প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ৩, ২০২৫, ৫:৩২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ২, ২০২৫, ৬:৫৬ পি.এম
নদীতে ভাসমান লাশ ও মিশুক চালক হত্যার রহস্য উন্মোচন

ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের সফল অভিযানে ময়মনসিংহ সদর কোতোয়ালি মডেল থানার বিদ্যাগঞ্জ এলাকায় নদীতে ভাসমান অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় যে ক্লু-লেস রহস্য তৈরি হয়েছিল, অবশেষে সেই জট খুলতে শুরু করেছে। ঘটনার দিনই পরিচয় অজানা থাকায় নিহত ব্যক্তি কে, কীভাবে মারা গেছে এবং কারা জড়িত—এসব কিছুই ছিল তদন্তের বড় চ্যালেঞ্জ। এ ঘটনায় এসআই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার এর নির্দেশনা ও তদারকিতে পুলিশ এবং মো শিব্বিরুল ইসলাম তার টিম নিয়ে তদন্ত শুরু করে। আধুনিক প্রযুক্তি, তথ্য বিশ্লেষণ এবং মাঠ পর্যায়ের গোপন অনুসন্ধানের মাধ্যমে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় আসরাফ নামের এক ব্যক্তিকে। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে পরিকল্পিতভাবে পেট কেটে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে ময়মনসিংহ নগরীর বাইপাস এলাকায় একজন আটো মিশুক চালককে হত্যা করে গাড়ি ছিনতাইয়ের রহস্যও উন্মোচিত হয়। গ্রেফতার করা হয় মতিন (৪৫) নামের আসামিকে। সে স্বীকার করেছে—চালককে হত্যা করে মিশুকটি নিয়ে পালিয়ে যায়। যদিও ছিনতাই হওয়া মিশুক গাড়িটি এখনো উদ্ধার হয়নি, তবে পুলিশ জানিয়েছে—গাড়ির অবস্থান চিহ্নিত করতে অভিযান চলমান রয়েছে এবং খুব শিগগিরই উদ্ধার সম্ভব।
দুটি হত্যাকাণ্ডই ছিল পরিচয়হীন ও প্রাথমিকভাবে প্রমাণবিহীন, অর্থাৎ ‘ক্লু-লেস’। কিন্তু ধারাবাহিক তদন্ত, যৌথ টিমওয়ার্ক এবং সুনির্দিষ্ট অনুসন্ধানের মাধ্যমে সত্য উন্মোচন সম্ভব হয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের সাম্প্রতিক এই অভিযান অপরাধ দমন ও জনআস্থা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে স্থানীয়রা মনে করেন।
Copyright © 2025 Nababani.com. All rights reserved.