উর্বর মাটি ও অনুকূল আবহাওয়া ভালো হওয়ায় এবার পাহাড়ি অঞ্চলে কুমড়ার চমকপ্রদ ফলন হয়েছে।
পাহাড়ি অঞ্চলে এবারের মৌসুমে মিষ্টি কুমড়া চমৎকারভাবে নজরে পড়েছে। স্থানীয় কৃষকরা জানাচ্ছেন, আবহাওয়া এবং উর্বর মাটি কুমড়ার পরিমাণ ও গুণমান দুইই বৃদ্ধি করেছে। প্রতিটি কুমড়া ছোট-বড়, মিষ্টি এবং বাজারে বিক্রির শুরু হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক খামরেং ম্রো বলেন, “এবার ১ একর জমিতে কুমড়া চাষ করেছি। ৮০ মণ পেয়েছি। পাইকারি কেজি ২০ টাকা দরে মণে ৮শত টাকা বেচা হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এই বছরের কুমড়া দাম একটু কম। গত বছরে পাইকারি কেজি ৪০ টাকা করে বিক্রয় করা যেত। ভবিষ্যতে কুমড়া দাম বাড়বে কিনা ঠিক বলতে পারছি না। এই বছরে ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। আশা করি, এই ফসল আমাদের আয় বাড়াবে এবং জীবনের মান উন্নয়নে সাহায্য করবে।
বান্দরবানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক তৌফিক আহমেদ নূর বলেন, পাহাড়িরা পাহাড়ে বেশির ভাগ মানুষ এখন মিষ্টি কুমড়া চাষ করে থাকেন । প্রতিবছর জুম চাষ পাশাপাশি মিষ্টিকুমড়া চাষও করা হয় পাহাড়ে। তাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নসহ আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে এবং সারা বছরের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। বর্তমানে প্রতিটি পাহাড়ের মিষ্টিকুমড়া উত্তোলন শুরু হয়েছে। তাছাড়া এই পর্যন্ত আবহাওয়া মোটামুটি ভালো আছে ফলনও তেমন খারাপ হয় নাই। তাই চলতি বছরে মিষ্টিকুমড়া ফলন মোটামুটি ভালো অর্জন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বর্তমানে স্থানীয় এক সদর আব্দুল মাবুদ ইতিমধ্যেই কুমড়া ক্রয় শুরু করেছেন। স্থানীয় কৃষক খামরেং ম্রো থেকে পাইকারি কেজি ২০ টাকা দরে মণে ৮শত টাকা ক্রয় করছেন। কুমড়া ভবিষ্যতে কিছুটা দাম বাড়তে পারে বলে আশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ক্রেতারা সন্তুষ্ট, কারণ পাহাড়ি অঞ্চলের এই মিষ্টি কুমড়া স্বাদে এবং মানে বিশেষভাবে ভালো। কৃষকরা মনে করছেন, এই মৌসুমের ফসল তাদের অর্থনৈতিকভাবে অনেক সাহায্য করবে।
পাহাড়ি এলাকায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়ের উৎস। কৃষকরা আশা করছেন, স্থানীয় সম্প্রদায় এবং সরকারের সহযোগিতায় আগামী বছর আরও ভালো ফলন অর্জন সম্ভব হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তারা।