ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
নীলফামারীতে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন মান্দায় বিএনপির প্রার্থী ডা. টিপুর বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ ও মানববন্ধন রংপুরে নারী সেনাসদস্য সেজে প্রতারণা, নাজমুল নামে এক যুবক আটক নাশকতার সন্দেহে অভিযান : সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুলের চট্টগ্রাম বাসভবনে পুলিশ, আটক ৭ ঈশ্বরদীতে গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থীকে ল্যাপটপ প্রদান করলেন – হাবিবুর রহমান হাবিব গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের রিসোর্টে বোতল বোমা নিক্ষেপ ধামইরহাটে ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে মালিক-শ্রমিকদের মানববন্ধন হাটহাজারীতে মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন টেকনাফে অপহৃত কলেজছাত্র হাসান শরীফকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১৫ দেবীগঞ্জে ৮ হাজার ৬০০ কেজি চায়ের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ চা কারখানার বিরুদ্ধে

কালিগঞ্জে ডি আর এম কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্ত শুরু

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডি আর এম ইউনাইটেড আইডিয়াল কলেজের সাময়িক বরখাস্ত অধ্যক্ষ শেখ আবুল বাশারের বিরুদ্ধে কোটি টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সাময়িক বরখাস্ত অধ্যক্ষ শেখ আবুল বাশার সম্প্রতি নিজেই সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি দাবি করেন, কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি প্রফেসর ডা. আব্দুল কাদের তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।
তবে উল্টো সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক মহোদয় কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দেন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে অভিযোগের তদন্ত পরিচালনা করে প্রতিবেদন দাখিল করতে। এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মণ্ডলের সভাপতিত্বে ইউএনও কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে তদন্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কলেজের ৩০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রায় ১০ জন কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। তারা একে একে অধ্যক্ষ শেখ আবুল বাশারের বিরুদ্ধে আনা বিভিন্ন অভিযোগের দলিল-প্রমাণ উপস্থাপন করেন।
সভায় ইউএনও অনুজা মণ্ডল বলেন,“শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণের মূলভিত্তি। এখানে দুর্নীতি বা অনিয়মের কোনো স্থান নেই। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত পরিচালনা করছি। শিক্ষকরা দলিল-দস্তাবেজসহ যথেষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন। তদন্ত শেষে সত্য যা হবে, জেলা প্রশাসক মহোদয় তার ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তদন্ত সভায় কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি প্রফেসর ডা. আব্দুল কাদের, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস. এম. সালাউদ্দিন, শিক্ষক প্রতিনিধি আব্দুল জলিল ও শাহানারা পারভীন, অভিভাবক সদস্য আব্দুর রশিদ, জুলফিকার আলী, মাহবুবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বে গঠিত নিরীক্ষা কমিটির প্রতিবেদনে দেখা যায়, অধ্যক্ষ শেখ আবুল বাশার দীর্ঘদিন ধরে কলেজের আর্থিক লেনদেনে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কলেজের আয়-ব্যয়ের কোনো রেজিস্টার সংরক্ষিত নেই, ফলে ঐ সময়ের হিসাব নিরীক্ষা অসম্ভব হয়েছে। ২০১৫ সালের পর থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিওর মাধ্যমে অধ্যক্ষ, তার স্ত্রী ও ব্যক্তিগত কর্মচারীর নামে কলেজ ফান্ড থেকে ২৪ লক্ষ ৭২ হাজার ২১৭ টাকা তোলা হয়েছে। এছাড়া সোনালী ব্যাংক কালিগঞ্জ শাখার হিসাব (নং–২৮০৯০০২৯৩৪৪৭২) থেকে সভাপতি ও অধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে ৪৯ লক্ষ ২০ হাজার ২১৪ টাকা উত্তোলন করা হলেও, তা রেজিস্টারে দেখানো হয়নি কিংবা কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদনও নেওয়া হয়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত খরচ যেমন—সিগারেট, মোবাইল লোড, বিদ্যুৎ বিল, ঔষধ ও মোটরসাইকেলের জ্বালানির খরচ পর্যন্ত কলেজের তহবিল থেকে পরিশোধ করা হয়েছে। এমনকি তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের নামে নেওয়া ঋণের কিস্তিও কলেজ ফান্ড থেকে পরিশোধ করা হয়েছে।
এছাড়া ২০০৬ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শিক্ষকদের সরকারি টিউশন ফি আত্মসাৎ করেন অধ্যক্ষ, যদিও ২০২৪ সালের আগস্টে চাপে পড়ে তিনি ১৮ বছরের বকেয়া একসঙ্গে পরিশোধ করেন।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে— শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য থেকে ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা এবং ডিগ্রি পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে ৫৪ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা সংগ্রহ করেও কলেজ ফান্ডে জমা দেওয়া হয়নি। সব মিলিয়ে অধ্যক্ষ শেখ আবুল বাশার মোট ২ কোটি ৪২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪১২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তদন্ত সভায় উপস্থিত শিক্ষকরা একবাক্যে স্বীকার করেন যে, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগই সত্য এবং তারা দলিল-প্রমাণসহ তা ইউএনওর কাছে উপস্থাপন করেছেন।
এ বিষয়ে ইউএনও অনুজা মণ্ডল আরও বলেন, আমরা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সততার সঙ্গে তদন্ত করছি। শিক্ষকরা তাদের বক্তব্যে যে তথ্য ও প্রমাণ দিয়েছেন, তা অত্যন্ত গুরুতর। প্রতিবেদন তৈরি করে দ্রুত জেলা প্রশাসকের নিকট পাঠানো হবে।এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো কালিগঞ্জ ও সাতক্ষীরা জেলায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষা অঙ্গনের শিক্ষক সমাজ ও সচেতন মহল বলছেন— শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি মানেই জাতির ভবিষ্যৎকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া। প্রশাসনের দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিরীক্ষা প্রতিবেদনের আলোকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।এ বিষয়ে ডি আর এম ইউনাইটেড আইডিয়াল কলেজের সাময়িক বরখাস্ত অধ্যক্ষ শেখ আবুল বাশার বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি প্রফেসর ডা. আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

বার্তা বিভাগ

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

নীলফামারীতে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

কালিগঞ্জে ডি আর এম কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্ত শুরু

আপডেট সময় ০৯:৫৯:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডি আর এম ইউনাইটেড আইডিয়াল কলেজের সাময়িক বরখাস্ত অধ্যক্ষ শেখ আবুল বাশারের বিরুদ্ধে কোটি টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সাময়িক বরখাস্ত অধ্যক্ষ শেখ আবুল বাশার সম্প্রতি নিজেই সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি দাবি করেন, কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি প্রফেসর ডা. আব্দুল কাদের তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।
তবে উল্টো সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক মহোদয় কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দেন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে অভিযোগের তদন্ত পরিচালনা করে প্রতিবেদন দাখিল করতে। এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মণ্ডলের সভাপতিত্বে ইউএনও কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে তদন্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কলেজের ৩০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রায় ১০ জন কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। তারা একে একে অধ্যক্ষ শেখ আবুল বাশারের বিরুদ্ধে আনা বিভিন্ন অভিযোগের দলিল-প্রমাণ উপস্থাপন করেন।
সভায় ইউএনও অনুজা মণ্ডল বলেন,“শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণের মূলভিত্তি। এখানে দুর্নীতি বা অনিয়মের কোনো স্থান নেই। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত পরিচালনা করছি। শিক্ষকরা দলিল-দস্তাবেজসহ যথেষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন। তদন্ত শেষে সত্য যা হবে, জেলা প্রশাসক মহোদয় তার ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তদন্ত সভায় কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি প্রফেসর ডা. আব্দুল কাদের, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস. এম. সালাউদ্দিন, শিক্ষক প্রতিনিধি আব্দুল জলিল ও শাহানারা পারভীন, অভিভাবক সদস্য আব্দুর রশিদ, জুলফিকার আলী, মাহবুবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বে গঠিত নিরীক্ষা কমিটির প্রতিবেদনে দেখা যায়, অধ্যক্ষ শেখ আবুল বাশার দীর্ঘদিন ধরে কলেজের আর্থিক লেনদেনে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কলেজের আয়-ব্যয়ের কোনো রেজিস্টার সংরক্ষিত নেই, ফলে ঐ সময়ের হিসাব নিরীক্ষা অসম্ভব হয়েছে। ২০১৫ সালের পর থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিওর মাধ্যমে অধ্যক্ষ, তার স্ত্রী ও ব্যক্তিগত কর্মচারীর নামে কলেজ ফান্ড থেকে ২৪ লক্ষ ৭২ হাজার ২১৭ টাকা তোলা হয়েছে। এছাড়া সোনালী ব্যাংক কালিগঞ্জ শাখার হিসাব (নং–২৮০৯০০২৯৩৪৪৭২) থেকে সভাপতি ও অধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে ৪৯ লক্ষ ২০ হাজার ২১৪ টাকা উত্তোলন করা হলেও, তা রেজিস্টারে দেখানো হয়নি কিংবা কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদনও নেওয়া হয়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত খরচ যেমন—সিগারেট, মোবাইল লোড, বিদ্যুৎ বিল, ঔষধ ও মোটরসাইকেলের জ্বালানির খরচ পর্যন্ত কলেজের তহবিল থেকে পরিশোধ করা হয়েছে। এমনকি তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের নামে নেওয়া ঋণের কিস্তিও কলেজ ফান্ড থেকে পরিশোধ করা হয়েছে।
এছাড়া ২০০৬ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শিক্ষকদের সরকারি টিউশন ফি আত্মসাৎ করেন অধ্যক্ষ, যদিও ২০২৪ সালের আগস্টে চাপে পড়ে তিনি ১৮ বছরের বকেয়া একসঙ্গে পরিশোধ করেন।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে— শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য থেকে ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা এবং ডিগ্রি পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে ৫৪ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা সংগ্রহ করেও কলেজ ফান্ডে জমা দেওয়া হয়নি। সব মিলিয়ে অধ্যক্ষ শেখ আবুল বাশার মোট ২ কোটি ৪২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪১২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তদন্ত সভায় উপস্থিত শিক্ষকরা একবাক্যে স্বীকার করেন যে, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগই সত্য এবং তারা দলিল-প্রমাণসহ তা ইউএনওর কাছে উপস্থাপন করেছেন।
এ বিষয়ে ইউএনও অনুজা মণ্ডল আরও বলেন, আমরা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সততার সঙ্গে তদন্ত করছি। শিক্ষকরা তাদের বক্তব্যে যে তথ্য ও প্রমাণ দিয়েছেন, তা অত্যন্ত গুরুতর। প্রতিবেদন তৈরি করে দ্রুত জেলা প্রশাসকের নিকট পাঠানো হবে।এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো কালিগঞ্জ ও সাতক্ষীরা জেলায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষা অঙ্গনের শিক্ষক সমাজ ও সচেতন মহল বলছেন— শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি মানেই জাতির ভবিষ্যৎকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া। প্রশাসনের দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিরীক্ষা প্রতিবেদনের আলোকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।এ বিষয়ে ডি আর এম ইউনাইটেড আইডিয়াল কলেজের সাময়িক বরখাস্ত অধ্যক্ষ শেখ আবুল বাশার বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি প্রফেসর ডা. আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ