
পটুয়াখালীর গলাচিপায় তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাইতে গেলে বাঁশবুনিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল বাশার দাবি করেছেন, তিনি এখন মাদ্রাসায় চাকরি করেন না, বরং চাকরি করেন হাইকোর্টে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সাংবাদিক জসিম উদ্দিন আহম্মেদ তথ্য অধিকার আইনে করা আবেদনের মেয়াদ ৩০ দিন পার হলে অধ্যক্ষ আবুল বাশারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। তার ব্যবহৃত নম্বর ০১৭১৬৯১২৪৭৬-এ কল দিলে অধ্যক্ষ বলেন, “আমি এখন মাদ্রাসায় চাকরি করি না, চাকরি করি হাইকোর্টে। তথ্য আমার কাছে নাই, আমি দিব কিভাবে?”
স্থানীয়দের প্রশ্ন—যদি তিনি হাইকোর্টে চাকরি করেন, তবে কেন এখনও মাদ্রাসায় যান এবং মাস শেষে ব্যাংক থেকে বেতন তোলেন? তার ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নন, অথচ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এখনো তার নামে বেতন তোলা হচ্ছে।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর তথ্য অধিকার আইনে বাঁশবুনিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের অনিয়মসহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য চেয়ে আবেদন করেন সাংবাদিক জসিম উদ্দিন আহম্মেদ। প্রথমে অধ্যক্ষ আবুল বাশার আবেদনটি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান এবং আবেদনটি ছুড়ে ফেলে দেন। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের তথ্য চাওয়ার অধিকার নেই। আপনারা চা-বিস্কুট খেয়ে চলে যান।”
পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহমুদুল হাসানকে অবহিত করা হলে তিনি ফোনে অধ্যক্ষকে আবেদন গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরে অধ্যক্ষ আবেদনটি গ্রহণ করেন।
আবেদনে মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ ও এবতেদায়ি প্রধান নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য, মাদ্রাসার আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং কমিটির তালিকা চাওয়া হয়েছিল।
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, একজন অধ্যক্ষ যদি নিজেই দাবি করেন তিনি হাইকোর্টে চাকরি করেন, তাহলে মাদ্রাসার প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।