ বগুড়া জেলার প্রভাব খাটিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করছেন।
সাঘাটার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য পুলিশ শক্তভাবে মাঠে অবস্থান করছে। ১৪৪ ধারা ভেঙে কাউকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বার্তা বিভাগ

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

গাইবান্ধার সাঘাটায় বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা-প্রার্থীর শোডাউন ঘিরে ১৪৪ ধারা জারি 

আপডেট সময় ০৫:২০:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
গাইবান্ধার সাঘাটায় বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা-প্রার্থীর শোডাউন ঘিরে ১৪৪ ধারা জারি। সাঘাটা উপজেলায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও দল থেকে বহিষ্কৃত নেতার সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর মো. আল কামাহ্ তমাল স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
০৯ নভেম্বর ২০২৫ আজ রোববার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সাঘাটা উপজেলা ও আশপাশ এলাকায় ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, একই দিনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাওয়া ফারুক আলম সরকারের সমর্থকদের মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুইটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে স্থানীয়ভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এই সময় অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র বহন, মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমবেত হওয়া, সভা-সমাবেশ ও মিছিল আয়োজন নিষিদ্ধ থাকবে। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।
গত ৩ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফারুক আলমের নাম ঘোষণা করেন।
তার আগে ২৪ অক্টোবর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমদে স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বিএনপির তৃণমূলের নেতা কর্মীরা উল্লেখ করেছেন, নাহিদুজ্জামান নিশাদ কোনোদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। পতিত স্বৈরাচার হাসিনার সরকার ছাত্র-জনতারা রোষানলে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই তিনি নিজেকে বিএনপির নেতা দাবি করেন। এছাড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। নিশাদ বগুড়া জেলার প্রভাব খাটিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করছেন।
সাঘাটার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য পুলিশ শক্তভাবে মাঠে অবস্থান করছে। ১৪৪ ধারা ভেঙে কাউকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না।