ঢাকা ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীপুরে জমজমাট কাঁঠালের হাট : দাম কম, খাজনা বেশি

কাঁঠালের মৌসুমে গাজীপুরে শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজারে প্রতিদিনই বসছে দেশের সবচেয়ে বড় কাঁঠালের পাইকারি হাট।

কাকডাকা ভোরে অটোরিকশা ও পিকআপে করে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আনা হয় কাঁঠাল। মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে সারি সারি ভ্যান ও ট্রাকে ভরে তোলা হচ্ছে পাকা কাঁঠাল।

শ্রীপুর উপজেলার লাল মাটিতে জন্মানো কাঁঠালের স্বাদ, ঘ্রাণ ও মিষ্টতার কারণে দেশজুড়ে রয়েছে চাহিদা। স্থানীয় কৃষি অফিস বলছে, উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে প্রতিবছর ৬২ হাজার মেট্রিক টন কাঁঠাল উৎপাদন হয়। এবার রপ্তানি হয়েছে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যেও।

জৈনা বাজারের আড়তদার আব্দুল বারী বলেন, ‘এই হাটে দুই থেকে আড়াই শ মানুষের কর্মসংস্থান হয়। চার মাস কাঁঠাল ওঠানামার কাজ চলে।’

পুরোনো আড়তদার ইসলাম উদ্দিন মেম্বার জানান, ১৯৮৫ সাল থেকে আড়তদারি করছেন তিনি। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এখানে ছুটে আসেন।

কক্সবাজারের ব্যবসায়ী আশরাফ বলেন, ‘৪০ বছর ধরে এখান থেকেই কাঁঠাল কিনছি। দাম তুলনায় কম, তবে খাজনা বেশি।’ পাইকারি দরে কাঁঠাল কিনলেও প্রতিটি কাঁঠালের পেছনে লেবার ও খাজনা বাবদ গুনতে হচ্ছে ৭ টাকা।

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বলেন, ‘শ্রীপুরের কাঁঠালের কদর দেশে-বিদেশে। বাগান মালিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা কাঁঠালের বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছি।’

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরখানে বিএনপির পক্ষে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করেন এস এম জাহাঙ্গীর

শ্রীপুরে জমজমাট কাঁঠালের হাট : দাম কম, খাজনা বেশি

আপডেট সময় ০১:২২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

কাঁঠালের মৌসুমে গাজীপুরে শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজারে প্রতিদিনই বসছে দেশের সবচেয়ে বড় কাঁঠালের পাইকারি হাট।

কাকডাকা ভোরে অটোরিকশা ও পিকআপে করে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আনা হয় কাঁঠাল। মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে সারি সারি ভ্যান ও ট্রাকে ভরে তোলা হচ্ছে পাকা কাঁঠাল।

শ্রীপুর উপজেলার লাল মাটিতে জন্মানো কাঁঠালের স্বাদ, ঘ্রাণ ও মিষ্টতার কারণে দেশজুড়ে রয়েছে চাহিদা। স্থানীয় কৃষি অফিস বলছে, উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে প্রতিবছর ৬২ হাজার মেট্রিক টন কাঁঠাল উৎপাদন হয়। এবার রপ্তানি হয়েছে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যেও।

জৈনা বাজারের আড়তদার আব্দুল বারী বলেন, ‘এই হাটে দুই থেকে আড়াই শ মানুষের কর্মসংস্থান হয়। চার মাস কাঁঠাল ওঠানামার কাজ চলে।’

পুরোনো আড়তদার ইসলাম উদ্দিন মেম্বার জানান, ১৯৮৫ সাল থেকে আড়তদারি করছেন তিনি। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এখানে ছুটে আসেন।

কক্সবাজারের ব্যবসায়ী আশরাফ বলেন, ‘৪০ বছর ধরে এখান থেকেই কাঁঠাল কিনছি। দাম তুলনায় কম, তবে খাজনা বেশি।’ পাইকারি দরে কাঁঠাল কিনলেও প্রতিটি কাঁঠালের পেছনে লেবার ও খাজনা বাবদ গুনতে হচ্ছে ৭ টাকা।

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বলেন, ‘শ্রীপুরের কাঁঠালের কদর দেশে-বিদেশে। বাগান মালিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা কাঁঠালের বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছি।’