
আজ পবিত্র ঈদ-উল-আযহার তৃতীয় দিন। যেখানে ঈদের খুশিতে মানুষ আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটানোর কথা, সেখানে ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনার পথে চলাচলরত যাত্রীদের ঈদ কাটছে চরম দুর্ভোগ আর ক্ষোভের মধ্যে।
বাস ও সিএনজি অটোরিকশা চালকরা এখনো ঈদের অজুহাতে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া আদায় করছেন, যা আইনত দণ্ডনীয় হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ভাড়া দ্বিগুণ, তবু বাড়ি ফেরা ছাড় নেই! ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনাগামী সাধারণ বাসে যেখানে আগে জনপ্রতি ভাড়া ছিল ১০০-১২০ টাকা, সেখানে এখন ২০০-২৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।
সিএনজি অটোরিকশায় জনপ্রতি ৩৫০-৪০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে, যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ভুক্তভোগী এক যাত্রী বলেন, ঈদে বাড়ি যাওয়ার তাড়া থাকায় বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েছি। কেউ কথা বললেই চালকরা রুক্ষ আচরণ করছে।ঈদ যেন ধনী-সচ্ছলদের উৎসব হয়ে গেছে” ত্রিশালের গরিব কৃষক আফাজ উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঈদ তো আমাদের জন্য নয়। আগে থেকেই কোরবানির গরুর দাম নিয়ে চিন্তিত ছিলাম, তার ওপর বাড়ি ফিরতেও এভাবে টাকা গুনতে হবে বুঝিনি।শহরের সচেতন নাগরিক ও শিক্ষক আশিকুর রহমান বলেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের ঈদের আনন্দ চিরতরে মুছে যাবে। এটা শুধু অব্যবস্থাপনা নয়, এটি নিপীড়ন।
প্রশাসনের ভূমিকাঃ ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম বা নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা প্রকাশ—এই দুটি মৌলিক ব্যবস্থাও এখনো গ্রহণ করা হয়নি। যাত্রীদের প্রশ্ন, “তাহলে প্রশাসন আসলে কার স্বার্থ রক্ষা করছে?”
দাবি: অবিলম্বে অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের আইনের আওতায় আনা হোক পবিত্র ঈদের এই দিনে দেশের প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার থাকা উচিত—ভাড়া নিয়ে হয়রানি নয়, হোক শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ যাতায়াত।