ঢাকা ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিন্দু প্রতিনিধি সম্মেলনে তারেক রহমানের পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৩০:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আজ শনিবার মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘হিন্দু প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২৫’। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

নিচে তাঁর পূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরা হলো—

“আপনাদের বক্তব্য শুনতে শুনতে আমার উপলব্ধিতে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে—‘ধর্মীয় বিশ্বাস’ প্রতিটি ধর্মেই একটি ঐক্যসূত্র হিসেবে কাজ করে। তবে নিজ নিজ ধর্মীয় বিধি-বিধান জানা, মানা ও বোঝার ক্ষেত্রে যেমন গোত্র-গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের মধ্যে ভিন্নতা থাকে, তেমনি ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজজীবনেও এর বাস্তবায়নে ভিন্নতা দেখা যায়। অর্থাৎ একই ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেও বৈচিত্র্য রয়েছে।”

“আমাদের দেশে নানা ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী, সম্প্রদায় ও জাতি-উপজাতির মানুষ বসবাস করে। নিজ নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর আচার-অনুষ্ঠানে ভিন্নতা থাকলেও এই বৈচিত্র্যের মধ্যকার ঐক্যই আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সৌন্দর্য।”

“এই বৈচিত্র্যময় সমাজে আমাদের প্রতিটি নাগরিকের মধ্যে একটি ঐক্যসূত্র রয়েছে—সেটি হলো, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’। আমরা যেই ধর্ম, জাতি বা গোষ্ঠীরই হই না কেন, আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাংলাদেশী। একজন নাগরিক হিসেবে এই দেশের যতটুকু অধিকার আপনার, আমারও ততটুকু অধিকার।”

“রাষ্ট্র ও সমাজে সম্মান ও নিরাপত্তার সঙ্গে চলতে হলে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের কর্মী বা সমর্থক হওয়া জরুরি নয়। প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। তবে সংবিধান ও আইন মেনে চলা সবার দায়িত্ব।”

“বিতাড়িত ফ্যাসিবাদের সময় দেশে আইনের শাসন ছিল না। বিএনপির ৫০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দেড় লাখ মামলা হয়েছিল, ৭০০-রও বেশি নেতা-কর্মী গুম হয়েছিলেন। রাতের বেলা আদালত বসিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছিল। এর কারণ—দেশে ন্যায়বিচার অনুপস্থিত ছিল।”

“পলাতক স্বৈরাচারের শাসনামলে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ডান-বাম—কোনো পক্ষই নিরাপদ ছিল না। ২০১২ সালের রামু বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা কিংবা ২০১৬ সালের নাসিরনগরের হামলাসহ কোনো ঘটনারই বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত হয়নি, বিচার হয়নি।”

“আমি বারবার বলেছি—বিভিন্ন ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর সংঘটিত হামলাগুলোর সত্য উদ্ঘাটনে নাগরিক তদন্ত কমিশন গঠন করে বিচার করতে হবে। কিন্তু আজও কোনো ঘটনারই বিচার হয়নি। তাই বিএনপি বিশ্বাস করে, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন ছাড়া কোনো নাগরিকই নিরাপদ নয়—সে সংখ্যালঘু হোক বা সংখ্যাগুরু।”

“ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সুযোগ এখন রয়েছে। তবে আমাদের রাজপথের কিছু সঙ্গীর ভূমিকা মাঝে মাঝে দেশকে অস্থিতিশীল করার আশঙ্কা সৃষ্টি করছে। দেশ অস্থিতিশীল হলে পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তির পুনর্বাসনের পথ সুগম হয়।”

“৫ আগস্টের পতিত ফ্যাসিবাদী অপশক্তি যেন কোনো দলের আড়ালে ‘গুপ্ত কৌশলে’ দেশকে অস্থিতিশীল না করতে পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা জরুরি। বিএনপি তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার মনোভাব বজায় রেখেছে।”

“বিএনপি একটি শান্তিকামী, সহনশীল ও জনমুখী রাজনৈতিক দল। ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ। জনগণের ক্ষমতায়নই বিএনপির রাজনীতির মূল লক্ষ্য।”

“ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে জনগণের ভোটে গঠিত, জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কর্তব্য। বিএনপি এই সরকারকে চাপ দেওয়ার পরিবর্তে ভিন্নমতের জায়গাগুলোতে ‘নোট অফ ডিসেন্ট’কেই ‘ডিসেন্ট ওয়ে’ হিসেবে গ্রহণ করেছে।”

“মতুয়া সম্প্রদায় তথা হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনেরা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপনাদের ভোটের মাধ্যমে আপনারা পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেবেন। বিএনপি ইতোমধ্যেই ‘সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ’ গড়ার বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে।”

“বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ৫০ লাখ পরিবারকে নারীপ্রধানের নামে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ দেওয়া হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের জন্য ‘ফার্মার্স কার্ড’ চালু করা হবে। তরুণদের কর্মসংস্থানের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

“এসব বাস্তবায়নের মাধ্যমে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই আমরা। এজন্য আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আপনাদের সমর্থন চাই।”

“শেষে বলবো—আপনাদের ধর্মীয় পরিচয়কে কেউ যেন দলীয় স্বার্থে ব্যবহার না করতে পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকবেন। নিজেকে সংখ্যালঘু ভাববেন না। আমরা সবাই বাংলাদেশী, এই দেশে সবার সমান অধিকার আছে। বিএনপির কাছে ব্যক্তি বা দলীয় স্বার্থ নয়, দেশের স্বার্থই সর্বাগ্রে। তাই আমরা বলি—‘আমার আগে আমরা, আমাদের আগে দেশ, সবার আগে বাংলাদেশ।’”

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বার্তা বিভাগ

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

হিন্দু প্রতিনিধি সম্মেলনে তারেক রহমানের পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য

আপডেট সময় ০৯:৩০:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আজ শনিবার মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘হিন্দু প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২৫’। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

নিচে তাঁর পূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরা হলো—

“আপনাদের বক্তব্য শুনতে শুনতে আমার উপলব্ধিতে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে—‘ধর্মীয় বিশ্বাস’ প্রতিটি ধর্মেই একটি ঐক্যসূত্র হিসেবে কাজ করে। তবে নিজ নিজ ধর্মীয় বিধি-বিধান জানা, মানা ও বোঝার ক্ষেত্রে যেমন গোত্র-গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের মধ্যে ভিন্নতা থাকে, তেমনি ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজজীবনেও এর বাস্তবায়নে ভিন্নতা দেখা যায়। অর্থাৎ একই ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেও বৈচিত্র্য রয়েছে।”

“আমাদের দেশে নানা ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী, সম্প্রদায় ও জাতি-উপজাতির মানুষ বসবাস করে। নিজ নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর আচার-অনুষ্ঠানে ভিন্নতা থাকলেও এই বৈচিত্র্যের মধ্যকার ঐক্যই আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সৌন্দর্য।”

“এই বৈচিত্র্যময় সমাজে আমাদের প্রতিটি নাগরিকের মধ্যে একটি ঐক্যসূত্র রয়েছে—সেটি হলো, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’। আমরা যেই ধর্ম, জাতি বা গোষ্ঠীরই হই না কেন, আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাংলাদেশী। একজন নাগরিক হিসেবে এই দেশের যতটুকু অধিকার আপনার, আমারও ততটুকু অধিকার।”

“রাষ্ট্র ও সমাজে সম্মান ও নিরাপত্তার সঙ্গে চলতে হলে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের কর্মী বা সমর্থক হওয়া জরুরি নয়। প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। তবে সংবিধান ও আইন মেনে চলা সবার দায়িত্ব।”

“বিতাড়িত ফ্যাসিবাদের সময় দেশে আইনের শাসন ছিল না। বিএনপির ৫০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দেড় লাখ মামলা হয়েছিল, ৭০০-রও বেশি নেতা-কর্মী গুম হয়েছিলেন। রাতের বেলা আদালত বসিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছিল। এর কারণ—দেশে ন্যায়বিচার অনুপস্থিত ছিল।”

“পলাতক স্বৈরাচারের শাসনামলে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ডান-বাম—কোনো পক্ষই নিরাপদ ছিল না। ২০১২ সালের রামু বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা কিংবা ২০১৬ সালের নাসিরনগরের হামলাসহ কোনো ঘটনারই বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত হয়নি, বিচার হয়নি।”

“আমি বারবার বলেছি—বিভিন্ন ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর সংঘটিত হামলাগুলোর সত্য উদ্ঘাটনে নাগরিক তদন্ত কমিশন গঠন করে বিচার করতে হবে। কিন্তু আজও কোনো ঘটনারই বিচার হয়নি। তাই বিএনপি বিশ্বাস করে, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন ছাড়া কোনো নাগরিকই নিরাপদ নয়—সে সংখ্যালঘু হোক বা সংখ্যাগুরু।”

“ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সুযোগ এখন রয়েছে। তবে আমাদের রাজপথের কিছু সঙ্গীর ভূমিকা মাঝে মাঝে দেশকে অস্থিতিশীল করার আশঙ্কা সৃষ্টি করছে। দেশ অস্থিতিশীল হলে পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তির পুনর্বাসনের পথ সুগম হয়।”

“৫ আগস্টের পতিত ফ্যাসিবাদী অপশক্তি যেন কোনো দলের আড়ালে ‘গুপ্ত কৌশলে’ দেশকে অস্থিতিশীল না করতে পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা জরুরি। বিএনপি তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার মনোভাব বজায় রেখেছে।”

“বিএনপি একটি শান্তিকামী, সহনশীল ও জনমুখী রাজনৈতিক দল। ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ। জনগণের ক্ষমতায়নই বিএনপির রাজনীতির মূল লক্ষ্য।”

“ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে জনগণের ভোটে গঠিত, জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কর্তব্য। বিএনপি এই সরকারকে চাপ দেওয়ার পরিবর্তে ভিন্নমতের জায়গাগুলোতে ‘নোট অফ ডিসেন্ট’কেই ‘ডিসেন্ট ওয়ে’ হিসেবে গ্রহণ করেছে।”

“মতুয়া সম্প্রদায় তথা হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনেরা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপনাদের ভোটের মাধ্যমে আপনারা পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেবেন। বিএনপি ইতোমধ্যেই ‘সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ’ গড়ার বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে।”

“বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ৫০ লাখ পরিবারকে নারীপ্রধানের নামে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ দেওয়া হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের জন্য ‘ফার্মার্স কার্ড’ চালু করা হবে। তরুণদের কর্মসংস্থানের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

“এসব বাস্তবায়নের মাধ্যমে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই আমরা। এজন্য আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আপনাদের সমর্থন চাই।”

“শেষে বলবো—আপনাদের ধর্মীয় পরিচয়কে কেউ যেন দলীয় স্বার্থে ব্যবহার না করতে পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকবেন। নিজেকে সংখ্যালঘু ভাববেন না। আমরা সবাই বাংলাদেশী, এই দেশে সবার সমান অধিকার আছে। বিএনপির কাছে ব্যক্তি বা দলীয় স্বার্থ নয়, দেশের স্বার্থই সর্বাগ্রে। তাই আমরা বলি—‘আমার আগে আমরা, আমাদের আগে দেশ, সবার আগে বাংলাদেশ।’”