ঢাকা ০৫:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আদালতের চারটি রায় থাকার পরও, অমান্য  করে গাজীপুরে জমি দখলের অভিযোগ

গাজীপুর জেলার গাছা থানার বাদে কলমেশ্বর মৌজায় এক অসহায় পরিবারের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী ও ভূমি দস্যু মোঃ শাহ আলম ও মোসাঃ জাহেরা খাতুনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী মোঃ শহিদুল ইসলাম আইনি লড়াই চালিয়ে একাধিক মামলায় ন্যায়বিচার পেলেও বারবার হয়রানি ও বেদখলের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
জমির তথ্য অনুযায়ী, শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন জমিটির  আর.এস খতিয়ান নং ৭ ও আর.এস দাগ নং ১১৭ এর অন্তর্ভুক্ত। পৈত্রিক সূত্রে এবং ১৩৩৫০ ও ১৯৯৪৬ নং দলিল মূলে মালিক হয়ে নিজ নামে পৃথক নামজারি ও জমাভাগ  করে ২৩৪৫ ও ১৯৪০ জোত খুলে দুই তলা পাকা ভবন নির্মাণ করে দীর্ঘদিন যাবত ভোগ দখলে আছেন। উক্ত সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে শাহ আলম গং কর্তৃক একাধিক মামলা দায়ের করেন। তারমধ্যে শাহ আলমের দায়েরকৃত দখল উচ্ছেদ মোকদ্দমা নং ৬৩৪/২০১৩ তদবিরের অভাবে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন।
এছাড়াও, শহিদুল ইসলামকে হয়রানি ও বেদখল করার উদ্দেশ্যে শাহ আলম বাদী হয়ে পূণরায় বিজ্ঞ অতিঃ জেলা ম্যাজিঃ আদালত গাজীপুরে ১৪৪/২০১৩,  এই মামলাটি বিবাদী শহিদুল ইসলাম পক্ষে রায় আসে, আবার পুনরায়  শহিদুল ইসলাম নামে মোসাঃ জাহেরা খাতুন বাদী হয়ে অতিঃ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিঃ আদালত গাজীপুরে সি.আর মামলা নং ১৬৫/২০২১ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। পিবিআই তদন্ত শেষে রিপোর্টে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে উল্লেখ করে বিজ্ঞ আদালত বরাবরে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম তার সম্পত্তি রক্ষার্থে বিজ্ঞ আদালতে ১৪৪ ধারায় পিটিশন মোকদ্দমা নং ১৮৫৬/২০১২ দায়ের করেন, শাহ আলম গং বারবার বেদখলের চেষ্টা করলে পরবর্তীতে আরও আইনগত পদক্ষেপ হিসেবে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারায় পিটিশন নং ৩১৬/১৯ দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালত প্রসেডিং মোকদ্দমা নং ১০৯/২০  এর মাধ্যমে আদালত শাহ আলম গংদের উক্ত জমিতে প্রবেশে বারিত করা হোক মর্মে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
ভুক্তভোগী মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, “আমি ওয়ারিশ ও দলিল মুলে মালিক হইয়া সিটি কর্পোরেশন হইতে আমার নামে হোল্ডিং নাম্বার ১৪১ ও গ্যাস ও বিদ্যু সংযোগ  ও প্লান পাশ করে দুইতলা বাড়ি বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই জমিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি।  আদালতের একাধিক রায় আমার পক্ষে এসেছে। তবুও শাহ আলম ও জাহেরা গং আমার সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই সম্পত্তির রেশ দরে আমার ভাগিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তিনবার আক্রমন করে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে। ভাগিনার স্ত্রী রুমা বাদী হয়ে গাছা থানায় তিনটি মামলা করেছে, মামলা গুলো এখনো চলমান। আমার ছোট মেয়ে মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে। শাহ আলম, জাহেরা, আহমদ, মাহমদ, সজীব এদের ভয়ে মাদ্রাসায় নিয়ে যেতে পারি না। তাদের এইসব কর্মকান্ড সেনাবাহিনী ও গাছা থানায় একাধিক অভিযোগ দিয়েছি।
আমার সম্পত্তি হইতে আমাকে বেদখল করতে একের পর এক মামলা দিয়ে আমাকে বাড়ী ছাড়া করে রাখতেছে। আমাকে বাড়ীর বাহিরে রাখার সুযোগে যে কোন সময় আমার বাড়িটি তারা দখল করে নিয়ে যেতে পারে। তাদের মামলা হামলার ভয়ে আমি আজ দিশেহারা। আমি দেশের আইন ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।”
স্থানীয়রা জানান, শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে হয়রানির চেষ্টা করা হয়েছে, যা আদালত কর্তৃক বাতিল হয়েছে। এলাকাবাসী এই ধরনের হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীপুরে জমজমাট কাঁঠালের হাট : দাম কম, খাজনা বেশি

আদালতের চারটি রায় থাকার পরও, অমান্য  করে গাজীপুরে জমি দখলের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৫:২৪:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
গাজীপুর জেলার গাছা থানার বাদে কলমেশ্বর মৌজায় এক অসহায় পরিবারের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী ও ভূমি দস্যু মোঃ শাহ আলম ও মোসাঃ জাহেরা খাতুনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী মোঃ শহিদুল ইসলাম আইনি লড়াই চালিয়ে একাধিক মামলায় ন্যায়বিচার পেলেও বারবার হয়রানি ও বেদখলের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
জমির তথ্য অনুযায়ী, শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন জমিটির  আর.এস খতিয়ান নং ৭ ও আর.এস দাগ নং ১১৭ এর অন্তর্ভুক্ত। পৈত্রিক সূত্রে এবং ১৩৩৫০ ও ১৯৯৪৬ নং দলিল মূলে মালিক হয়ে নিজ নামে পৃথক নামজারি ও জমাভাগ  করে ২৩৪৫ ও ১৯৪০ জোত খুলে দুই তলা পাকা ভবন নির্মাণ করে দীর্ঘদিন যাবত ভোগ দখলে আছেন। উক্ত সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে শাহ আলম গং কর্তৃক একাধিক মামলা দায়ের করেন। তারমধ্যে শাহ আলমের দায়েরকৃত দখল উচ্ছেদ মোকদ্দমা নং ৬৩৪/২০১৩ তদবিরের অভাবে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন।
এছাড়াও, শহিদুল ইসলামকে হয়রানি ও বেদখল করার উদ্দেশ্যে শাহ আলম বাদী হয়ে পূণরায় বিজ্ঞ অতিঃ জেলা ম্যাজিঃ আদালত গাজীপুরে ১৪৪/২০১৩,  এই মামলাটি বিবাদী শহিদুল ইসলাম পক্ষে রায় আসে, আবার পুনরায়  শহিদুল ইসলাম নামে মোসাঃ জাহেরা খাতুন বাদী হয়ে অতিঃ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিঃ আদালত গাজীপুরে সি.আর মামলা নং ১৬৫/২০২১ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। পিবিআই তদন্ত শেষে রিপোর্টে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে উল্লেখ করে বিজ্ঞ আদালত বরাবরে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম তার সম্পত্তি রক্ষার্থে বিজ্ঞ আদালতে ১৪৪ ধারায় পিটিশন মোকদ্দমা নং ১৮৫৬/২০১২ দায়ের করেন, শাহ আলম গং বারবার বেদখলের চেষ্টা করলে পরবর্তীতে আরও আইনগত পদক্ষেপ হিসেবে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারায় পিটিশন নং ৩১৬/১৯ দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালত প্রসেডিং মোকদ্দমা নং ১০৯/২০  এর মাধ্যমে আদালত শাহ আলম গংদের উক্ত জমিতে প্রবেশে বারিত করা হোক মর্মে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
ভুক্তভোগী মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, “আমি ওয়ারিশ ও দলিল মুলে মালিক হইয়া সিটি কর্পোরেশন হইতে আমার নামে হোল্ডিং নাম্বার ১৪১ ও গ্যাস ও বিদ্যু সংযোগ  ও প্লান পাশ করে দুইতলা বাড়ি বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই জমিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি।  আদালতের একাধিক রায় আমার পক্ষে এসেছে। তবুও শাহ আলম ও জাহেরা গং আমার সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই সম্পত্তির রেশ দরে আমার ভাগিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তিনবার আক্রমন করে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে। ভাগিনার স্ত্রী রুমা বাদী হয়ে গাছা থানায় তিনটি মামলা করেছে, মামলা গুলো এখনো চলমান। আমার ছোট মেয়ে মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে। শাহ আলম, জাহেরা, আহমদ, মাহমদ, সজীব এদের ভয়ে মাদ্রাসায় নিয়ে যেতে পারি না। তাদের এইসব কর্মকান্ড সেনাবাহিনী ও গাছা থানায় একাধিক অভিযোগ দিয়েছি।
আমার সম্পত্তি হইতে আমাকে বেদখল করতে একের পর এক মামলা দিয়ে আমাকে বাড়ী ছাড়া করে রাখতেছে। আমাকে বাড়ীর বাহিরে রাখার সুযোগে যে কোন সময় আমার বাড়িটি তারা দখল করে নিয়ে যেতে পারে। তাদের মামলা হামলার ভয়ে আমি আজ দিশেহারা। আমি দেশের আইন ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।”
স্থানীয়রা জানান, শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে হয়রানির চেষ্টা করা হয়েছে, যা আদালত কর্তৃক বাতিল হয়েছে। এলাকাবাসী এই ধরনের হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।