ঢাকা ০৫:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুষ্টি সচেতনতায় গাকৃবির বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন

“পুষের অপার শক্তিতে, মেতে উঠি এক সাথে” শ্লোগানকে ধারণ করে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) নানা আয়োজনে বিশ্ব শুদ্ধ দিবস ২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। দুধের পুষ্টিগুণ, খাদ্য নিরাপত্তায় এর গুরুত্ব, খামারিদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন এবং ডেইরি শিল্পের অর্থনৈতিক ভূমিকা বুলে গরতেই এই বিশেষ দিনের আয়ো আয়োজন। এ দিবসকে ঘিরে দিনব্যাপী কর্মসূচিতে ছিল র‍্যালি, পোস্টার প্রদর্শনী, আলোচনা সভা এবং সচেতনতামূলক সেশন। এ উপলক্ষে গতকাল রবিবার সন্ধান টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিয়াজন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পরিচালিত গাজীপুরের কাউলভিয়ায় অবস্থিত ‘টেকনোলজি ভিলেজ’ এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করা হয়। পয়ে সেখানে প্রাইমারী শিক্ষার্থীদের মিদ্ধ ফিডিং এবং বিনামূল্যে গামারিদেনা দুধের গুগাছল পরীক্ষা করা হয়। এ দিবসরে উৎসবমুখর করে তুলতে বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-আন্সেলর প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান এর নেতৃত্বে ভেটেরিনারি মেডিসিন এন্ড অ্যানিম্যাল বায়েন্স অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্ম কর্মচারীগণের বৃহৎ অংশগ্রহণে একটি বর্ণিল র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি ভেটেরিনারি অনুষদীয় কমপ্লেক্স থেকে হায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিমমণ করে প্রশাসনিক ভবন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পার ভেটেরিনারি মেডিসিন অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স অনুষদ (এমভিএমএএস) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাঙ্গন কার্যক্রম এর যৌথ আয়োজনে এবং এলডিডিপি এর বৌজন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন অডিটেরিয়ামে এ বৃদ্ধ দিবসের উপর একটি তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এফডিএমএএস এর ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। আলোচনাসভায় গাকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সরাতে আরো প্রাণদন্ত করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে গালনির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হত এবং বেস্টট অব অনার হিসেবে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশন এর কনভেনর ড. সফিউল আহাদ সরসার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদীয় মিন, পরিচালক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, ব্রায়ান্ট ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন পরিচালক (বহিয়াজন ক প্রফেসর ড. মারহানা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে অনুষদীয় শিক্ষার্থী রায়হান আহমেদ প্রান্ত ও জয়তী ঘোষ অর্পিতা তাদের বক্তব্যে ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তারা সুষের পুষ্টিগুণ, খামায় পর্যায়ে সঠিক ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা এবং ভবিষ্যতেও ত‍্যালেঞ্জ তুলে ধরে বাংলাদেশের দুষ্ণ চাহিদা পূরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখার মুদ নামায় ব্যক্ত করেন। এরপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেইরি অ্যায় পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মোর্শেদুর রহমান। তিনি দুষকে “সুদের চেয়েও বেশি কিছু’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে এর সামাজিক, ঐতিহাসিক ও বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেন। তাঁর উপস্থাপনায় দুধের উৎপত্তি, ঐতিহ্য, পুষ্টিগুণ ও তাৎপর্য চিত্রসহ অথ্যনির্ভরভাবে তুলে ধরা হয়। তিনি দুধের উপাধি গুণ, খাদ্য নিরাপত্তায় এর অবসান এবং বাকৃবির এফভিএমএএস অনুষদে স্থাপিত বিশ্বমানের ল্যাব ও গবেষণার কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি, পরিবেশবান্ধব টেকনই দৃদ্ধ উৎপাদান “ডেইরি নোট জিরো” উদ্যোগের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। পরে অনুষ্ঠানে ড. আহাদ সরদার দুধের পুষ্টিগুণ, নিরাপদ মুগ্ধ উৎপাদন, দেশের দুগ্ধ শিল্পের ভাগনা এবং এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব নিয়ে গতবা দেন। সেমিনারের প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রয়মান গবেষণা ও দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দুগ্ধ শিল্পের লড়ের উপর আলোকপাত করে বক্তব্য প্রদান করেন। উপাচার্য বসেন, “দুধ শুধু একটি গ্রাম্য নয়, এটি একটি সম্পূর্ণ পুষ্টির উৎস। আমাদের দেশের পুষ্টি পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা দেখছি, এখনো বহু মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। ঘুষের সহায়ী ও সহজ এই সমর একটি টেকসই সমাধান হতে পায়ে। উপাচার্য আরো বালন, “গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় একটি গবেষণাভিত্তিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। আমরা দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি, গবাদিগন্তর উন্নত স্নাত এবং মুগ্ধ ব্যবস্থাপনার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি চালুর মাধ্যামে কৃষজ্ঞদের জীধনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এয়াড়া পাকৃবির শিক্ষার্থীদের মধ্যে যুদ্ধ খাত নিয়ে গবেষণায় আগ্রহ সৃষ্টি এবং এর মাধ্যমে নতুন উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা তৈরির সুযোগ তৈরি করার লক্ষ্যে করায় প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তিনি। শেষে সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মধ্যদিয়ে একটি মহতী দিবসের সমাপ্তি ঘটে। উল্লেখ্য, ২০০১ সাল থেকে জাতিসংয়ের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) দিবসটি উদযাপন করে আসছে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীপুরে জমজমাট কাঁঠালের হাট : দাম কম, খাজনা বেশি

পুষ্টি সচেতনতায় গাকৃবির বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন

আপডেট সময় ০৫:১২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
“পুষের অপার শক্তিতে, মেতে উঠি এক সাথে” শ্লোগানকে ধারণ করে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) নানা আয়োজনে বিশ্ব শুদ্ধ দিবস ২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। দুধের পুষ্টিগুণ, খাদ্য নিরাপত্তায় এর গুরুত্ব, খামারিদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন এবং ডেইরি শিল্পের অর্থনৈতিক ভূমিকা বুলে গরতেই এই বিশেষ দিনের আয়ো আয়োজন। এ দিবসকে ঘিরে দিনব্যাপী কর্মসূচিতে ছিল র‍্যালি, পোস্টার প্রদর্শনী, আলোচনা সভা এবং সচেতনতামূলক সেশন। এ উপলক্ষে গতকাল রবিবার সন্ধান টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিয়াজন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পরিচালিত গাজীপুরের কাউলভিয়ায় অবস্থিত ‘টেকনোলজি ভিলেজ’ এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করা হয়। পয়ে সেখানে প্রাইমারী শিক্ষার্থীদের মিদ্ধ ফিডিং এবং বিনামূল্যে গামারিদেনা দুধের গুগাছল পরীক্ষা করা হয়। এ দিবসরে উৎসবমুখর করে তুলতে বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-আন্সেলর প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান এর নেতৃত্বে ভেটেরিনারি মেডিসিন এন্ড অ্যানিম্যাল বায়েন্স অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্ম কর্মচারীগণের বৃহৎ অংশগ্রহণে একটি বর্ণিল র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালিটি ভেটেরিনারি অনুষদীয় কমপ্লেক্স থেকে হায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিমমণ করে প্রশাসনিক ভবন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পার ভেটেরিনারি মেডিসিন অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স অনুষদ (এমভিএমএএস) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাঙ্গন কার্যক্রম এর যৌথ আয়োজনে এবং এলডিডিপি এর বৌজন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন অডিটেরিয়ামে এ বৃদ্ধ দিবসের উপর একটি তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এফডিএমএএস এর ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। আলোচনাসভায় গাকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সরাতে আরো প্রাণদন্ত করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে গালনির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হত এবং বেস্টট অব অনার হিসেবে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশন এর কনভেনর ড. সফিউল আহাদ সরসার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদীয় মিন, পরিচালক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, ব্রায়ান্ট ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন পরিচালক (বহিয়াজন ক প্রফেসর ড. মারহানা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানে অনুষদীয় শিক্ষার্থী রায়হান আহমেদ প্রান্ত ও জয়তী ঘোষ অর্পিতা তাদের বক্তব্যে ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তারা সুষের পুষ্টিগুণ, খামায় পর্যায়ে সঠিক ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা এবং ভবিষ্যতেও ত‍্যালেঞ্জ তুলে ধরে বাংলাদেশের দুষ্ণ চাহিদা পূরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখার মুদ নামায় ব্যক্ত করেন। এরপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেইরি অ্যায় পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মোর্শেদুর রহমান। তিনি দুষকে “সুদের চেয়েও বেশি কিছু’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে এর সামাজিক, ঐতিহাসিক ও বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেন। তাঁর উপস্থাপনায় দুধের উৎপত্তি, ঐতিহ্য, পুষ্টিগুণ ও তাৎপর্য চিত্রসহ অথ্যনির্ভরভাবে তুলে ধরা হয়। তিনি দুধের উপাধি গুণ, খাদ্য নিরাপত্তায় এর অবসান এবং বাকৃবির এফভিএমএএস অনুষদে স্থাপিত বিশ্বমানের ল্যাব ও গবেষণার কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি, পরিবেশবান্ধব টেকনই দৃদ্ধ উৎপাদান “ডেইরি নোট জিরো” উদ্যোগের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। পরে অনুষ্ঠানে ড. আহাদ সরদার দুধের পুষ্টিগুণ, নিরাপদ মুগ্ধ উৎপাদন, দেশের দুগ্ধ শিল্পের ভাগনা এবং এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব নিয়ে গতবা দেন। সেমিনারের প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রয়মান গবেষণা ও দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দুগ্ধ শিল্পের লড়ের উপর আলোকপাত করে বক্তব্য প্রদান করেন। উপাচার্য বসেন, “দুধ শুধু একটি গ্রাম্য নয়, এটি একটি সম্পূর্ণ পুষ্টির উৎস। আমাদের দেশের পুষ্টি পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা দেখছি, এখনো বহু মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। ঘুষের সহায়ী ও সহজ এই সমর একটি টেকসই সমাধান হতে পায়ে। উপাচার্য আরো বালন, “গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় একটি গবেষণাভিত্তিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। আমরা দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি, গবাদিগন্তর উন্নত স্নাত এবং মুগ্ধ ব্যবস্থাপনার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি চালুর মাধ্যামে কৃষজ্ঞদের জীধনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এয়াড়া পাকৃবির শিক্ষার্থীদের মধ্যে যুদ্ধ খাত নিয়ে গবেষণায় আগ্রহ সৃষ্টি এবং এর মাধ্যমে নতুন উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা তৈরির সুযোগ তৈরি করার লক্ষ্যে করায় প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তিনি। শেষে সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মধ্যদিয়ে একটি মহতী দিবসের সমাপ্তি ঘটে। উল্লেখ্য, ২০০১ সাল থেকে জাতিসংয়ের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) দিবসটি উদযাপন করে আসছে।