
চৌধুরী মোহাম্মদ সুজন স্টাফ রিপোর্টার।
, ০৬ জুন ২০২৫স্বৈরাচারী শাসনের নিষ্পেষণ থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে পাওয়া গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে নিজ জন্মভূমি লামায় শুভাগমন করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের (ছাত্রদল) কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া। দীর্ঘ সময় পর স্বাধীনভাবে শ্বাস নেয়া দেশে জন্মভূমির মায়া ভুলে থাকতে না পেরে নিজ এলাকায় এই ঈদ উদযাপন করছেন এই জনপ্রিয় ছাত্রনেতা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (০৫ জুন) লামা পৌরসভার
নয়াপাড়ায় নিজ বাড়িতে পা রাখার পর থেকেই ইয়াহিয়াকে ঘিরে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। তার আগমনে আত্মীয়-স্বজন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ ভিড় জমায় তাকে স্বাগত জানাতে। ফুলের তোড়া, মিষ্টিমুখ আর উষ্ণ অভ্যর্থনায় সংবর্ধিত হন ছাত্রদলের এই সিনিয়র সহ-সভাপতি।
লামার সন্তান হিসেবে তার এই প্রত্যাবর্তন এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও স্বৈরাচারী শাসনের চাপের কারণে আগের বছরগুলোতে ইয়াহিয়া তার প্রিয় জন্মভূমি লামায় এসে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেননি। স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে পাওয়ার সুবাদেই এই প্রথমবারের মতো তিনি স্বাধীনচিত্তে জন্মভূমির মাটিতে ঈদ উদযাপনের সুযোগ পেয়েছেন। এই বিশেষ মুহূর্তটি তিনি কাটাতে চান লামার মাটি ও মানুষের সাথে। ঈদের দিনে তিনি স্থানীয় মসজিদে নামাজ আদায়, এবং আত্মীয়-স্বজন ও সমর্থকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার পরিকল্পনা করেছেন।
এ বিষয়ে আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, স্বৈরাচারের নিষ্পেষণ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে শ্বাস নেয়া বাংলাদেশে এই প্রথম ঈদে জন্মভূমি লামার মায়া ভুলতে পারিনি।
এখানকার মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা, মমতা ও আন্তরিকতা আমার শক্তির অফুরান উৎস। তাদের সাথে এই পবিত্র ঈদের দিনগুলো কাটাতে পেরে আমি গর্বিত ও ধন্য। আমি লামাবাসীর সার্বিক উন্নতি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি।
উল্লেখ্য, আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া বান্দারবান জেলার লামা উপজেলার কৃতী সন্তান। তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। রাজধানীতে সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পাশাপাশি সবসময় জন্মভূমির মানুষের সাথে তার নিবিড় ও আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রাখেন বলে এলাকাবাসীর ধারণা। তার এই শুভাগমন এবং স্বৈরাচার-মুক্ত পরিবেশে প্রথম ঈদ উদযাপন লামার রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে স্থানীয়রা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।