
মোহাম্মদ আলী,রামগঞ্জ লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
আগামীকাল শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। রমজান মাসকে ঘিরে রামগঞ্জ পৌর এলাকার সবজির বাজারগুলোতে প্রতিটি পন্যের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। রমজানের বিশেষ সবজি বেগুনের কেজি গতকাল শুক্রবার ছিলো ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। আজ শনিবার রামগঞ্জ ও সোনাপুর বাজারে একই বেগুন ৭০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সর্বোচ্চ দাম বেড়েছে লেবুতে। এক হালি মাঝারি আকৃতির লেবু পাইকারি আড়তে বিক্রি হচ্ছে ৭২টাকা। সেটা খুচরা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে ৯০ থেকে ১শ টাকা। এছাড়া গাজর ৫০, শসা ৫০, বরবটি ১৩০, ঢেড়স ১শ, তরি ৮০, দেশীয় সীম ৬০, করলা ১০০, কচুর লতি ১২০, চিচিঙ্গা ৫০, টমেটো ৩০, কাঁচা মরিচ ৬০, দেশী ধনে পাতা ১শ, মিষ্টি কুমড়া ৪০, কচুর চড়া ১শ, সীমের বিচি ১০০, আলু ৩০, দেশী পেঁয়াজ ৫০, রসুন ১৩০ টাকা কেজি, ফুলকপি ও পাতাকপি ৫০ ও কাঁচকলার হালি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
সেলিনা বেগম নামের একজন গৃহিনী জানান, সবজির বাজার এখনো কিছুটা সহনশীল থাকলেও মাছ ও মাংসের দাম বেশি। গরুর গোস্ত হাঁড় ছাড়া ৯৫০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ১৯০টাকা থেকে ২শ টাকা।
চন্ডিপুর ইউনিয়নের মাছিমপুর বাজারের মোঃ ইউসুফ জানান, গ্রামের সবজির দাম কিছুটা কম থাকলেও মাছ মাংসের দাম বেশি। ছোট মাছের কেজি ৩শ টাকা, বড় মাছ বিক্রি ৩৮০ থেকে ৪শ টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকার নিচে পাওয়া যায়না। খুচরা সবজি বিক্রেতা আরিফ হোসেন জানান, গতকালকে বেগুন বিক্রি করেছি ৪০ টাকায় কেজি। আজ একই বেগুন ৭০টাকা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। তবে দাম কিছুটা বাড়লেও রোজার এক সপ্তাহের পর দাম অনেক কমবে বলে তিনি দাবী করেন।
রামগঞ্জ মাছ ও সবজির বাজারের মুরগী বিক্রেতা সাদ্ পোল্ট্রি ফার্মের মালিক সুজন আলম জানান, রোজা আসলে কিছু ব্যবসায়ী বড় বড় খামার কিনে নিজেরাই তা বাজারজাত করে। এতে মুরগির দাম কিছুটা বৃদ্ধি পায়। এখন রামগঞ্জ বাজারে ব্রয়লার মুরগী ১৯০ থেকে ২শ টাকা ও কালারবার্ড বিক্রি হচ্ছে ৩৪০/৩৫০ টাকা কেজি। এছাড়া সোনালী মুরগীর কেজি প্রায় ৪শ টাকা।সবজি বিক্রেতা আল্লারদান ভান্ডারের মালিক মোঃ রনি জানান, আমাদের এদিকে সবজির উৎপাদন তুলনামূলক কম। আমরা কুমিল্লা বা লাকসাম থেকে মালামাল আনি। সেখানকার বাজারের উপর নির্ভর করে দর উঠানামা। তবে তিনি দাবী করেন সবজির দাম গতবারের চেয়ে অনেক কম। স্থানীয়দের দাবী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজরদারি বাড়ালে সবজির পাশাপাশি মাছ ও মাংসের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার আওতায় চলে আসবে। রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাঈদ মোহাম্মদ রবিন শীষ জানান, আমরা বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছি। পন্যের দাম অতিরিক্ত প্রতীয়মান হলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।