
গাজীপুর মহানগরীর যুবলীগ নেতা রাসেল মোল্লা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন ৬৭ বছর বয়সী রাহেলা।
ভুক্তভোগী রাহেলা বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১ ঘটিকায় গাজীপুর সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি সদর থানার ২২ নং ওয়ার্ডের বাংলাবাজারের বাহাদুরপুর এলাকার মৃত ফজল হকের স্ত্রী।
এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, ২০১১ সালে বাহাদুরপুর মৌজাস্থিত এস.এ ১১৬ নং. আর.এস ৩৬৭ নং খতিয়ানে এস.এ ২৩২ নং, আর.এস ৭৪২ নং দাগের ০৫.৮৩ শতাংশ জমি খরিদ করি। উক্ত জমি খরিদ করে নামজারী জমাভাগ কেইস নং- ৩৮৩৮/১০-১১, তাং- ২১/০৬/২০১১ইং, জোত- ২৬৯৪ মূলে নিজ নিজ নামে নামজারী করে ঘরবাড়ী নির্মাণ করিয়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করিয়া আসিতেছি। কয়েক বছর আগ থেকেই একই এলাকার ধনু মোল্লার ছেলে রাজ্জাক মোল্লা (৫৫) ও তার ছেলে যুবলীগ নেতা মোঃ রাসেল (৩৫) ও রাশেদ মেনন (২৮)সহ তাদের সহযোগীরা ভুক্তভোগী নারীর কাছে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবিসহ উক্ত জমি জোরপূর্বক দখল করার পায়তারা ও খুন জখমের হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছে। এই বিষয়ে স্থানীয় লোকজনদের জানালে যুবলীগ নেতার সহযোগী কতিপয় খারাপ প্রকৃতির লোকজন আরো ক্ষীপ্ত হয়। ভুক্তভোগীর পরিবারবর্গকে খুন জখম করিবে এবং আমার ভোগদখলীয় জমি জোরপূর্বক জবর দখল করিয়া নিবে মর্মে হুমকি প্রদান অব্যাহত রাখে। গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) রাত ১২ টায় যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে তার সহযোগীরা ভুক্তভোগী নারীর বসত বাড়িতে অনধিকারভাবে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জোরপূর্বক প্রবেশ করে। এ সময় ভুক্তভোগী নারীর কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় খুন জখমের হুমকী প্রদানসহ লেবার মিস্ত্রিরা ভুক্তভোগীর জমির সীমানা অতিক্রম করে জোরপূর্বক ফাউন্ডেশন দিয়া বিল্ডিং নির্মাণ করার জন্য বেইজ করাকালে আমি বাধা দেই এবং ডাক চিৎকার করিতে থাকিলে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসলে মারপিট করিতে উদ্যত হয়। পরবর্তীতে সরকারী জরুরী সেবা ৯৯৯’এ ফোন করিলে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে আসিলে যুবলীগ নেতা পালিয়ে যায়। যুবলীগ নেতার অলৌকিক ক্ষমতার কারণে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। যেকোনো সময় ভুক্তভোগীকে মেরে ফেলাসহ তার পরিবারবর্গের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করিতে পারে। এ কারণে ভূক্তভোগীর পরিবারের জানমালের নিরাপত্তার জন্যে উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সকলের কাছে ন্যায় বিচারের জন্য সহযোগিতা কামনা করেন।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান, পিপিএম জানান, এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।