ঢাকা ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেবীগঞ্জে ৩ দফা দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি

সারাদেশের মতো পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জেও দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন ও শাহবাগে শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে দেবীগঞ্জ উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কর্মবিরতি শুরু হয়।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও কোনো শিক্ষক ক্লাসে যাননি। শিক্ষকরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চেয়ার নিয়ে বসে কর্মবিরতি পালন করছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার শাহবাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ‘কলম বিরতি’ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে বহু শিক্ষক আহত হন। এর প্রতিবাদে এবং দীর্ঘদিনের তিন দফা দাবির বাস্তবায়নের দাবিতে তারা এ কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছেন।
দেবীগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইফুর রহমান চৌধুরী (শরীফ) বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন বৈষম্যের শিকার। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন দিতে হবে। চাকরিতে যোগদানের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দিতে হবে এবং বিভাগীয় পদোন্নতিতে শতভাগ নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে হবে। দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
ধনু চেংঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে. এম. আফতাব আলী বলেন, সারাদেশের মতো আমাদের বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এলেও শিক্ষকরা পাঠদান থেকে বিরত রয়েছেন। আমরা তাদের ন্যায্য দাবির প্রতি মৌন সমর্থন জানিয়েছি।
দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ছত্রশিকারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুল্লাহ আজাদ বলেন, বিশ্বের কোনো দেশেই শিক্ষকদের এত কম বেতন দেওয়া হয় না। একই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অন্য সরকারি কর্মকর্তারা দশম গ্রেড পাচ্ছেন, কিন্তু আমরা বঞ্চিত। এই বৈষম্য দূর করাই আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য।
দেবীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মো. হেদায়েতুল ইসলাম বলেন,
শনিবার শাহবাগে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ শিক্ষক সমাজের ওপর হামলা চালিয়েছে, এতে বহু শিক্ষক আহত হয়েছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। যতক্ষণ পর্যন্ত তিন দফা দাবি পূরণ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বার্তা বিভাগ

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

দেবীগঞ্জে ৩ দফা দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি

আপডেট সময় ০৫:১০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
সারাদেশের মতো পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জেও দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন ও শাহবাগে শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে দেবীগঞ্জ উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কর্মবিরতি শুরু হয়।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও কোনো শিক্ষক ক্লাসে যাননি। শিক্ষকরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চেয়ার নিয়ে বসে কর্মবিরতি পালন করছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার শাহবাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ‘কলম বিরতি’ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে বহু শিক্ষক আহত হন। এর প্রতিবাদে এবং দীর্ঘদিনের তিন দফা দাবির বাস্তবায়নের দাবিতে তারা এ কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছেন।
দেবীগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইফুর রহমান চৌধুরী (শরীফ) বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন বৈষম্যের শিকার। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন দিতে হবে। চাকরিতে যোগদানের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দিতে হবে এবং বিভাগীয় পদোন্নতিতে শতভাগ নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে হবে। দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
ধনু চেংঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে. এম. আফতাব আলী বলেন, সারাদেশের মতো আমাদের বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এলেও শিক্ষকরা পাঠদান থেকে বিরত রয়েছেন। আমরা তাদের ন্যায্য দাবির প্রতি মৌন সমর্থন জানিয়েছি।
দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ছত্রশিকারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুল্লাহ আজাদ বলেন, বিশ্বের কোনো দেশেই শিক্ষকদের এত কম বেতন দেওয়া হয় না। একই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অন্য সরকারি কর্মকর্তারা দশম গ্রেড পাচ্ছেন, কিন্তু আমরা বঞ্চিত। এই বৈষম্য দূর করাই আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য।
দেবীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মো. হেদায়েতুল ইসলাম বলেন,
শনিবার শাহবাগে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ শিক্ষক সমাজের ওপর হামলা চালিয়েছে, এতে বহু শিক্ষক আহত হয়েছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। যতক্ষণ পর্যন্ত তিন দফা দাবি পূরণ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।