ঢাকা ০৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত করায় বিমানবন্দর কুর্মীটোলায় সংবাদ সম্মেলন

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুইটি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে অধ্যাদেশ জারি করার ফলে বিদ্যমান পরিস্থিতি নিরসনের আহ্বান জানিয়ে সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করেন ফেডারেল অব বাংলাদেশ কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট এসোসিয়েশন (এফবিসিসিএন্ডএফএএ)।

আজ ১৯শে মে সোমবার দুপুর ১২.০০ ঘটিকায় এয়ারপোর্টস্থ ঢাকা কাস্টমস এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন
(ডিসিএএ) ভবনে তারা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন অসুবিধার কথা তুলে ধরে কয়েকটি শর্ত তুলে ধরেন।
এসময় তারা বলেন, ব্যবসায়িক সমাজকে উপেক্ষা করে এনবিআর বিলুপ্তি করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব বিভাগ নামে অধ্যাদেশ জারী করায় রাজস্ব আহরণে নেতিবাচক অবস্থার সৃস্টি হয়েছে।

২। এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শক কমিটির পরামর্শ উপেক্ষা করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, যা কোন অবস্থায় কাম্য নয়।

৩। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর বিলুপ্তি করার বিষয়কে কেন্দ্র করে যৌক্তিক দাবির প্রেক্ষিতে চলমান কলম বিরতীর বিষয়ে জরুরী সমাধানের জন্য আমরা আহবান জানাই।

৪। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুইটি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে অধ্যাদেশ জারী করার ফলে বিরাজমান পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে জরুরী ভিত্তিতে সকল অংশীজনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে যৌক্তিক সমাধান করার আহবান জানান।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা বলেন, তারা অংশীজনের সাথে আলোচনা না করেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুইটি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে অধ্যাদেশ জারী করেছে। এর ফলে দেশের সকল শুল্ক ও বন্দরে উদ্ধৃত জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এ সব জটিলতা নিরসন বিষয়ে তারা মাননীয় অর্থ উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পত্র মারফত অবহিত করেছে। তারা আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ফলপ্রসূ কার্যক্রম গ্রহণ না করলে পরবর্তী তারা বড় ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশন এর সভাপতি জনাব মোঃ মিজানুর রহমান। এ সময় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব এস এম সাইফুল আলম। এ ছাড়াও সাংগঠনিক ও প্রচার সচিব জনাব মোঃ শওকত আলী, শুদ্ধ ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সচিব জনাব মোঃ ফারুক আলম,আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সচিব জনাব মোঃ এমদাদুল হক লতাসহ অন্যান্য কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দগণ বক্তব্য রাখেন।
নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এহেন হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে আমদানিকারক-রপ্তানিকার সহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারগন অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

সে সাথে রাজস্ব ও বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তারা আরো বলেন, যথাসময়ে পণ্য ডেলিভারি না হওয়ায় বন্দরে জায়গা স্বল্পতার কারণে পণ্যজটের সৃষ্টি,জরুরী সেবা বিঘ্নিত এবং রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে রপ্তানিমুখি শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, এর ফলে সরকার যেমন হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ না থাকার কারণে উত্তরোত্তর পন্যমুল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমদানি-রপ্তানি বানিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগণ কর্মহীন হয়ে পড়েছে,যা দেশের সার্বিক উন্নতির অন্তরায়। এই অবস্থায় অংশীজনগণ সারাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করার আশংকা বোধ করছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীপুরে জমজমাট কাঁঠালের হাট : দাম কম, খাজনা বেশি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত করায় বিমানবন্দর কুর্মীটোলায় সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০৭:৫৬:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুইটি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে অধ্যাদেশ জারি করার ফলে বিদ্যমান পরিস্থিতি নিরসনের আহ্বান জানিয়ে সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করেন ফেডারেল অব বাংলাদেশ কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট এসোসিয়েশন (এফবিসিসিএন্ডএফএএ)।

আজ ১৯শে মে সোমবার দুপুর ১২.০০ ঘটিকায় এয়ারপোর্টস্থ ঢাকা কাস্টমস এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন
(ডিসিএএ) ভবনে তারা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন অসুবিধার কথা তুলে ধরে কয়েকটি শর্ত তুলে ধরেন।
এসময় তারা বলেন, ব্যবসায়িক সমাজকে উপেক্ষা করে এনবিআর বিলুপ্তি করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব বিভাগ নামে অধ্যাদেশ জারী করায় রাজস্ব আহরণে নেতিবাচক অবস্থার সৃস্টি হয়েছে।

২। এ সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শক কমিটির পরামর্শ উপেক্ষা করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, যা কোন অবস্থায় কাম্য নয়।

৩। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর বিলুপ্তি করার বিষয়কে কেন্দ্র করে যৌক্তিক দাবির প্রেক্ষিতে চলমান কলম বিরতীর বিষয়ে জরুরী সমাধানের জন্য আমরা আহবান জানাই।

৪। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুইটি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে অধ্যাদেশ জারী করার ফলে বিরাজমান পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে জরুরী ভিত্তিতে সকল অংশীজনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে যৌক্তিক সমাধান করার আহবান জানান।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা বলেন, তারা অংশীজনের সাথে আলোচনা না করেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুইটি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে অধ্যাদেশ জারী করেছে। এর ফলে দেশের সকল শুল্ক ও বন্দরে উদ্ধৃত জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এ সব জটিলতা নিরসন বিষয়ে তারা মাননীয় অর্থ উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পত্র মারফত অবহিত করেছে। তারা আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ফলপ্রসূ কার্যক্রম গ্রহণ না করলে পরবর্তী তারা বড় ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশন এর সভাপতি জনাব মোঃ মিজানুর রহমান। এ সময় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব এস এম সাইফুল আলম। এ ছাড়াও সাংগঠনিক ও প্রচার সচিব জনাব মোঃ শওকত আলী, শুদ্ধ ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সচিব জনাব মোঃ ফারুক আলম,আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সচিব জনাব মোঃ এমদাদুল হক লতাসহ অন্যান্য কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দগণ বক্তব্য রাখেন।
নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এহেন হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে আমদানিকারক-রপ্তানিকার সহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারগন অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

সে সাথে রাজস্ব ও বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তারা আরো বলেন, যথাসময়ে পণ্য ডেলিভারি না হওয়ায় বন্দরে জায়গা স্বল্পতার কারণে পণ্যজটের সৃষ্টি,জরুরী সেবা বিঘ্নিত এবং রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে রপ্তানিমুখি শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, এর ফলে সরকার যেমন হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ না থাকার কারণে উত্তরোত্তর পন্যমুল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমদানি-রপ্তানি বানিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগণ কর্মহীন হয়ে পড়েছে,যা দেশের সার্বিক উন্নতির অন্তরায়। এই অবস্থায় অংশীজনগণ সারাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করার আশংকা বোধ করছে।