ঢাকা ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
নাশকতার সন্দেহে অভিযান : সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুলের চট্টগ্রাম বাসভবনে পুলিশ, আটক ৭ ঈশ্বরদীতে গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থীকে ল্যাপটপ প্রদান করলেন – হাবিবুর রহমান হাবিব গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের রিসোর্টে বোতল বোমা নিক্ষেপ ধামইরহাটে ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে মালিক-শ্রমিকদের মানববন্ধন হাটহাজারীতে মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন টেকনাফে অপহৃত কলেজছাত্র হাসান শরীফকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১৫ দেবীগঞ্জে ৮ হাজার ৬০০ কেজি চায়ের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ চা কারখানার বিরুদ্ধে হাটহাজারীতে দুই দিনে তিন লাশ, মেলেনি পরিচয় নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে এনসিপির মনোনয়ন কিনলেন তরুণ নেতা রাশেদুজ্জামান রাশেদ খুলনায় ইনভাইট পিস স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসব, পুরস্কার বিতরণী ও প্যারেন্টিং মিটিং অনুষ্ঠিত

যমুনায় পানি বৃদ্ধি : তীব্র ভাঙন আতংকে সহড়াবাড়ীর এলাকাবাসী

টানা ভারি বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বগুড়ার ধুনট উপজেলার শহড়াবাড়ী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে শহড়াবাড়ী, শিমুলবাড়ি ও সংলগ্ন এলাকার মানুষ তীব্র আতঙ্কে রয়েছেন।

বুধবার সকালে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে শহড়াবাড়ী খেয়াঘাটের বিশাল বটগাছসহ কয়েকটি দোকানঘর নদীতে বিলীন হওয়ার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পাউবো জানিয়েছে, গত দুই দিনে নদীর পানি ৯৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও বর্তমানে তা বিপদসীমার নিচে রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, যমুনার প্রবল স্রোতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দক্ষিণ পাশে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। খেয়াঘাটসহ বহু ফসলি জমি ইতোমধ্যে নদীতে ভেঙে গেছে। খেয়াঘাট থেকে অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেওয়া হলেও কিছু দোকান বিলীন হয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন। জানা গেছে, গত দুই দিনে নদীর প্রায় ৪৩০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে চলে গেছে। স্থানীয়দের দাবি, খেয়াঘাটের বটগাছটি প্রায় ২৫ বছর আগে রোপণ করা হয়েছিল, যা নৌকার জন্য অপেক্ষার স্থান ছিল।

ভাঙনের জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা বালু উত্তোলনের বিষয়টিকে দায়ী করেছেন। শহড়াবাড়ী গ্রামের শফিক ও বাচ্চু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বালু মহালের ইজারাদার স্থানীয় যুবলীগের এক নেতা দীর্ঘদিন ধরে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন, যার ফলে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে। তাঁদের দাবি, বালু উত্তোলনের কারণে গত বছর শহড়াবাড়ী স্পারের উত্তর পাশের অন্তত ৩০০ বিঘা জমি যমুনায় বিলীন হয়েছিল এবং বালু দস্যুদের আইনের আওতায় আনা হোক।

এদিকে, ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সোহেল রানা। তিনি বলেন, ভাঙন রোধে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে এবং পাউবোর কর্মকর্তারা দিন-রাত কাজ করছেন। তিনি আশা করছেন, দু-দিনের মধ্যেই নদীর পানি কমতে শুরু করবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

নাশকতার সন্দেহে অভিযান : সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুলের চট্টগ্রাম বাসভবনে পুলিশ, আটক ৭

যমুনায় পানি বৃদ্ধি : তীব্র ভাঙন আতংকে সহড়াবাড়ীর এলাকাবাসী

আপডেট সময় ১১:০৪:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

টানা ভারি বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বগুড়ার ধুনট উপজেলার শহড়াবাড়ী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে শহড়াবাড়ী, শিমুলবাড়ি ও সংলগ্ন এলাকার মানুষ তীব্র আতঙ্কে রয়েছেন।

বুধবার সকালে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে শহড়াবাড়ী খেয়াঘাটের বিশাল বটগাছসহ কয়েকটি দোকানঘর নদীতে বিলীন হওয়ার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পাউবো জানিয়েছে, গত দুই দিনে নদীর পানি ৯৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও বর্তমানে তা বিপদসীমার নিচে রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, যমুনার প্রবল স্রোতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দক্ষিণ পাশে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। খেয়াঘাটসহ বহু ফসলি জমি ইতোমধ্যে নদীতে ভেঙে গেছে। খেয়াঘাট থেকে অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেওয়া হলেও কিছু দোকান বিলীন হয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন। জানা গেছে, গত দুই দিনে নদীর প্রায় ৪৩০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে চলে গেছে। স্থানীয়দের দাবি, খেয়াঘাটের বটগাছটি প্রায় ২৫ বছর আগে রোপণ করা হয়েছিল, যা নৌকার জন্য অপেক্ষার স্থান ছিল।

ভাঙনের জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা বালু উত্তোলনের বিষয়টিকে দায়ী করেছেন। শহড়াবাড়ী গ্রামের শফিক ও বাচ্চু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বালু মহালের ইজারাদার স্থানীয় যুবলীগের এক নেতা দীর্ঘদিন ধরে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন, যার ফলে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে। তাঁদের দাবি, বালু উত্তোলনের কারণে গত বছর শহড়াবাড়ী স্পারের উত্তর পাশের অন্তত ৩০০ বিঘা জমি যমুনায় বিলীন হয়েছিল এবং বালু দস্যুদের আইনের আওতায় আনা হোক।

এদিকে, ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সোহেল রানা। তিনি বলেন, ভাঙন রোধে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে এবং পাউবোর কর্মকর্তারা দিন-রাত কাজ করছেন। তিনি আশা করছেন, দু-দিনের মধ্যেই নদীর পানি কমতে শুরু করবে।