গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন কুনিয়া তারগাছ গ্রামে তুচ্ছ ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন এবং আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনা সোমবার সন্ধ্যা ৭:১৫ ঘটিকা কুনিয়া তারগাছ, বেলাল নগর রোডে আক্তারের বাড়ির সামনে ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মারুফ (২২), পিতা আব্দুর রাজ্জাক। আহত যুবক জামিল (২৪), পিতা আতাউল্লাহ, বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জামিল একটি সিগারেট কোম্পানিতে চাকরি করেন।
জামিল পুলিশকে জানান, ঘটনার সময় এলাকার পরিচিত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ আরও ৪-৫ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল। তিনি প্রতিবাদ করলে রবি’র সঙ্গে তর্ক হয়। এতে জামিলের বন্ধু মারুফ সেখানে এসে প্রতিবাদ জানান। এরপর পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে রবি জামিল ও মারুফকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় মারুফকে তারুন্নেসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত জামিলকে বড়বাড়ি ইসলামিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরবর্তীতে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ ৮-১০ সদস্যের কিশোর গ্যাং এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল। তারা মাদক সেবন, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত।
ঘটনার পরপরই গাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, “ঘটনার পরপরই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। জামিলের তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত রবি ও আরও অজ্ঞাত ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তাদের ধরতে একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে। আশা করি দ্রুতই আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।”
এলাকাবাসী দ্রুত বিচার এবং কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
