ঢাকা ০৪:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিন সংসার ভাঙ্গার নেপথ্যে রিয়া মনি : হিরো আলম

আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও অভিনেতা আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম সম্প্রতি তার তৃতীয় স্ত্রী রিয়া মনিকে তালাক দিয়ে বিচ্ছেদ সম্পন্ন করেছেন। এরপর রিয়া মনির সঙ্গে ম্যাক্স রাজু নামে এক কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের সম্পর্কের কথা জানান হিরো আলম।
এবার সেই ম্যাক্স রাজুর স্ত্রী ইতি’কে সাথে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জনসম্মুখে তুলে ধরেছেন হিরো আলম ও ইতি।
শনিবার (২৬এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার জামালপুর মিয়া শিশু মেলা পার্কে আনুষ্ঠানিক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের হিরো আলম বলেন, আমার বাবা মৃত্যুশয্যায় সায়িত, অথচ আমার স্ত্রী রিয়া মনি বাবার কাছে না এসে ম্যাক্স রাজুর সঙ্গে ড্যান্স ভিডিও বানিয়ে বেড়াচ্ছেন। এই মেয়েকে নিয়ে কি সংসার করা যায়? তাই আমি রিয়া মনিকে তালাক দিয়েছি। এই রিয়া মনির কারণেই আমার সংসার, (যে মেয়ে আমার বাবার দেখাশোনা করেছে-সেই) মিতির সংসার ও মাক্স রাজুর স্ত্রী ইতির সংসার অর্থাৎ তিনটি সংসার ভেঙে গেছে।
সম্মেলনে ম্যাক্স রাজুর স্ত্রী ইতি বলেন, ইফ ইউ ডোন্ট-মাইন্ড আমার স্বামীর নাম মুখে নিতে আমার ঘেন্না লাগে, রুচিতে বাঁধে। রিয়া মনিকে ধন্যবাদ, কারণ আমার জীবন থেকে আমার স্বামীর মতো বাজে লোককে নিয়ে গেছেন।
এর আগে একসঙ্গে কাজ করার সুবাদেই রিয়ামনির প্রেমে পড়েছিলেন হিরো আলম। সে কারণেই দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল নুসরাত জাহান হিরো আলমকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন। পরে হিরো আলম রিয়ামনিকে বিয়ে করেন। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে বিনোদন প্রেমীদের জন্যে বেশ কিছু কাজ করেছেন হিরো আলম ও রিয়ামনি।
কয়েক বছর পূর্বে অর্থাৎ ২০১০ সালে সাদিয়া বেগম সুমির সঙ্গে বিয়ে হয় হিরো আলমের। ওই সংসারে আলো ও আঁখি নামে দুই কন্যা ও আবির নামে এক পূত্র সন্তান রয়েছে তাদের উভয়ের। পরে  ফের ২০১৫ সালের দিকে কমেডিয়ান হিসেবে ফেসবুকে আত্মপ্রকাশ হয় হিরো আলমের।
২০১৯ সালের ৬ মার্চ যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার হন হিরো আলম। পরে ৭ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আহমেদ শাহরিয়ার তারিক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সুমিকে মারধরের অভিযোগে ৬ মার্চ বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন তার (হিরো আলম) শ্বশুর সাইফুল ইসলাম। মামলার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তারের পর আদালত কারাগারে প্রেরণ করেছিলেন।
একই বছরের ১৯ এপ্রিল জামিনে মুক্তি পান হিরো আলম। ১০ হাজার টাকা বন্ডের বিপরীতে তার জামিন মঞ্জুর করেন বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার। তবে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি, এ বিষয়ে কেউ কোন ক্লিয়ারেন্স দেন নি।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীপুরে জমজমাট কাঁঠালের হাট : দাম কম, খাজনা বেশি

তিন সংসার ভাঙ্গার নেপথ্যে রিয়া মনি : হিরো আলম

আপডেট সময় ১১:২২:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও অভিনেতা আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম সম্প্রতি তার তৃতীয় স্ত্রী রিয়া মনিকে তালাক দিয়ে বিচ্ছেদ সম্পন্ন করেছেন। এরপর রিয়া মনির সঙ্গে ম্যাক্স রাজু নামে এক কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের সম্পর্কের কথা জানান হিরো আলম।
এবার সেই ম্যাক্স রাজুর স্ত্রী ইতি’কে সাথে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জনসম্মুখে তুলে ধরেছেন হিরো আলম ও ইতি।
শনিবার (২৬এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার জামালপুর মিয়া শিশু মেলা পার্কে আনুষ্ঠানিক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের হিরো আলম বলেন, আমার বাবা মৃত্যুশয্যায় সায়িত, অথচ আমার স্ত্রী রিয়া মনি বাবার কাছে না এসে ম্যাক্স রাজুর সঙ্গে ড্যান্স ভিডিও বানিয়ে বেড়াচ্ছেন। এই মেয়েকে নিয়ে কি সংসার করা যায়? তাই আমি রিয়া মনিকে তালাক দিয়েছি। এই রিয়া মনির কারণেই আমার সংসার, (যে মেয়ে আমার বাবার দেখাশোনা করেছে-সেই) মিতির সংসার ও মাক্স রাজুর স্ত্রী ইতির সংসার অর্থাৎ তিনটি সংসার ভেঙে গেছে।
সম্মেলনে ম্যাক্স রাজুর স্ত্রী ইতি বলেন, ইফ ইউ ডোন্ট-মাইন্ড আমার স্বামীর নাম মুখে নিতে আমার ঘেন্না লাগে, রুচিতে বাঁধে। রিয়া মনিকে ধন্যবাদ, কারণ আমার জীবন থেকে আমার স্বামীর মতো বাজে লোককে নিয়ে গেছেন।
এর আগে একসঙ্গে কাজ করার সুবাদেই রিয়ামনির প্রেমে পড়েছিলেন হিরো আলম। সে কারণেই দ্বিতীয় স্ত্রী মডেল নুসরাত জাহান হিরো আলমকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন। পরে হিরো আলম রিয়ামনিকে বিয়ে করেন। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে বিনোদন প্রেমীদের জন্যে বেশ কিছু কাজ করেছেন হিরো আলম ও রিয়ামনি।
কয়েক বছর পূর্বে অর্থাৎ ২০১০ সালে সাদিয়া বেগম সুমির সঙ্গে বিয়ে হয় হিরো আলমের। ওই সংসারে আলো ও আঁখি নামে দুই কন্যা ও আবির নামে এক পূত্র সন্তান রয়েছে তাদের উভয়ের। পরে  ফের ২০১৫ সালের দিকে কমেডিয়ান হিসেবে ফেসবুকে আত্মপ্রকাশ হয় হিরো আলমের।
২০১৯ সালের ৬ মার্চ যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার হন হিরো আলম। পরে ৭ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আহমেদ শাহরিয়ার তারিক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সুমিকে মারধরের অভিযোগে ৬ মার্চ বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন তার (হিরো আলম) শ্বশুর সাইফুল ইসলাম। মামলার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তারের পর আদালত কারাগারে প্রেরণ করেছিলেন।
একই বছরের ১৯ এপ্রিল জামিনে মুক্তি পান হিরো আলম। ১০ হাজার টাকা বন্ডের বিপরীতে তার জামিন মঞ্জুর করেন বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার। তবে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি, এ বিষয়ে কেউ কোন ক্লিয়ারেন্স দেন নি।