ঢাকা ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনা তেরখাদায় ইসমাইল ও রবিউলের জোড়া খুনের আসামি কালু বাহিনীর আতঙ্কে মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীর পরিবার

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় ১২:০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে

খুলনা জেলা তেরখাদা উপজেলা কাটেঙ্গা গ্রামের মৃত খলিলুল রহমানর মোল্লার দুই ছেলে ১/মোঃ ইসমাইল মোল্লা ২/ মোঃ রবিউল মোল্লা নিজ বাড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে খুন হয়।

সূত্র মতে, ২২/০৯/০৯ ইং বেলা আনুমানিক বেলা ১২:৩০ মিনিট সময় কালু বাহিনীর প্রধান কালুসহ ১০ থেকে ১৫ জন সোরকি, রামদা বল্লম, লাঠি, লোহার রড, ভ্যালা ও দেশিয় বিভিন্ন অস্ত্র শস্ত্র লইয়া ইসমাইলের বাড়ির সামনে এসে টিনের বেড়ায় পিটাতে থাকে ও টিনের ব্যাড়া কুপিয়ে ভাঙচুর করতে থাকে এ মত অবস্থায় মোঃ ইসমাইল মো: এনায়েতুল্লাহ মোঃ হিজবুল্লাহ ইসমাইলের স্ত্রী ও তার কন্যা ঘরের বাইরে এলে দেখতে পায় কাটেঙ্গা গাজিরহাট মেইন রাস্তায় রবিউল মোল্লা জব্বার মোল্লা আলী আকবর মোল্লা আলী মোল্লা রকিবুল মোল্লা শফিউল্লাহ মোল্লা সহ আরো অন্যান্য লোকের সামনে খুনি বাবু মোল্লার নির্দেশে কালু বাহিনীর প্রধান মুস্তাফিজুর রহমান কালু দো-নালা বন্দুক দিয়ে গুলি ছুরতে থাকে উক্ত গুলিতে মোঃ রবিউল মোল্লা মাটিতে পড়ে যায় এবং মহিব মোল্লার হাতে একনালা বন্দুক থেকে গুলি ছোড়ে সেই গুলিতে মোঃ ইসমাইল মোল্লা গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। টুটুল মোল্লা নিজে গুলি করে গুলি করতে থাকে এবং বুরুজ মোল্লা পাইপগান দ্বারা গুলি ছোড়ে। এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কয়েকজনকে কুপিয়ে আহত করে কালু বাহিনী। উক্ত গোলাগুলি ও কোপাকুপির একপর্যায়ে স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসন এসে উপস্থিত হলে গুলিবিদ্ধ ও আহতদের দ্রুত তেরখাদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক মোঃ রবিউল ইসলামকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এবং ২২ /০৯/২০০৯ইং তারিখে গুলিবিদ্ধ ইসমাইল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে।

উক্ত জোড়া খুনকে কেন্দ্র করে তেরখাদা থানায় খুনের সাথে জড়িত থাকা কালু বাহিনীর ৬৪ জনকে আসামি করে মোঃ মৃত ইসমাইলের ছেলে মোঃ এনায়েতুল্লাহ বাদী হয়ে ২৪/০৯/০৯ ইং তারিখে হত্যা মামলা দায়ের করে।

যেখানে ‌ মামলা নাম্বার ১৪/

তারিখ ২৪/০৯/০৯ ধারা: ১৪৭/১৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/৪২৭/১১৪/৩৪

উক্ত মামলার বাদি মোঃ এনায়েতুল্লাহ এর ভাষ্যমতে মামলা করার পর মুহূর্তে বিভিন্নভাবে তারা বিবাদীর কাছ থেকে হয়রানি হচ্ছে ‌। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার আওয়ামী লীগের আমলে সাবেক এমপি আব্দুল সালাম মুর্শিদী সহ বিভিন্ন আওয়ামীলীগের নেতাদের অত্যাচারে তারা আতঙ্কিত অবস্থায় জীবন যাপন করছে। বিভিন্ন সময় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য সাবেক এমপি আব্দুল সালাম মুর্শিদী একাধিকবার তাদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেছেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দিয়েছেন ‌। উক্ত কালু বাহিনীর প্রধান মুস্তাফিজুর রহমান কালু ছিলেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের নেতা। প্রায় সময় কালু বলতেন আমাকে কিছু করার মতো বাংলাদেশে কেউ নাই কার ন RAB এর প্রধান ও পরবর্তীতে পুলিশের আইজিপি বেঞ্জির আহমেদ তার আপন খালাতো ভাই। তিনি আরো বলতেন এরকম একটা দুইটা খুন করলে আমাকে আটকানোর মতো কোনো ক্ষমতা কারো নাই। এভাবেই খুনিরা ওপেনে ঘোরাফেরা করে এবং হুমকি ধামকি করে বাদী পক্ষকে। দুঃখের বিষয় হলো বেনজীর আহমেদের খালাতো ভাই কালু হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা সব সময় কালুকে বেয়াইনিভাবে সেল্টার দিতো।

এবং তেরখাদা থানা অফিসার ইনচার্জ সরদার মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন কালুর সম্পর্কে বিয়াই হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময় বেআইনিভাবে বাদী পক্ষকে ভয় ভীত প্রদর্শন করতেন। এমনকি মামলা তুলে না নিলে মিথ্যা নাশকতা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখাতেন।

সর্বশেষ মামলাটি এখন বিজ্ঞ জন নিরাপত্তা বিঘনকারী অপরাধ দমন ট্রাইবুনাল খুলনা – চলমান

দায়রা ২৪২/১৮

ধারা ১৪৭/১৪৮/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/৪২৭/১১৪/৩৪ দ:বি:

বাদীপক্ষের আবেদন দ্রুত মামলাটি সঠিক তদন্ত-পূর্বক নিষ্পত্তি করে খুনিদের শাস্তি দ্বানে সঠিক বিচার পাওয়া। তারা এবং খুনের শাস্তি হিসাবে খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রায় কার্যকর কামনা করেন। এই কথা বলতে গিয়ে বাদীপক্ষ কান্নায় ভেঙে পড়েন। এবং বর্তমান নিরপক্ষ অন্তরবতি সরকারের কাছে তাদের আবেদন যেন সঠিক বিচার পান তারা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশাসনের কর্মকর্তা পরিচয়ে আসামিকে গ্রেফতারে বাধা ঃআওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সোবহান গ্রেপ্তার 

খুলনা তেরখাদায় ইসমাইল ও রবিউলের জোড়া খুনের আসামি কালু বাহিনীর আতঙ্কে মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীর পরিবার

আপডেট সময় ১২:০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

খুলনা জেলা তেরখাদা উপজেলা কাটেঙ্গা গ্রামের মৃত খলিলুল রহমানর মোল্লার দুই ছেলে ১/মোঃ ইসমাইল মোল্লা ২/ মোঃ রবিউল মোল্লা নিজ বাড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে খুন হয়।

সূত্র মতে, ২২/০৯/০৯ ইং বেলা আনুমানিক বেলা ১২:৩০ মিনিট সময় কালু বাহিনীর প্রধান কালুসহ ১০ থেকে ১৫ জন সোরকি, রামদা বল্লম, লাঠি, লোহার রড, ভ্যালা ও দেশিয় বিভিন্ন অস্ত্র শস্ত্র লইয়া ইসমাইলের বাড়ির সামনে এসে টিনের বেড়ায় পিটাতে থাকে ও টিনের ব্যাড়া কুপিয়ে ভাঙচুর করতে থাকে এ মত অবস্থায় মোঃ ইসমাইল মো: এনায়েতুল্লাহ মোঃ হিজবুল্লাহ ইসমাইলের স্ত্রী ও তার কন্যা ঘরের বাইরে এলে দেখতে পায় কাটেঙ্গা গাজিরহাট মেইন রাস্তায় রবিউল মোল্লা জব্বার মোল্লা আলী আকবর মোল্লা আলী মোল্লা রকিবুল মোল্লা শফিউল্লাহ মোল্লা সহ আরো অন্যান্য লোকের সামনে খুনি বাবু মোল্লার নির্দেশে কালু বাহিনীর প্রধান মুস্তাফিজুর রহমান কালু দো-নালা বন্দুক দিয়ে গুলি ছুরতে থাকে উক্ত গুলিতে মোঃ রবিউল মোল্লা মাটিতে পড়ে যায় এবং মহিব মোল্লার হাতে একনালা বন্দুক থেকে গুলি ছোড়ে সেই গুলিতে মোঃ ইসমাইল মোল্লা গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। টুটুল মোল্লা নিজে গুলি করে গুলি করতে থাকে এবং বুরুজ মোল্লা পাইপগান দ্বারা গুলি ছোড়ে। এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কয়েকজনকে কুপিয়ে আহত করে কালু বাহিনী। উক্ত গোলাগুলি ও কোপাকুপির একপর্যায়ে স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসন এসে উপস্থিত হলে গুলিবিদ্ধ ও আহতদের দ্রুত তেরখাদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক মোঃ রবিউল ইসলামকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এবং ২২ /০৯/২০০৯ইং তারিখে গুলিবিদ্ধ ইসমাইল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে।

উক্ত জোড়া খুনকে কেন্দ্র করে তেরখাদা থানায় খুনের সাথে জড়িত থাকা কালু বাহিনীর ৬৪ জনকে আসামি করে মোঃ মৃত ইসমাইলের ছেলে মোঃ এনায়েতুল্লাহ বাদী হয়ে ২৪/০৯/০৯ ইং তারিখে হত্যা মামলা দায়ের করে।

যেখানে ‌ মামলা নাম্বার ১৪/

তারিখ ২৪/০৯/০৯ ধারা: ১৪৭/১৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/৪২৭/১১৪/৩৪

উক্ত মামলার বাদি মোঃ এনায়েতুল্লাহ এর ভাষ্যমতে মামলা করার পর মুহূর্তে বিভিন্নভাবে তারা বিবাদীর কাছ থেকে হয়রানি হচ্ছে ‌। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার আওয়ামী লীগের আমলে সাবেক এমপি আব্দুল সালাম মুর্শিদী সহ বিভিন্ন আওয়ামীলীগের নেতাদের অত্যাচারে তারা আতঙ্কিত অবস্থায় জীবন যাপন করছে। বিভিন্ন সময় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য সাবেক এমপি আব্দুল সালাম মুর্শিদী একাধিকবার তাদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেছেন এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দিয়েছেন ‌। উক্ত কালু বাহিনীর প্রধান মুস্তাফিজুর রহমান কালু ছিলেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের নেতা। প্রায় সময় কালু বলতেন আমাকে কিছু করার মতো বাংলাদেশে কেউ নাই কার ন RAB এর প্রধান ও পরবর্তীতে পুলিশের আইজিপি বেঞ্জির আহমেদ তার আপন খালাতো ভাই। তিনি আরো বলতেন এরকম একটা দুইটা খুন করলে আমাকে আটকানোর মতো কোনো ক্ষমতা কারো নাই। এভাবেই খুনিরা ওপেনে ঘোরাফেরা করে এবং হুমকি ধামকি করে বাদী পক্ষকে। দুঃখের বিষয় হলো বেনজীর আহমেদের খালাতো ভাই কালু হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা সব সময় কালুকে বেয়াইনিভাবে সেল্টার দিতো।

এবং তেরখাদা থানা অফিসার ইনচার্জ সরদার মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন কালুর সম্পর্কে বিয়াই হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময় বেআইনিভাবে বাদী পক্ষকে ভয় ভীত প্রদর্শন করতেন। এমনকি মামলা তুলে না নিলে মিথ্যা নাশকতা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখাতেন।

সর্বশেষ মামলাটি এখন বিজ্ঞ জন নিরাপত্তা বিঘনকারী অপরাধ দমন ট্রাইবুনাল খুলনা – চলমান

দায়রা ২৪২/১৮

ধারা ১৪৭/১৪৮/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/৪২৭/১১৪/৩৪ দ:বি:

বাদীপক্ষের আবেদন দ্রুত মামলাটি সঠিক তদন্ত-পূর্বক নিষ্পত্তি করে খুনিদের শাস্তি দ্বানে সঠিক বিচার পাওয়া। তারা এবং খুনের শাস্তি হিসাবে খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রায় কার্যকর কামনা করেন। এই কথা বলতে গিয়ে বাদীপক্ষ কান্নায় ভেঙে পড়েন। এবং বর্তমান নিরপক্ষ অন্তরবতি সরকারের কাছে তাদের আবেদন যেন সঠিক বিচার পান তারা।