
মোহাম্মদ আলী,রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:
পবিত্র মাহে রমজান মাসকে সামনে রেখে রামগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় মাংস ব্যবসায়ীরা যত্রতত্র গবাদিপশু জবাই ও হাটবাজারে ইচ্ছেমত চড়া দামে মাংস বিক্রি করছে। এ ব্যাপারে রামগঞ্জ পৌরসভা ও উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ কোন প্রদেক্ষপ নিচ্ছে না। সরেজমিনে রামগঞ্জ মাংস বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি গরুর মাংস ৩শগ্রাম হাড় চর্বি সহ সাড়ে ৮ টাকা থেকে ৯শ টাকা, মহিসের মাংস ৭৭০ থেকে ৮৫০ টাকা ও ছাগলের মাংস ১২শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। রমজান উপলক্ষে রামগঞ্জ পৌর পরিষদ ও উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাংস বিক্রেতাদের নিয়ে এখনো বৈঠক করে মাংসের মূল্য নির্ধারণ করেনি।
শুধু তাই নয় রামগঞ্জ পৌর শহর ও উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন বাজার গুলোতে কসাইখানা থাকার পরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই যত্রতত্র নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোগাক্রান্ত গরু, মহিষ, ছাগল জবাই করছেন কসাইরা। রামগঞ্জ পৌর শহরের থানা বাইপাস সড়কের পাশে ও সোনাপুর ওয়াপদা সড়কের পাশে প্রতিদিন মাংস বিক্রির দোকানের ভেতর ও সড়কের উপরই জবাই করা হয় এসব গবাদি পশু। ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখিন হয়ে পড়েছে।পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে তদারকির জন্য পৌরসভা সহ প্রত্যেক ইউনিয়নে একজন করে ডাক্তার একজন করে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এবং চামড়ার মান দেখার জন্য একজন অভিজ্ঞ কিউরেটর থাকলেও রামগঞ্জে তাদের দেখা পাওয়া দায়।
এছাড়া মহিষের মাংসকে গরুর মাংস, টাটকা মাংসের সাথে বাসি মাংস, বকরী ও পাঠার মাংসকে খাসীর মাংস বলে বিক্রি করে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারনা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।পৌর স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মোঃ আলমগীর কবির বলেন পৌর কসাই খানা থাকার পরও কসাইরা সরকারের বিধি নিয়মকে উপেক্ষা করে মাংসের দোকানের ভেতর ও নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যত্রতত্র পশু জবাই করে মাংস বিক্রয় করছেন । এ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবহিত করে অচিরেই এদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।