ঢাকা ০৩:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব “বৈসু” উপলক্ষে বলিখেলা, পুরষ্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সদর উপজেলার ঠাকুরছড়া নতুন বাজার মাঠ প্রাঙ্গণে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব “বৈসু” উপলক্ষে বলিখেলা, পুরষ্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩ মে ২০২৫ (শনিবার) বিকেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বৈসু উদযাপন কমিটির সভাপতি ননী ব্রত ত্রিপুরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জয়া ত্রিপুরা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক দীনময় রোয়াজা, প্রাক্তন জেলা সমবায় কর্মকর্তা রত্ন কান্তি রোয়াজা, খাগড়াছড়ি উপজাতীয় ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি রবি শংকর তালুকদার, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত ত্রিপুরা সহ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ঠাকুরছড়া ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জনপদ। শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজ ও রাজনৈতিক অঙ্গনে জেলার যেসব ব্যক্তিবর্গ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হয়েছেন, তাদের অনেকেই ঠাকুরছড়া গ্রামের সন্তান কিংবা এই এলাকার আত্মীয়-স্বজন। তাই এই জনপদের উন্নয়ন ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে সকলকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নিজস্ব বর্ষবরণ উৎসব ‘বৈসু’ শুধু একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব নয়, এটি ঐতিহ্য, আত্মপরিচয় ও সাংস্কৃতিক আত্মমর্যাদার প্রতীক। এই আয়োজনে ত্রিপুরা সংস্কৃতির যে গভীরতা, সৌন্দর্য ও সম্প্রীতির বার্তা ফুটে উঠেছে, তা সামগ্রিক পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে।

আলোচনার আগে অনুষ্ঠিত হয় ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী বলিখেলা। এতে অংশ নেন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ৭ জন প্রতিযোগী। চূড়ান্ত পর্বে বলিখেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেন সৃজন চাকমা, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন ইতিয়ন চাকমা এবং তৃতীয় স্থান লাভ করেন মিন্টু ত্রিপুরা। পরে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীপুরে জমজমাট কাঁঠালের হাট : দাম কম, খাজনা বেশি

ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব “বৈসু” উপলক্ষে বলিখেলা, পুরষ্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

আপডেট সময় ০১:০৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সদর উপজেলার ঠাকুরছড়া নতুন বাজার মাঠ প্রাঙ্গণে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব “বৈসু” উপলক্ষে বলিখেলা, পুরষ্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩ মে ২০২৫ (শনিবার) বিকেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বৈসু উদযাপন কমিটির সভাপতি ননী ব্রত ত্রিপুরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জয়া ত্রিপুরা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক দীনময় রোয়াজা, প্রাক্তন জেলা সমবায় কর্মকর্তা রত্ন কান্তি রোয়াজা, খাগড়াছড়ি উপজাতীয় ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি রবি শংকর তালুকদার, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত ত্রিপুরা সহ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ঠাকুরছড়া ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জনপদ। শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজ ও রাজনৈতিক অঙ্গনে জেলার যেসব ব্যক্তিবর্গ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হয়েছেন, তাদের অনেকেই ঠাকুরছড়া গ্রামের সন্তান কিংবা এই এলাকার আত্মীয়-স্বজন। তাই এই জনপদের উন্নয়ন ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে সকলকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নিজস্ব বর্ষবরণ উৎসব ‘বৈসু’ শুধু একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব নয়, এটি ঐতিহ্য, আত্মপরিচয় ও সাংস্কৃতিক আত্মমর্যাদার প্রতীক। এই আয়োজনে ত্রিপুরা সংস্কৃতির যে গভীরতা, সৌন্দর্য ও সম্প্রীতির বার্তা ফুটে উঠেছে, তা সামগ্রিক পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে।

আলোচনার আগে অনুষ্ঠিত হয় ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী বলিখেলা। এতে অংশ নেন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ৭ জন প্রতিযোগী। চূড়ান্ত পর্বে বলিখেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেন সৃজন চাকমা, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন ইতিয়ন চাকমা এবং তৃতীয় স্থান লাভ করেন মিন্টু ত্রিপুরা। পরে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।