ঢাকা ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বাল্লা স্থলবন্দর বন্ধের সুপারিশ, আশার বুকে হতাশা!

মোঃ আব্দুল হান্নান , হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি  ॥

হবিগঞ্জ জেলার  চুনারুঘাট উপজেলার কেদারাকোটে অবস্থিত বাল্লা স্থলবন্দরটি ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর জন্য আশার আলো। দীর্ঘদিন ধরে বন্দরটি ঘিরে ব্যবসা-বানিজ্যে আর্থিক লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয়রা। তবে স্বপ্ন এখন খুলিষ্যাতে পরিণত হয়েছে। ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের আশার বুকে দেখা দিয়েছে হতাশা। কারণ, বন্ধ হতে চলেছে বহুকাঙ্খিত স্থলবন্দরটি। সম্প্রতি নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এ আওতাধীন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ অলাভজনক হওয়ায় স্থলবন্দর প্রাথমিকভাবে বন্ধের সুপারিশ করেছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি উচ্চ পর্যায়ের যাচাই কমিটি এ প্রতিবেদন দিয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনে ভুল বন্দরের বাংলাদেশ অংশে অবকাঠামো নির্মাণ হলেও ভারতীর অংশে কোন অবকাঠামো ও সড়ক সুবিধা না থাকায় স্থল বন্দরের কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হচ্ছেনা।

কাবিটির সুপাছি। ভিসাদাদী ভারতীয় জাশ অবকাঠামো সড়ক সুবিধা না থাকায় কার স্থল বন্দরের কার্যক্রম স্থগিত রুখা যেতে পারে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন দায়িত্ব গ্রহনের পর দেশের বিভিন্ন স্কুল বন্দর সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। ‘পরিদর্শনকালে তিনি অলাভজনক ও কার্যক্রমহীন স্থলবন্দরের কার্যকারিতা মূল্যায়নের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেন। উক্ত কমিটি চুনারুঘাটের বাল্লা স্থলবন্দরটি পর্যালোচনা করে বন্ধের সুপারিশ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৫১ সালে ৪.৩৭ একর জায়গায় বাল্লাস্থলবন্দর প্রতিষ্ঠিত হয়। ৭১ বছর পর ২০১২ সালে বাল্লা ছল বন্দর আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। সেই লক্ষে পূর্বের স্থান থেকে ২ কিলোমিটার পশ্চিমে কেদারাকোট এলাকায় ১৩ একর ভূমি অধিগ্রহন করা হয়। অবকাঠামো নির্মানে প্রায় ৪৯ কোটি টাকা ব্যায় করা হয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলেও ভারতীয় অংশে অবকাঠামো ও সড়ক সুবিধা না থাকায় বন্দরটির কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি বাল্লা স্থল বন্দরটি বন্ধের সুপারিশ করেছে।
এর আগে ফেব্রুয়ারী নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহন ও শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রের জন্য কোন সুফল বয়ে আনেনি। তাছাড়া, রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হয়েছে। দেশের জনগণের উন্নয়নের জন্য যেসব স্থলবন্দর উপকারী হবে, সেগুলি সচল রাখা হবে’। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ বাল্লা স্থলবন্দরকে দেশের ২৩তম স্থলবন্দর ঘোষণা করেন তৎকালীন নৌপরিবহন মন্ত্রী মো. শাজাহান খান।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশাসনের কর্মকর্তা পরিচয়ে আসামিকে গ্রেফতারে বাধা ঃআওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সোবহান গ্রেপ্তার 

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বাল্লা স্থলবন্দর বন্ধের সুপারিশ, আশার বুকে হতাশা!

আপডেট সময় ০৩:০৩:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

মোঃ আব্দুল হান্নান , হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি  ॥

হবিগঞ্জ জেলার  চুনারুঘাট উপজেলার কেদারাকোটে অবস্থিত বাল্লা স্থলবন্দরটি ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর জন্য আশার আলো। দীর্ঘদিন ধরে বন্দরটি ঘিরে ব্যবসা-বানিজ্যে আর্থিক লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয়রা। তবে স্বপ্ন এখন খুলিষ্যাতে পরিণত হয়েছে। ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের আশার বুকে দেখা দিয়েছে হতাশা। কারণ, বন্ধ হতে চলেছে বহুকাঙ্খিত স্থলবন্দরটি। সম্প্রতি নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এ আওতাধীন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ অলাভজনক হওয়ায় স্থলবন্দর প্রাথমিকভাবে বন্ধের সুপারিশ করেছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি উচ্চ পর্যায়ের যাচাই কমিটি এ প্রতিবেদন দিয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনে ভুল বন্দরের বাংলাদেশ অংশে অবকাঠামো নির্মাণ হলেও ভারতীর অংশে কোন অবকাঠামো ও সড়ক সুবিধা না থাকায় স্থল বন্দরের কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হচ্ছেনা।

কাবিটির সুপাছি। ভিসাদাদী ভারতীয় জাশ অবকাঠামো সড়ক সুবিধা না থাকায় কার স্থল বন্দরের কার্যক্রম স্থগিত রুখা যেতে পারে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন দায়িত্ব গ্রহনের পর দেশের বিভিন্ন স্কুল বন্দর সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। ‘পরিদর্শনকালে তিনি অলাভজনক ও কার্যক্রমহীন স্থলবন্দরের কার্যকারিতা মূল্যায়নের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেন। উক্ত কমিটি চুনারুঘাটের বাল্লা স্থলবন্দরটি পর্যালোচনা করে বন্ধের সুপারিশ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৫১ সালে ৪.৩৭ একর জায়গায় বাল্লাস্থলবন্দর প্রতিষ্ঠিত হয়। ৭১ বছর পর ২০১২ সালে বাল্লা ছল বন্দর আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। সেই লক্ষে পূর্বের স্থান থেকে ২ কিলোমিটার পশ্চিমে কেদারাকোট এলাকায় ১৩ একর ভূমি অধিগ্রহন করা হয়। অবকাঠামো নির্মানে প্রায় ৪৯ কোটি টাকা ব্যায় করা হয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলেও ভারতীয় অংশে অবকাঠামো ও সড়ক সুবিধা না থাকায় বন্দরটির কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি বাল্লা স্থল বন্দরটি বন্ধের সুপারিশ করেছে।
এর আগে ফেব্রুয়ারী নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহন ও শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রের জন্য কোন সুফল বয়ে আনেনি। তাছাড়া, রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হয়েছে। দেশের জনগণের উন্নয়নের জন্য যেসব স্থলবন্দর উপকারী হবে, সেগুলি সচল রাখা হবে’। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ বাল্লা স্থলবন্দরকে দেশের ২৩তম স্থলবন্দর ঘোষণা করেন তৎকালীন নৌপরিবহন মন্ত্রী মো. শাজাহান খান।