ঢাকা ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য কঠোর অবস্থানে সরকার

খায়রুল আলম সুমন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে কঠোর অবস্থানে সরকার। এ লক্ষ্যে সেনাবাহিনী, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট, বিজিবি সদস্যদের সমন্বয়ে যৌথবাহিনী গঠন করে টার্গেট এলাকায় জোরদার অপারেশন পরিচালনা করা হবে। একই সঙ্গে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তল্লাশি চৌকি এবং অপরাধ প্রবণ এলাকায় টহল সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং সার্বিক পরিস্থিতি আরো উন্নত করতে এরকম বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত কোর কমিটির সভায় এ সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উক্ত সভায় নেয়া আরও সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে- রাজধানীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নৌবাহিনীর একটি অতিরিক্ত পেট্রোল এবং কিছু এলাকায় কোস্টগার্ডের একটি অতিরিক্ত পেট্রোল নিয়োজিত থাকবে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রধান, উপ-পুলিশ কমিশনার, সেনাবাহিনীর মাঠে নিয়োজিত ব্রিগেড প্রধান ও অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রে সময়ে সময়ে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করবেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)’র পুলিশ সদস্য, বিজিবি, আনসার ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যদের জন্য মোটরসাইকেল ক্রয় করার সিদ্ধান্তও হয়েছে, যাতে করে তাৎক্ষণিকভাবে অলিগলিতে টহল দিয়ে অপরাধীদের পাকড়াও করা যায়। ছিনতাইকারী ও ডাকাতরা অবস্থান করতে পারে এমন সম্ভাব্য স্থানগুলোতে কম্বাইন্ড অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হবে।এদিকে ঢাকা শহরের বাইরে, বিশেষ করে টঙ্গি, বসিলা, কেরানীগঞ্জ এবং মুন্সিগঞ্জ এলাকায়ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়ানো হবে। ৫০০ এপিবিএন সদস্য ডিএমপিতে ন্যস্ত হয়ে পুলিশের সঙ্গে কাজ করবে। এছাড়া থানাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের হালনাগাদ তালিকা করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আইনের আওতায় আনতে তড়িৎ পদক্ষেপ নেবে। আর মিথ্যা, গুজব ও প্রোপাগান্ডার বিপরীতে সত্য তথ্যগুলো প্রচারে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত হয়।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

Daily Naba Bani

মিডিয়া তালিকাভুক্ত জাতীয় দৈনিক নববাণী পত্রিকার জন্য সকল জেলা উপজেলায় সংবাদ কর্মী আবশ্যকঃ- আগ্রহীরা আজই আবেদন করুন। মেইল: [email protected]
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশাসনের কর্মকর্তা পরিচয়ে আসামিকে গ্রেফতারে বাধা ঃআওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সোবহান গ্রেপ্তার 

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য কঠোর অবস্থানে সরকার

আপডেট সময় ০২:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

খায়রুল আলম সুমন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে কঠোর অবস্থানে সরকার। এ লক্ষ্যে সেনাবাহিনী, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট, বিজিবি সদস্যদের সমন্বয়ে যৌথবাহিনী গঠন করে টার্গেট এলাকায় জোরদার অপারেশন পরিচালনা করা হবে। একই সঙ্গে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তল্লাশি চৌকি এবং অপরাধ প্রবণ এলাকায় টহল সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং সার্বিক পরিস্থিতি আরো উন্নত করতে এরকম বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত কোর কমিটির সভায় এ সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উক্ত সভায় নেয়া আরও সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে- রাজধানীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নৌবাহিনীর একটি অতিরিক্ত পেট্রোল এবং কিছু এলাকায় কোস্টগার্ডের একটি অতিরিক্ত পেট্রোল নিয়োজিত থাকবে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রধান, উপ-পুলিশ কমিশনার, সেনাবাহিনীর মাঠে নিয়োজিত ব্রিগেড প্রধান ও অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রে সময়ে সময়ে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করবেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)’র পুলিশ সদস্য, বিজিবি, আনসার ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যদের জন্য মোটরসাইকেল ক্রয় করার সিদ্ধান্তও হয়েছে, যাতে করে তাৎক্ষণিকভাবে অলিগলিতে টহল দিয়ে অপরাধীদের পাকড়াও করা যায়। ছিনতাইকারী ও ডাকাতরা অবস্থান করতে পারে এমন সম্ভাব্য স্থানগুলোতে কম্বাইন্ড অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হবে।এদিকে ঢাকা শহরের বাইরে, বিশেষ করে টঙ্গি, বসিলা, কেরানীগঞ্জ এবং মুন্সিগঞ্জ এলাকায়ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়ানো হবে। ৫০০ এপিবিএন সদস্য ডিএমপিতে ন্যস্ত হয়ে পুলিশের সঙ্গে কাজ করবে। এছাড়া থানাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের হালনাগাদ তালিকা করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আইনের আওতায় আনতে তড়িৎ পদক্ষেপ নেবে। আর মিথ্যা, গুজব ও প্রোপাগান্ডার বিপরীতে সত্য তথ্যগুলো প্রচারে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত হয়।