ঢাকা ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহে লিটন আকন্দের আয়োজনে শহীদ জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

ময়মনসিংহ জেলার ক্রীড়াপল্লী খ্যাত নগরীর ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট। এতে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকাল ৪টায় নগরীর ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে সাড়া জাগানো এই ফুটবল টুনার্মেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় মাঠের চারপাশে ব্যাপক দর্শকদের উপস্থিতিতে এক উৎসবমূখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর আগে চলতি বছরের গত ১৫ মে ৪৪টি দলের অংশগ্রহনে ঢাকা ব্রাদার্স ইউনিয়নের সাবেক খেলোয়াড় ও ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার ১ নম্বর সদস্য এনামুল হক আকন্দ লিটনের উদ্যোগে এই খেলার শুভ উদ্বোধন হয়। নকআইট পদ্ধতির এই টুর্নামেন্টে ৪৪টি দলের মধ্যে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে একটি করে দল এবং সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ১১টি দল দুইটি ভাগে অংশ নেয়। ফলে সদর উপজেলার প্রতিটি গ্রাম এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে এই টুর্নামেন্টটি ব্যাপক সাড়াঁ জাগায়। এতে তরুন প্রজন্মের নতুন নতুন খেলোয়াড় এখেলায় অংশ গ্রহনের সুযোগ পায়।
জেলার ফুটবল রেফারি এসোসিয়েশনের সদস্য এবং সাবেক ফুটবলার মো: রফিক উদ্দিন সরকার বাদল জানান, দীর্ঘ সময় ধরে ময়মনসিংহের ক্রীড়াঙ্গন ছিল অনেকটাই স্থবির। ফলে ঐতিহ্য ভুলে মাঠ বিমুখ ছিল তরুণ খেলোয়াড়রা। তবে শহীদ জিয়া টুর্নামেন্টের এই ওর্য়াডভিত্তিক খেলায় অনেক নতুন ছেলে মাঠে আসছে। এতে উঠে আসতে শুরু করেছে নতুন খোলোয়াড়। এর ফলে মাদক ও মোবাইলে ব্যস্ত থাকা তরুণদেরও উপস্থিতি বাড়ছে খেলার মাঠে।
জেলার উদয়ন ফুটবল একাডেমির প্রধান কোচ মো: হামিদুল্লাহ খান মিন্টু বলেন, এক সময় জাতীয় পর্যায় থেকে স্থানীয় পর্যায়েও জনপ্রিয় খেলা ছিল ফুটবল। এর মাঝে জনপ্রিয়তা পায় ক্রিকেট। ফলে ফুটবলের ঐতিহ্য দিনে দিনে কমে আসছিল। তবে এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে ফুটবলের জনপ্রিয়তায় নবজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই খেলার একমাত্র পৃষ্ঠপোষক সাবেক ফুটবলার লিটন আকন্দ ওয়ার্ড এবং গ্রাম পর্যায়ে শুরু করে যে স্তরে নিয়ে গেছেন, এর আগে কেউ এভাবে ফুটবল নিয়ে কাজ করেনি। ফলে খেলার মাঠে ক্রীড়ামোদীসহ তরুন প্রজন্মের উপস্থিতি এখন বেড়েছে।
ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলার ফুটবল অঙ্গনের পরিচিত প্রতিষ্ঠান সোনালী অতীত ক্লাব। এই ক্লাবটি জেলার সাবেক খেলোয়াড়দের নিয়ে প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে এই ক্লাবটির পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন জেলার এবং ব্রাদার্স ইউনিয়নের সাবেক খেলোয়াড় এনামুল হক আকন্দ লিটন। মূলত তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায়ই ময়মনসিংহের ক্রীড়াঙ্গনে স্থবিরতা কাটিয়ে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, এমনটাই জানান এই টুর্নামেন্টের রেফারি সহকারি গোলাম মোস্তুফা, হাসিবুল হাসান শান্তসহ স্থানীয় একাধিক ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব।
জানতে চাইলে সাবেক ফুটবলার ও ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক আকন্দ লিটন ফুটবল নিয়ে তার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি স্মরণে, তাঁর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য খেলার মাঠে ফুটবল এবং তরুণ প্রজন্মকে ফিরিয়ে আনা। ইতোমধ্যে খেলাটি গ্রাম এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে ব্যাপক সাঁড়া জাগিয়েছে। এর ফলে ওয়ার্ড এবং গ্রাম পর্যায় থেকে উঠে আসছে নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়। আগামী ঈদুল আযহার পর অনুর্ধ্ব-১৬ নামে আরেকটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে। সেখান থেকে খেলোয়াড় বাছাঁই করে একটি ক্যাম্পে মাসব্যাপী তাদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড় তৈরী হবে বলে আমরা আশা করছি।
ব্যক্তি পর্যায়ে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো: আল আমিন। তিনি বলেন, সরকারিভাবে সব সময় সব ধরনের খেলার আয়োজন করা সম্ভব হয় না। তবে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায় থেকে এধরনের খেলার আয়োজন করা হলে নতুন খেলোয়ার তৈরীর সুযোগ সৃষ্টি হয়। তারা পরবর্তীতে লীগ বা দলে অংশগ্রহন করে জেলা থেকে বিভাগ এবং বিভাগ থেকে জাতীয় পর্যায়ের খেলার সুযোগ পায়। সেই সঙ্গে খেলার মাঠে তরুণ প্রজন্মকে ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে মাদকের ভয়াবহতা এবং অপরাধ প্রবণতা থেকে তাদের সমাজকে রক্ষা করাও সম্ভব- বলেও জানান এই ক্রীড়া কর্মকর্তা।
এদিকে এদিন ফাইনাল টুর্নামেন্টে মহানগরীর খেলায় মুখোমুখি হয় ২০ নম্বর এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ড। এ সময় টানা ৬০ মিনিটের এই খেলায় গোল শূন্য ড্র হওয়ায় আরও ১০ মিনিট সময় অতিরিক্ত খেলেও ফলাফল অমিমাংসিত থেকে ট্রাইব্রেকারে জয়লাভ করে ২৩ নম্বর ওয়ার্ড দল। অপরদিকে ইউনিয়ন পর্যায়ের অংশের খেলায় চরসিরিতা এবং অষ্টধর ইউনিয়মের মধ্যকার ফাইনাল খেলায় জয়লাভ করে চরসিরতা দল। এ সময় খেলার প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ বিজয়ী ও রার্নাস আপ দলের কাছে পুরস্কার বিতরণ করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলার ক্রীড়া কর্মকর্তা মো: আল আমিনসহ ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা। পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে মহানগরীর অংশের খেলায় বিজয়ী দল ২৩ নম্বর ওয়ার্ডকে ট্রপিসহ নগদ এক লক্ষ টাকা এবং রার্নাস আপ ২০ নম্বও ওয়ার্ড দলকে দেওয়া হয় ট্রপিসহ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়ের খেলায় বিজয়ী চরসিরিতা দলকে ট্রফি সহ নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং রানার্সআপ অষ্টধর ইউনিয়ন দলকে ট্রফি সহ নগদ ২৫ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়।
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীপুরে জমজমাট কাঁঠালের হাট : দাম কম, খাজনা বেশি

ময়মনসিংহে লিটন আকন্দের আয়োজনে শহীদ জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ১২:১৬:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
ময়মনসিংহ জেলার ক্রীড়াপল্লী খ্যাত নগরীর ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট। এতে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকাল ৪টায় নগরীর ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে সাড়া জাগানো এই ফুটবল টুনার্মেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় মাঠের চারপাশে ব্যাপক দর্শকদের উপস্থিতিতে এক উৎসবমূখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর আগে চলতি বছরের গত ১৫ মে ৪৪টি দলের অংশগ্রহনে ঢাকা ব্রাদার্স ইউনিয়নের সাবেক খেলোয়াড় ও ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার ১ নম্বর সদস্য এনামুল হক আকন্দ লিটনের উদ্যোগে এই খেলার শুভ উদ্বোধন হয়। নকআইট পদ্ধতির এই টুর্নামেন্টে ৪৪টি দলের মধ্যে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে একটি করে দল এবং সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ১১টি দল দুইটি ভাগে অংশ নেয়। ফলে সদর উপজেলার প্রতিটি গ্রাম এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে এই টুর্নামেন্টটি ব্যাপক সাড়াঁ জাগায়। এতে তরুন প্রজন্মের নতুন নতুন খেলোয়াড় এখেলায় অংশ গ্রহনের সুযোগ পায়।
জেলার ফুটবল রেফারি এসোসিয়েশনের সদস্য এবং সাবেক ফুটবলার মো: রফিক উদ্দিন সরকার বাদল জানান, দীর্ঘ সময় ধরে ময়মনসিংহের ক্রীড়াঙ্গন ছিল অনেকটাই স্থবির। ফলে ঐতিহ্য ভুলে মাঠ বিমুখ ছিল তরুণ খেলোয়াড়রা। তবে শহীদ জিয়া টুর্নামেন্টের এই ওর্য়াডভিত্তিক খেলায় অনেক নতুন ছেলে মাঠে আসছে। এতে উঠে আসতে শুরু করেছে নতুন খোলোয়াড়। এর ফলে মাদক ও মোবাইলে ব্যস্ত থাকা তরুণদেরও উপস্থিতি বাড়ছে খেলার মাঠে।
জেলার উদয়ন ফুটবল একাডেমির প্রধান কোচ মো: হামিদুল্লাহ খান মিন্টু বলেন, এক সময় জাতীয় পর্যায় থেকে স্থানীয় পর্যায়েও জনপ্রিয় খেলা ছিল ফুটবল। এর মাঝে জনপ্রিয়তা পায় ক্রিকেট। ফলে ফুটবলের ঐতিহ্য দিনে দিনে কমে আসছিল। তবে এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে ফুটবলের জনপ্রিয়তায় নবজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই খেলার একমাত্র পৃষ্ঠপোষক সাবেক ফুটবলার লিটন আকন্দ ওয়ার্ড এবং গ্রাম পর্যায়ে শুরু করে যে স্তরে নিয়ে গেছেন, এর আগে কেউ এভাবে ফুটবল নিয়ে কাজ করেনি। ফলে খেলার মাঠে ক্রীড়ামোদীসহ তরুন প্রজন্মের উপস্থিতি এখন বেড়েছে।
ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলার ফুটবল অঙ্গনের পরিচিত প্রতিষ্ঠান সোনালী অতীত ক্লাব। এই ক্লাবটি জেলার সাবেক খেলোয়াড়দের নিয়ে প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে এই ক্লাবটির পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন জেলার এবং ব্রাদার্স ইউনিয়নের সাবেক খেলোয়াড় এনামুল হক আকন্দ লিটন। মূলত তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায়ই ময়মনসিংহের ক্রীড়াঙ্গনে স্থবিরতা কাটিয়ে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, এমনটাই জানান এই টুর্নামেন্টের রেফারি সহকারি গোলাম মোস্তুফা, হাসিবুল হাসান শান্তসহ স্থানীয় একাধিক ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব।
জানতে চাইলে সাবেক ফুটবলার ও ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক আকন্দ লিটন ফুটবল নিয়ে তার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি স্মরণে, তাঁর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য খেলার মাঠে ফুটবল এবং তরুণ প্রজন্মকে ফিরিয়ে আনা। ইতোমধ্যে খেলাটি গ্রাম এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে ব্যাপক সাঁড়া জাগিয়েছে। এর ফলে ওয়ার্ড এবং গ্রাম পর্যায় থেকে উঠে আসছে নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়। আগামী ঈদুল আযহার পর অনুর্ধ্ব-১৬ নামে আরেকটি টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে। সেখান থেকে খেলোয়াড় বাছাঁই করে একটি ক্যাম্পে মাসব্যাপী তাদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড় তৈরী হবে বলে আমরা আশা করছি।
ব্যক্তি পর্যায়ে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো: আল আমিন। তিনি বলেন, সরকারিভাবে সব সময় সব ধরনের খেলার আয়োজন করা সম্ভব হয় না। তবে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পর্যায় থেকে এধরনের খেলার আয়োজন করা হলে নতুন খেলোয়ার তৈরীর সুযোগ সৃষ্টি হয়। তারা পরবর্তীতে লীগ বা দলে অংশগ্রহন করে জেলা থেকে বিভাগ এবং বিভাগ থেকে জাতীয় পর্যায়ের খেলার সুযোগ পায়। সেই সঙ্গে খেলার মাঠে তরুণ প্রজন্মকে ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে মাদকের ভয়াবহতা এবং অপরাধ প্রবণতা থেকে তাদের সমাজকে রক্ষা করাও সম্ভব- বলেও জানান এই ক্রীড়া কর্মকর্তা।
এদিকে এদিন ফাইনাল টুর্নামেন্টে মহানগরীর খেলায় মুখোমুখি হয় ২০ নম্বর এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ড। এ সময় টানা ৬০ মিনিটের এই খেলায় গোল শূন্য ড্র হওয়ায় আরও ১০ মিনিট সময় অতিরিক্ত খেলেও ফলাফল অমিমাংসিত থেকে ট্রাইব্রেকারে জয়লাভ করে ২৩ নম্বর ওয়ার্ড দল। অপরদিকে ইউনিয়ন পর্যায়ের অংশের খেলায় চরসিরিতা এবং অষ্টধর ইউনিয়মের মধ্যকার ফাইনাল খেলায় জয়লাভ করে চরসিরতা দল। এ সময় খেলার প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ বিজয়ী ও রার্নাস আপ দলের কাছে পুরস্কার বিতরণ করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলার ক্রীড়া কর্মকর্তা মো: আল আমিনসহ ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা। পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে মহানগরীর অংশের খেলায় বিজয়ী দল ২৩ নম্বর ওয়ার্ডকে ট্রপিসহ নগদ এক লক্ষ টাকা এবং রার্নাস আপ ২০ নম্বও ওয়ার্ড দলকে দেওয়া হয় ট্রপিসহ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়ের খেলায় বিজয়ী চরসিরিতা দলকে ট্রফি সহ নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং রানার্সআপ অষ্টধর ইউনিয়ন দলকে ট্রফি সহ নগদ ২৫ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়।