রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত কচিকাঁচা ভবন মিলনায়তনে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল ৪টায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, “আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন”-এর নাম ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী উক্ত অনুষ্ঠান আয়োজন করছে। এ বিষয়ে ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মাসুদ আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে কিছু ব্যক্তি ফাউন্ডেশনের নাম ব্যবহার করে ভুয়া কমিটি গঠন, কার্ড মুদ্রণ, ভুয়া পদ-পদবী সৃষ্টি এবং বিদেশি সেমিনার ও সভায় অংশগ্রহণের নামে বিভ্রান্তিমূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
এডভোকেট মাসুদ আহমেদ অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, “আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন” একটি সরকার অনুমোদিত ও নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান। অথচ অনুমোদনবিহীন কিছু ব্যক্তি সংস্থাটির নাম ব্যবহার করে অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে নিজেদের বৈধতা প্রমাণের চেষ্টা করছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত সদস্য, শুভানুধ্যায়ী এবং আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থাগুলো বিভ্রান্ত হচ্ছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথিদের উপস্থিতিতে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করা হতে পারে। এমনকি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। এ কারণে অনুষ্ঠানের আয়োজন বন্ধ করা এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ডিএমপি কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রের সঙ্গে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র, ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র এবং বর্তমান কার্যকর কমিটির তালিকা সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া, সংস্থার প্রকৃত কার্যক্রম ও বৈধতা প্রমাণে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করা হয়েছে।
ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক তার অভিযোগে জোর দিয়ে উল্লেখ করেন, সংস্থার নাম ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার এই প্রবণতা রোধ করা জরুরি। নচেৎ ভবিষ্যতে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর কর্মকাণ্ড আরও বিস্তার লাভ করতে পারে, যা সামাজিক আস্থা ও আইনের শাসনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
উল্লেখ্য, “আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন” দীর্ঘদিন ধরে দেশে ও বিদেশে মানবাধিকার সুরক্ষা, আইনি সহায়তা প্রদান এবং সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এই সংস্থার অনুমোদিত নেতৃত্ব ও কার্যক্রমের বাইরে কেউ প্রতিষ্ঠানটির নাম ব্যবহার করলে তা আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ বলে গণ্য হয়।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখন দেখার বিষয়, ঢাকার কচিকাঁচা ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন আদৌ বন্ধ হয় কি না এবং ডিএমপি কমিশনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেন।