
গাজীপুরে চ্যানেল এস এর গাছা থানার আঞ্চলিক সাংবাদিক আর কে রেজার উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১১মার্চ) বিকেল ৫টায় মহানগরীর বোর্ডবাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে গাছা মেট্রো থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করে আইনী সহায়তা চেয়েছেন ভূক্তভূগী সাংবাদিক আর কে রেজা।
হামলাকারি সন্ত্রাসীরা হলো, মহানগরীর ৩৫ নং ওয়ার্ডের গাছা মেট্রো থানার কলমেশ্বর এলাকার জহির (৩০), সে পেশায় একজন চালক বলে জানা গেছে, এছারা তার সহযোগী অজ্ঞাত আরো ৮-১০জন সন্ত্রাসী হামলায় অংশ নেয় বলেও জানা গেছে।
অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় নগরীর বোর্ডবাজারে যৌথ বাহিনীর স্থানীয় অভিযানে অন্যান্য সংবাদকর্মীর ন্যায় তিনিও সংবাদ কভারে যান। এক পর্যায়ে উচ্ছেদাভিযানের ভিডিও সংগ্রহ করে ফেরার প্রাক্কালে অভিযুক্ত ও তার সাথে থাকা ৮-১০জন মিলে সাংবাদিককে ভিডিও ফুটেজ ডিলিট করতে বলেন। এতে রাজি না হয়ে ইফতার করতে তৃপ্তি হোটেলে চলে যান সাংবাদিক রেজা।
এক পর্যায়ে রেজার পিছু নিয়ে অভিযুক্ত ও তার সহযোগীরা ওই হোটেলে গীয়ে বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী ও নগদ অর্থ কেড়ে নেন। একই সময় ওই ফুটেজ ডিলিট করে সাংবাদিককে শারীরিক নির্যাতন করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন ভূক্তভূগী সাংবাদিক আর কে রেজা। পরবর্তীতে এ বিষয়টি গাছা প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ অবগত হলে কিছু মালামাল ক্লাব কর্তৃপক্ষের নিকট ফেরত দেয় বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বিচার প্রত্যাশা করেছেন ভূক্তভূগী সাংবাদিক আর কে রেজা ও গাছা প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ। এছারা সু-শীল সমাজের অনেকেই ন্যাক্কারজনক এমন ঘটনার প্রতি তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আবেদন জানিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে অভিযোগ স্বিকার করে অভিযুক্ত জহির বলেন, আমরা শহরে থাকি গাড়ি চালায়ে খাই, পরিবার চালাই গরীব মানুষ। আমরা গাড়ি নিয়া পালাইয়া গেছি সাংবাদিক ভিডিও দেখাইয়া মামলা দেওয়াইছে। তাই একটু তর্কবিতর্ক হইছে হোটেলে। পরে মালামাল দিয়া আইছি ক্লাবে, তবে মারধর কে করেছে তা জানিনা।
এই ঘটনার বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন গাছা মেট্রো থানা পুলিশের অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) আলী মোহাম্মদ রাশেদ।