
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, ১৩ জুন যুক্তরাজ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার যে আলোচনা হবে সেখান থেকে এই বার্তাটুকু বাংলাদেশের মানুষ পাবে। আমরা বলব এটি শীর্ষ নেতাদের একটি বৈঠক।
বৃহস্পতিবার বিকালে গাজীপুরের শ্রীপুরে কাওরাইদ কেএন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৭৫ ব্যাচের আয়োজনে গণসংবর্ধনা ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, নেতা হতে হলে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাহলেই জনপ্রিয় হওয়া যাবে।
তিনি বলেন, সামনে আমাদের কঠিন দিন আসছে তাই দলের মাঝে কোনো বিশৃঙ্খলা করা যাবে না এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে; এটা আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশ।
তিনি কাওরাইদ কেএন উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭৫ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন, তার বক্তব্যে শৈশবের স্মৃতি তুলে ধরেন। গণসংবর্ধনা ও ঈদ পুনর্মিলনীর আলোচনা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে তিনি মাওনা চৌরাস্তায় অপর একটি অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের ১২ পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেন। এছাড়াও তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় জেলখানায় নিহত কাওরাইদ ধামলই গ্রামের বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান হীরা খানের কবর জিয়ারত করেন।
কাওরাইদ কে এন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা হাজির হন। এসময় বাহরাইন প্রবাসী জাতীয়তাবাদী শহীদ জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয়,কমিটির সহ সভাপতি শেখ সোহেল এর নেতৃত্বে কাওরাইদের বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
সাবেক স্কুলশিক্ষক মোছলেম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং পাগলা থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. মোফাখখারুল ইসলাম রানার পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, পীরজাদা এসএম রুহুল আমিন, ডা. মোহাম্মদ আলী ছিদ্দিকী, শাহজাহান ফকির, আব্দুল মোতালেব, এবি সিদ্দিকুর রহমান, শেখ ইসহাক আলী, আশরাফ উদ্দিন, মজিবুর রহমান সুলতান, আলমগীর মাহমুদ আলম, বিল্লাল বেপারি, এমদাদ মন্ডল, আতাউর রহমান আতা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আক্তারুল আলম মাস্টার, এডভোকেট আবু জাফর সরকার, কামরুজ্জামান মন্ডল, শাহাবউদ্দিন বিএসসি, আসাদুজ্জামান মাসুদ, সাজ্জাদ হোসেন শহীদ প্রমুখ।