ছুটিতে এসে ঢাকায় চাকরিত পুলিশ কনস্টেবল নিঝুম উদ্দিন (২৬) পিতা ইসলাম উদ্দিন ও লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ক্ষমতা দেখিয়ে কবরস্থানের ছয়টি কবরের কঙ্কাল সহ বস্তায় ভরে ও বাঁশ কেটে গাছ রোপণ করার রোপণ করার অভিযোগ উঠেছে। লাহিড়ী টাওয়ার পাড়ার মৃত টিন ব্যবসায়ী আলম এর স্ত্রী সেলিনা বেগম ও তার মেয়ে সুইটি আক্তার (২৮) ও শারমিন আক্তার (২৪) জোর পূর্বক কবরস্থানে দাফন করা মৃত ব্যক্তির কঙ্কাল ও বাস কেটে গাছ রোপণ করার অভিযোগ উঠেছে এতে ছয়টি কবর ও কবরস্থানে দাফন করা মৃত ব্যক্তির কঙ্কাল সহ বাঁশ কেটে জোবর দখল করায় গ্রামবাসীর ক্ষোভ।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী লাহিড়ী মহাসড়ক সংলগ্ন ১ নং পাড়িয়া ইউনিয়নের জাওনিয়া মৌজার ৯ নং ওয়ার্ডের আজিম পাড়া গ্রামের কবরস্থানে ছয়টি কবর ও কবরস্থানে দাফন করা মৃত ব্যক্তির কঙ্কাল সহ বাস কেটে দখল করে কবরের ওপর গাছ রোপণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ১ নং পাড়িয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের যাওনিয়া মৌজা জে এল নং ১৩ ২৫০ নং খতিয়ান মুক্ত ৩৯৫০ ও ৩৯৫১ দাগের খাস খতিয়ানের আজিম পাড়া কবর স্থানের ওই জমি খাস খতিয়ানে এলাকার মুসলিম জনসাধারণের জন্য কবরস্থান হিসেবে রেকর্ড হয়েছিল। এরপর থেকে এলাকার লোকজন মারা গেলে ওই স্থানে কবর দেওয়া হয়। কিন্তু সেই কবরস্থানটি দখল করে লাহিড়ী বাজারে মৃত টিন ব্যবসায়ী আলম এর স্ত্রী সেলিনা বেগম পুলিশে ঢাকায় চাকরিত পুলিশ কনস্টেবল নিঝুম উদ্দিন, মেয়ে সুইটি আক্তার, শারমিন আক্তার, জামাই রায়মহল গ্রামের লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় বিএসসি শিক্ষক সাইফুল ইসলাম মৃত লাহিড়ী বাজারে টিন ব্যবসায়ীর স্ত্রী সেলিনা বেগম মেয়ে সুইটি আক্তার, শারমিন আক্তার ঢাকায় চাকরিত পুলিশ কনস্টেবল জামাই নিঝুম উদ্দিন ও লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এর রায়মহল গ্রামের বিএসসি শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও মৃত আলমের মেয়ের সামি পুলিশের চাকরির প্রভাব দেখিয়ে কবরস্থানের ছয়টি কবরের কঙ্কাল সহ বাঁশ কেটে গাছ রোপণ করেছেন।
আজিম পাড়া কবর স্থানের আজিম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকেই বাবার কাছ থেকে শুনে আসছি এবং দেখে আসছি এই কবরস্থানে লোকজন মারা গেলে কবর দেওয়া হয়। কিন্তু একটি অসাধু ভূমিদস্যু চক্র পুলিশ কনস্টেবল চাকরি করে গ্রামের মানুষজনকে ভয় ভীতি দেখিয়ে কবরস্থানের ছয়টি কবরের কঙ্কাল চুরি ও বাঁশ কেটে দখল করে গাছ রোপন করেছে ।
আজিম পাড়া গ্রামের জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাসুম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম উদ্দিন বলেন, ১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আজিম পাড়া কবর স্থান । সেই থেকে সাবাজপু গ্রামের ও আজিম পাড়া গ্রামের আশপাশের এলাকার মানুষ মারা গেলে আজিমপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি একটি ভূমিদস্যু চক্রের ইন্ধনে লাহিড়ী বাজারে টিন ব্যবসায়ী মৃত আলমের মেয়ের জামাই পুলিশ কনস্টেবল নিঝুম উদ্দিন , ও জামাই রায়মহল গ্রামের লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, মৃত আলোমের স্ত্রী সেলিনা বেগম, মেয়ে সুইটি আক্তার, শারমিন আক্তার, সহ পুলিশ কনস্টেবল নিঝুম উদ্দিন চাকরি ছুটি নিয়ে আসে এক জোট হয়ে রাতের আঁধারে কবরস্থানের জমি ছয়টি কবরের কঙ্কাল বস্তায় ভরে মাটি কেটে ও বাঁশ কেটে দখল করে গাছ রোপণ করেন। তাদের একাধিকবার নিষেধ করারও পর তারা কারও কথা শোনেনি
সর্বশেষ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ ও মুসল্লিরা কবরস্থানের জমিতে গাছ নির্মাণের বিষয় জানতে চাইলে তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় মৃত লাহিড়ী বাজারের টিন ব্যবসায়ী আলোমের জামাই পুলিশ কনস্টেবল নিঝুম উদ্দিন আজিম পাড়া গ্রামের মানুষজনকে বলে আমি পুলিশের চাকরি করি আমি জমি নিব তোরা গ্রামের মানুষ দেখে থাকবি আমি পুলিশ এতে গ্রামবাসী পুলিশের ভয়ে কবরস্থান থেকে পালিয়ে যায় ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মহোসিন আলী বলেন, মৃত লাহিড়ী বাজারের টিন ব্যবসায়ী আলোম ওই জমিতে জানাযা পরবে ও কবরস্থানের জমিতে মৃত ব্যক্তির দাফন করাবে এভাবে শালিসী বৈঠক হয়ে ছিল। পরে বিক্রয় নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে তাদের শান্ত করে বিষয়টি নিয়ে শান্তিপূর্ণ বৈঠকের আহ্বান করা হয়। সেটি না মেনে কবরস্থান দখল করে ছয়টি কবর থেকে কঙ্কাল সহ বাঁশ কেটে গাছ রোপণ করা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। কবর স্থানে গিয়ে দেখা যায় বৃদ্ধা মালেকা বেগম কবরের পাশে বসে কান্না করছে তাকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে তিনি বলেন আমার সামির কবর ও কঙ্কাল বস্তায় ভরে নিয়ে চলে গেছে ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বালিয়াডাঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জ দুরুল দুহা বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুরাগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।