
কক্সবাজারের রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের জারাইলতলি এলাকায় বসতভিটা দখলে নিতে মোহাম্মদ হোসেন (১৯) ও তার মা কোহিনূর আক্তারকে (৪০) হামলার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৮ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী জমির মালিক সাইফুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ সায়েম বলেন ঘটনার দিন নিজ জায়গা ওয়াল দিতে গেলে প্রতিপক্ষ মকবুল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লাঠি নিয়ে আরও ৬/৭ জন লোক নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় আমাকে ও আমার মা কোহিনূর আক্তারকে হামলা করে গুরতর আহত করে।
এলাকার প্রতিবেশী ফরিদা ইয়াসমিন জানান
মোহাম্মদ হোসাইন এলাকার প্রভাব শালী খারাপ প্রকৃতির লোক,সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা।তিনি আরো বলেন এলাকার লোকজন তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ, দক্ষিণ জারাইলতলী জামে মসজিদের সামনে পুকুর পাড়ে পৈত্রিক সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করার অপচেষ্টা করে আসতেছে।
আদালতের রায় দেওয়ার পরও প্রকৃত মালিকের জায়গা বুজিয়ে না দিয়ে হামলা চালায় ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে হত্যা করার হুমকী ধমকী দিয়ে আসতেছে।
জানা যায় জায়গার মালিক জমিতে রাজ মিস্ত্রী দিয়ে সীমানা বাউন্ডারী নির্মান কাজ শুরু করলে এ ঘটনা ঘটে।
উক্ত স্থানে মোঃ সাঈম প্রতিবাদ করলে, সকল বিবাদীরা তাকে এলোপাতাড়ী ভাবে কিল, ঘুষি, লাথি ও লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা ও জখম করে এবং সাঈমকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে, এছাড়া কহিনুর আক্তারের মাথায় গুরুতর জখম করে। এসময় কহিনুর আক্তারের পরনের কাপড় চোপড় ও মাথার চুল টেনে ছিড়ে বিবস্ত্র ও শ্লীলতাহানী করে।
তাদের শোর চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন কহিনুর আক্তার ও সাঈমকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় নুরুল আজিম বাদী হয়ে রামু থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।