পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার কারণে আমরা এখন দারিদ্র্যকে পরাজিত করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। আমরা অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছি। সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধিকে যদি সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারি, তাহলে আমাদের জাতিগত ঐক্য সুদৃঢ় হবে, আত্মমর্যাদাবোধ সৃষ্টি হবে।’
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর রমনায় কেন্দ্রীয় পুনাক কার্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) আয়োজিত ‘চেতনায় বাঙালি বোধে দেশপ্রেম’ স্লোগানে দুই দিনব্যাপী বৈশাখী লোকজ মেলা উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এ কথা বলেন।
পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজি এম খুরশীদ হোসেনসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আমাদের যা যা ঐতিহ্য রয়েছে তা আমরা শোকেসিং করতে চাই। যাতে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আমরা এগিয়ে যেতে পারি। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে ইস্পাত কঠিন দেশপ্রেম নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। যখন আমাদের দেশপ্রেম কঠিন হবে, তখন আমরা দলীয় স্বার্থ, ব্যক্তি স্বার্থের জন্য দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেব না।’
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘বৈশাখী মেলা আশির দশক থেকে শুরু হয়েছে। প্রাচীন চৈত্র সংক্রান্তি মেলা পরবর্তীতে বৈশাখী মেলায় রূপান্তর হয়েছে। আশির দশক থেকে শহরে এ মেলা শুরু হয়েছে। এখন আমরা বৈশাখী মেলা উদযাপন করি। আমাদের যে ইতিহাস রয়েছে, জাতিসত্তার বাঁকে বাঁকে যে ঐতিহ্য রয়েছে, সেগুলোকে এখন আবিষ্কার করার বিষয় আছে। এগুলো বহতা নদীর মতো আমরা বহন করে যাচ্ছি।’
ড. বেনজীর আহমেদ আরও বলেন, ‘পুনাক বাংলাদেশ পুলিশের পারিবারিক সংগঠন। করোনাকালে গত দুই বছরে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য পুনাক নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানাই। পুনাক তাদের কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সম্প্রতি গৃহীত পুনাকের বিভিন্ন কার্যক্রম ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। ভবিষ্যতে পুনাকের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করা হবে।’