
এক যুগ ধরে বন্ধ অবস্থায় থাকা খুলনার বেসরকারি এজাক্স জুট মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের মাঝে কুরবানীর ঈদ উপলক্ষে নগদ অর্থ ও শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে শত শত শ্রমিক কর্মচারী এজাক্স জুট মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মান্নান তালুকদার আজ সকাল ১১:০০ টায় মিল অভ্যন্তরে বরণ করে নেন। মিল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জনপ্রতি নগদ ২,০০০ টাকা করে প্রদান করা হয়। প্রশাসনের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ও এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সোমবার বেলা ১১টায় মিল প্রাঙ্গণে এই বকশিস বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মান্নান তালুকদার বলেন, সাবেক স্বৈরাচারী সরকারের আমলে নানা ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা মামলায় সাত বছর কারাবন্দি থাকায় মিল পরিচালনা করতে পারেন নি তিনি। ফলে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ সম্ভব হয়নি। তবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই মিলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সকল বকেয়া টাকা পরিশোধ সম্পন্ন করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
নগদ অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রম অধিদপ্তর ইন্সপেক্টর মিরাজ সওদাগর, পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন খানজাহান আলী থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবু শাহিদ হাওলাদার আব্বাস সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগ হোসেন খান জাহান আলী থানা মহিলা দলনেত্রী মনি, ০২ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি সাধারণ সম্পাদক যুগিপোল ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ ছাত্রদল যুবদল দল বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,প্রতিষ্ঠানটি ক্রয়ের পর শ্রমিক কর্মচারীদের এককালীন ১৩ শত শ্রমিক কর্মচারীদের রায় সুইটির টাকা পরিশোধ করেন তিনি। অতঃপর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তিনি দীর্ঘ সাত বছর কারা ভোগ করেন। শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিন পরে এমন সহানুভূতিশীল পদক্ষেপে তারা কৃতজ্ঞ এবং আশাবাদী। মিলটি পুনরায় চালু হবে এবং তাদের ভবিষ্যৎ আরো সুন্দর হবে এই প্রত্যাশায় মিলটি দ্রুত চালুর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মালিক পক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান তারা। পতিত শ্রমিক কর্মচারী সহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে তিনি বিগত মালিক কওসার জামান বাবলার দুর্নীতি অনিয়ম এবং মিলে শ্রমিক কর্মচারীদের জীবন নিয়ে তিনি যে নোংরামি করেছেন তাও উপস্থাপন করেন। মান্নান তালুকদার বলেন মিলে শ্রমিক কর্মচারীদের সমস্ত বকেয়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত আমি মিল থেকে কোন অসুবিধে ভোগ করব না। দীনেশ শ্রমিক কর্মচারীদের আরো বলেন এই প্রতিষ্ঠানের মালিক আপনারা আজ থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি আপনারাই পাহারা দিবেন আপনাদের প্রতিষ্ঠানের সবকিছুই হেফাজতে রাখবেন আমি আপনাদের ছায়ার মত পাশে থেকে সর্বতো সহযোগিতা করব ইনশাল্লাহ।