ঢাকা ০৯:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
News Title :
সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে এনসিপির মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন ২৭ বছর বয়সী দ্যুতি অরণ্য প্রীতি চৌধুরী ক্যাম্পাসে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায়: জাবিতে রাত ১০টার পর সব ধরনের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ মালদ্বীপে দুই বছরে ৯ হাজারের বেশি অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে হাফ ভাড়া নিয়ে শ্রমিক-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ : অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর আল্লাহর ওপর আস্থা পুনর্বহাল করবে বিএনপি : খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিনের প্রতিশ্রুতি রায়গঞ্জে সরকারি সার অতিরিক্ত দামে বিক্রির অভিযোগ যুবলীগ নেতার নিখোঁজ সন্তানের মরদেহ নদীতে উদ্ধার ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৯২ হাতিরঝিলে ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে আগুন বাসচাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত, সড়ক অবরোধ করে বাসে আগুন দিল জনতা

ভো’লার ম’হি’ষে’র দুধের দই জি’আই স্বী’কৃতি নিয়ে অর্থনীতিতে ন’য়া স’ম্ভাবনায়

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৪৯:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
  • ২২০ বার পড়া হয়েছে
ভোলার ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মহিষের দুধের কাঁচা টক দই এবার জিআই বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি সনদ পেল। এতে খুশি মহিষ খামারি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন করে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে খামারিরা মনে করেন, শুধু জিআই পণ্যের স্বীকৃতি দিলেই হবে না, পাশাপাশি মহিষ সুরক্ষা ও খাবারের অভাব মেটাতে সরকারি উদ্যোগের প্রয়োজন। ভোলাসহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও অতিথি আপ্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ মহিষের দুধের টক দই। যা স্থানীয়ভাবে ‘মইষা দই’ নামে পরিচিত। সম্প্রতি ৩০ এপ্রিল জিও-গ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি স্বরূপ আন্তর্জাতিক সনদ পেয়েছে মহিষের টক দই।সরকারি হিসাব অনুযায়ী, কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ নামে খ্যাত দ্বীপজেলা ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মহিষ রয়েছে। তবে বেসরকারি মতে, এই সংখ্যা দুই লাখেরও বেশি। এসব মহিষ বাতানিদের মাধ্যমে লালন-পালন করা হয়। ভৌগলিক কারনে চরাঞ্চলে প্রাকৃতিক ঘাস সহজলভ্য হওয়ায় খাদ্যের সংকট নেই বললেই চলে। স্থানীয় বিভিন্ন চরাঞ্চলের খামারিদের থেকে দুধ কিনে দোকানিরা দই তৈরি করেন। ভোলার সাত উপজেলায় প্রতিদিন প্রায় ১শ’ টন মহিষের দুধ দিয়ে দধি তৈরি হচ্ছে। এসব দধি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।
গত ৩০ এপ্রিল দেশের ২৪টি পণ্যকে জিআই সনদ দেয় সরকার, যার মধ্যে ভোলার মহিষের দই’ অন্যতম। উদ্যোক্তারা আশা করছেন, এই দই ভবিষ্যতে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারেও রপ্তানি হবে। এবং স্থানীয়দের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ধারাকে বেগবান করবে, এমনটাই প্রত্যাশা ভোলাবাসীর।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে এনসিপির মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন ২৭ বছর বয়সী দ্যুতি অরণ্য প্রীতি চৌধুরী

ভো’লার ম’হি’ষে’র দুধের দই জি’আই স্বী’কৃতি নিয়ে অর্থনীতিতে ন’য়া স’ম্ভাবনায়

আপডেট সময় ১১:৪৯:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
ভোলার ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মহিষের দুধের কাঁচা টক দই এবার জিআই বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি সনদ পেল। এতে খুশি মহিষ খামারি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন করে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে খামারিরা মনে করেন, শুধু জিআই পণ্যের স্বীকৃতি দিলেই হবে না, পাশাপাশি মহিষ সুরক্ষা ও খাবারের অভাব মেটাতে সরকারি উদ্যোগের প্রয়োজন। ভোলাসহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও অতিথি আপ্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ মহিষের দুধের টক দই। যা স্থানীয়ভাবে ‘মইষা দই’ নামে পরিচিত। সম্প্রতি ৩০ এপ্রিল জিও-গ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি স্বরূপ আন্তর্জাতিক সনদ পেয়েছে মহিষের টক দই।সরকারি হিসাব অনুযায়ী, কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ নামে খ্যাত দ্বীপজেলা ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মহিষ রয়েছে। তবে বেসরকারি মতে, এই সংখ্যা দুই লাখেরও বেশি। এসব মহিষ বাতানিদের মাধ্যমে লালন-পালন করা হয়। ভৌগলিক কারনে চরাঞ্চলে প্রাকৃতিক ঘাস সহজলভ্য হওয়ায় খাদ্যের সংকট নেই বললেই চলে। স্থানীয় বিভিন্ন চরাঞ্চলের খামারিদের থেকে দুধ কিনে দোকানিরা দই তৈরি করেন। ভোলার সাত উপজেলায় প্রতিদিন প্রায় ১শ’ টন মহিষের দুধ দিয়ে দধি তৈরি হচ্ছে। এসব দধি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।
গত ৩০ এপ্রিল দেশের ২৪টি পণ্যকে জিআই সনদ দেয় সরকার, যার মধ্যে ভোলার মহিষের দই’ অন্যতম। উদ্যোক্তারা আশা করছেন, এই দই ভবিষ্যতে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারেও রপ্তানি হবে। এবং স্থানীয়দের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ধারাকে বেগবান করবে, এমনটাই প্রত্যাশা ভোলাবাসীর।