মাগুরা সদর উপজেলার কৃষি অফিসার তোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার, নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস চারা বিক্রি, কৃষি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ ও কৃষকদের প্রাপ্য সুবিধা বঞ্চনার অভিযোগে কৃষি মহলে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কৃষকরা জানান, প্রদর্শনী প্রকল্পে কেবল সাইনবোর্ড, সামান্য কিছু চারা ও সার পেয়েছেন তারা। কলা চাষিরা ব্যাগিং সিস্টেমের ব্যাগও পাননি। আলাইপুরের কৃষক ভক্ত অভিযোগ করে বলেন, সেবার জন্য গেলে কৃষি অফিসার খারাপ আচরণ করেন এবং কৃষকদের ডেকে দুপুরের খাবার খাওয়াতে বলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, পারিবারিক পুষ্টি বাগানের ৩৪০টি প্রদর্শনী দেওয়ার কথা থাকলেও একটি প্রদর্শনীও বাস্তবায়ন হয়নি। বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, জেলার ১৪ জন বিসিআইসি সার ডিলারের কাছ থেকে মাসোহারা আদায় করেন অভিযুক্ত কৃষি অফিসার। ফলে ডিলাররা কালোবাজারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে এবং কৃষকদের চড়া দামে সার কিনতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক তাইজুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযোগের বিষয়ে কৃষি অফিসার তোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় জানান, “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, এসব বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”