ঢাকা ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রশাসনের কর্মকর্তা পরিচয়ে আসামিকে গ্রেফতারে বাধা ঃআওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সোবহান গ্রেপ্তার 

প্রশাসনের লোক পরিচয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সাবেক এক সেনা কর্মকর্তাকে আটক করেছে র‍্যাব। আটক মো. শাহিন আলম (২৯) সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স কর্পোরাল। উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ১৫ নম্বর সড়কের ১৫ নম্বর বাসা থেকে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টায় তাঁকে আটক করে র‍্যাব-১।

আটক শাহিন নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রা ডাঙ্গা গ্রামের বদরুল ইসলামের ছেলে। তিনি উত্তরার ওই বাসাতেই থাকেন।

উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ওই বাড়িটিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা ও উত্তরার আমির কমপ্লেক্স বণিক কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুস সোবাহান রয়েছেন, এমন তথ্যের ভিত্তিতে ছাত্ররা বাড়িটির সামনে জড়ো হয়। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হোন।

ঘটনাস্থলে রাত ১২টার দিকে পুলিশ যাওয়ার পর শাহিন আলম শিক্ষার্থী ও পুলিশকে বাড়িতে প্রবেশ করতে বাধা দেন। একপর্যায়ে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্ক–বিতর্কে জড়ান। উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদকে বাধা দেন। ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে বলে দাপট দেখান।

ওই তর্কবিতর্কের ভিডিও ফুটেজ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে গেলে র‍্যাবের একটি টিম তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়।

ছাত্র প্রতিনিধি নোমান রেজা বলেন, হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই (উপপরিদর্শক) আবু সাঈদ ও ছাত্র প্রতিনিধি বাসাটিতে ঢুকতে চাইলে একজন প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে আধা ঘণ্টা গেটের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখে। পরে ওই আসামি অন্য ফ্ল্যাটে পালানোর পর পুলিশকে ঢুকতে দেয়। পুলিশ গিয়ে তাকে পায়নি। অথচ ওই ব্যক্তিই আমাদের বলেছিল, আমি তাকে (অভিযুক্ত) কল দিচ্ছি, নিচে আসার জন্য।

নোমান বলেন, ‘পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে আরও র‍্যাব, সেনাবাহিনীসহ আশপাশের জনতা জড়ো হয়। এরপর রাত দেড়টার দিকে ওই বাড়িটি পুরো তল্লাশি চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও উত্তরার আমির কমপ্লেক্স মার্কেটের সাবেক সভাপতি হাজী আব্দুস সোবাহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’

আটকের বিষয়ে র‍্যাব–১–এর সিপিসি–২–এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মুহাম্মদ আহনাফ রাসিফ বিন হালিম বলেন, ‘প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে দাপট দেখানো এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স করপোরাল মো. শাহিন আলমকে আটক করা হয়েছে। যাচাই বাছাই চলছে। এরপর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হাফিজুর রহমান বলেন ছাত্র হত্যা মামলায় আব্দুস সোবাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে,গোপন সংবাদের মাধ্যমে আমরা গতকাল রাতে ছাত্রদের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়,সে আওয়ামী লীগের উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে  একটি ইউনিট কমিটির সহ-সভাপতি ছিল,সে আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিল, আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

পলাশবাড়ীতে কারেন্টের শট সার্কিটে আগুনে  দোকান পুড়ে ছাই,,,

প্রশাসনের কর্মকর্তা পরিচয়ে আসামিকে গ্রেফতারে বাধা ঃআওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সোবহান গ্রেপ্তার 

আপডেট সময় ০৪:৩৩:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

প্রশাসনের লোক পরিচয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সাবেক এক সেনা কর্মকর্তাকে আটক করেছে র‍্যাব। আটক মো. শাহিন আলম (২৯) সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স কর্পোরাল। উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ১৫ নম্বর সড়কের ১৫ নম্বর বাসা থেকে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টায় তাঁকে আটক করে র‍্যাব-১।

আটক শাহিন নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রা ডাঙ্গা গ্রামের বদরুল ইসলামের ছেলে। তিনি উত্তরার ওই বাসাতেই থাকেন।

উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ওই বাড়িটিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা ও উত্তরার আমির কমপ্লেক্স বণিক কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুস সোবাহান রয়েছেন, এমন তথ্যের ভিত্তিতে ছাত্ররা বাড়িটির সামনে জড়ো হয়। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হোন।

ঘটনাস্থলে রাত ১২টার দিকে পুলিশ যাওয়ার পর শাহিন আলম শিক্ষার্থী ও পুলিশকে বাড়িতে প্রবেশ করতে বাধা দেন। একপর্যায়ে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্ক–বিতর্কে জড়ান। উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদকে বাধা দেন। ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে বলে দাপট দেখান।

ওই তর্কবিতর্কের ভিডিও ফুটেজ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে গেলে র‍্যাবের একটি টিম তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়।

ছাত্র প্রতিনিধি নোমান রেজা বলেন, হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই (উপপরিদর্শক) আবু সাঈদ ও ছাত্র প্রতিনিধি বাসাটিতে ঢুকতে চাইলে একজন প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে আধা ঘণ্টা গেটের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখে। পরে ওই আসামি অন্য ফ্ল্যাটে পালানোর পর পুলিশকে ঢুকতে দেয়। পুলিশ গিয়ে তাকে পায়নি। অথচ ওই ব্যক্তিই আমাদের বলেছিল, আমি তাকে (অভিযুক্ত) কল দিচ্ছি, নিচে আসার জন্য।

নোমান বলেন, ‘পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে আরও র‍্যাব, সেনাবাহিনীসহ আশপাশের জনতা জড়ো হয়। এরপর রাত দেড়টার দিকে ওই বাড়িটি পুরো তল্লাশি চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও উত্তরার আমির কমপ্লেক্স মার্কেটের সাবেক সভাপতি হাজী আব্দুস সোবাহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’

আটকের বিষয়ে র‍্যাব–১–এর সিপিসি–২–এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মুহাম্মদ আহনাফ রাসিফ বিন হালিম বলেন, ‘প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে দাপট দেখানো এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স করপোরাল মো. শাহিন আলমকে আটক করা হয়েছে। যাচাই বাছাই চলছে। এরপর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হাফিজুর রহমান বলেন ছাত্র হত্যা মামলায় আব্দুস সোবাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে,গোপন সংবাদের মাধ্যমে আমরা গতকাল রাতে ছাত্রদের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়,সে আওয়ামী লীগের উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে  একটি ইউনিট কমিটির সহ-সভাপতি ছিল,সে আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিল, আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।