
রাসেল মাহামুদ পলাশবাড়ী প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে অনুমতি ছাড়াই সেবা চালু করছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো । আগাছার মতো গজিয়ে উঠছে অনুমোদন বিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। নিয়ম না মেনে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অনুমোদনহীন এ সকল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো পরিচালিত হয়ে আসছে। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালুর আগে পৌরসভা থেকে ট্রেড লাইসেন্স, স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য থাকতে হয় প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট, যন্ত্রপাতি। শুধু তাই নয়, ক্লিনিক কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালুর জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র নিতে হয়। ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নামে ভ্যাট ও টিন সার্টিফিকেট থাকতে হয়। ক্লিনিক থেকে ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু করতে হলে অব্যশই পরমাণু রেডিয়েশনের ছাড়পত্র লাগে। সকল নিয়ম অনুযায়ী আবেদন বৈধ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগ তা অনুমোদন দিয়ে থাকে।
২৫ ফেব্রুয়ারি রংপুর রোড পলাশবাড়ীতে জনসেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার উদ্বোধন হলে একাধিক মাধ্যম হতে অভিযোগ উঠে প্রতিষ্ঠানটির কোন বৈধ কাগজ নেই মর্মে প্রতিষ্ঠানটির পার্টনার মোঃ তাওহীদ রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা কাগজ পত্র জমা দিয়েছি তাছাড়া এখানে সবাই যে ভাবে ব্যবসা করছে আমরাও সে ভাবে করছি,এছাড়াও জেলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতির সঙ্গে কথা বলা আছে। এদিকে আরো একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার দি পলাশবাড়ী ইবনে সিনা নামীয় প্রতিষ্ঠান টি ২৮ ফেব্রুয়ারি শুভ উদ্বোধন হবে মর্মে মাইকিং সহ বিভিন্ন উপায়ে প্রচারনা চালিয়ে চাচ্ছেন কিন্তু এরই মধ্যে নতুন একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
সৃষ্ট কৃত বিব্রতকর পরিস্থিতির বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধানে জানাযায় দি পলাশবাড়ী ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর মালিকগন পূর্বে কালিবাড়ী বাজার সংলগ্ন হারুন মার্কেটে অবস্থিত পলাশবাড়ী ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর পার্টনার ছিলো, কিন্তু কোন এক কারনে হারুন মার্কেটে অবস্থিত প্রতিষ্ঠান হতে বের হয়ে এসে চৌমাথা মোর প্রেসক্লাব রোড বিসমিল্লাহ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় পূর্বের যৌথ মালিকানায় থাকা প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গে পুরপুরি মিল রেখে শুধু মাত্র নামের আগে দি লাগিয়ে নাম করন করলে বাধে বিপত্তি, বিপত্তি টি হলো একই নাম রাখার কারনে হারুন মার্কেটে অবস্থিত পলাশবাড়ী ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার পাল্টা মাইকিং করে প্রচার করতে থাকে কেউ প্রতারিত হবেন না আমাদের কোন শাখা নেই এমন প্রচারনায় বিব্রতবোধ করছে স্থানীয় সুবিধা প্রত্যাশী জনসাধারণ। স্পর্শ কাতর সেবা খাতে এমন মনগড়া দায়িত্বহীন কর্মকান্ডের বিষয়ে প্রতিষ্ঠান দুটির ব্যপারে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ কানিজ সাবিহা বলেন এই নামীয় প্রতিষ্ঠানের কোন কাগজ পত্র আমরা পাইনি এমনকি এই দু প্রতিষ্ঠানের নামে কোন প্রকার ওয়েটিং ফর ইন্সপেকশনের মেসেজ পাইনি এমতাবস্থায় এধরণের প্রতিষ্ঠান অবৈধ বলে গণ্য হবে। উল্লেখ্য উপজেলায় একাধিক বার একাধিক অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো কে অর্থ জরিমানা সহ সিলগালা করলেও কোন এক অশুভ শক্তির উপর ভর করে অবৈধ ভাবেই চালিয়ে যাচ্ছেন। জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক কর্মকর্তা বলেন এসব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো চলে বিশেষ ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও রাঘব বোয়ালদের শেল্টারে।